সুন্দর টপিক করবার জন্য বিডি ভাইকে ধন্যবাদ। :কোলাকুলি:

ছবি আপুর লেখার হাত আসলেই চমৎকার। উনার কবিতাগুলো পড়লে একদমই মন ছুয়ে যায়।

২৮

(৬ replies, posted in ভিন্ন জগত)

পিকচার আপুর আকাশ তো মেলা সুন্দর big grin

আমি গ্রামে বড় হলেও গ্রামের পরিবেশের সাথে নিজেকে কিছুতেই মিল করতে পারিনি। গ্রামের ছেলে মেয়েরা অনেক কিছু পারে, যেমন: বাদরের মতো গাছে উঠতে পারে, শুধু তাই নয়, গাছের এক ডাল থেকে আরেক ডালে দৌড়ঝাপ করতে পারে। আমি পারি না। অনেক চেষ্টা করেও গাছে উঠা শিখতে পারিনি। তারপর তারা ধান কাটতে পারে, হাল বাইতে পারে, গরু চড়াতে পারে, মাছ ধরতে পারে আমি তার কিছুই পারি না। এছাড়াও তারা গরুর গোবর দিয়ে বিচিত্র স্টাইলে মাটির সাথে মিশিয়ে ঘরে প্রলেপ দিতে পারে যা আমার দেখলেই গা গুলিয়ে আসে। ও হ্যা, তারা খুব সুন্দর সাতার কাটতে পারে । এমনও সাতারু গ্রামে আছে যারা এক ডুব দিয়ে একটা বিশাল পুকুরের এই পার থেকে অপর প্রান্তে চলে যায়। আমি বহু কষ্টে সাতার শিখলাম কিন্তু সমস্যা একটাই আমি ডুব দিতে পারি না। ডুব দিলেই নাক দিয়ে গল গল করে পানি ঢুকে যায়। আমার ডুব দিতে হয় এক হাত দিয়ে নাক চেপে । হায় কিযে মুসকিল।
আমি তখন চার ক্লাশে পরি। স্কুলের ক্রীড়া অনুষ্টানে সাতার প্রতিযোগিতায় নাম দিলাম। স্যাররা  নাম দিতে চায়নি তবুও জোর করে দিলাম। বড় বড় কন্ঠে স্যারকে বললাম- “স্যার খেলায় হারজিত তো থাকবেই তাই বলে অংশগ্রহন করবো না এটা কেমন কথা?”

সাতার শুরু হলো। পুকুরের এক মাথা থেকে অপর মাথায় যেতে হবে তারপর আবার এই মাথায় আসতে হবে। আমি মহা আনন্দে সাতার কাটছি। আমার সাথে অন্যান্য প্রতিযোগিরা। আমি পুকুরের মাঝামাঝি যেতে না যেতেই অন্যরা অপর প্রান্ত ছুয়ে আমার কাছাকাছি চলে এসেছে। সাতার কাটা যে এতো কষ্ট কে জানে? আমি পুকুরের মাঝামাঝি গিয়ে হাবুডুবু খেতে থাকলাম। সাতার কাটতে কাটতে পা অসার হয়ে গিয়েছে। আমি সামনেও যেতে পারছি না পিছনেও যেতে পারছি না। যতোই চেষ্টা করছি ভেসে থাকতে ততোই ডুবে যাচ্ছি।

তো যাই হোক সেইদিন আমাকে ডুবে যাবার হাত থেকে আমাদের স্কুলের স্যার বাচিয়েছেন। তিনি আমাকে পুকুরের মাঝ থেকে কান ধরে টেনে টেনে নিয়ে এসেছেন। আপনারা ভাবছেন ডুবন্ত মানুষকে স্যার কান ধরে টেনে নিয়ে এসেছেন কেন?  এরও কারন আছে। স্যার আমার সামনে গিয়ে বলেছিলেন – “পলাশ আমার হাত ধর, ভয় পাবার কিছু নেই। আমি তোমাকে পারে নিয়ে যাচ্ছি”।
আমি স্যারের গলা জড়িয়ে ধরলাম। স্যার আমার ওজনে ডুবে যাচ্ছেন। বারবার হাবুডুবু খাচ্ছেন আর চিৎকার করে বলছেন- “গাধা গলা ছাড়, গলা ছাড়”। স্যার যতোই চিৎকার করছে আমি ততোই খড় কুটো আকড়ে ধরবার মতো শক্ত করে তার গলা চেপে ধরছি। স্যার কোন মতে আমার হাত থেকে উনার গলাকে মুক্ত করে আমার কান ধরে টেনে নিয়ে আসলেন পুকুরের পাড়ে। হায়রে সাতার। এর জন্য স্যার পুরো এলাকাবাসির সামনে আমার কান ধরলো। আপসোস। বিরাট আপসোস।

আপনারা ভাবছেন অপমানিত হয়ে আমি সাতার কাটা ছেড়ে দিয়েছি। আমি সাতার ছাড়িনি। অপমান হবার পরও আমি সাতার কেটেছি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পুকুরে।

তখন আমি পড়ি সাত ক্লাশে। সময় আনুমানিক দুপুর বারটা। মুশলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা কয়েকজন বিষ্টিতে ভিজছি আর পুকুরে সাতার কাটছি। আমরা সাতার কাটতে কাটতে পুকুরের এক সাইট থেকে অপর সাইটে চলে গেলাম। আমার সাথে যারা ছিলো তারা অভিনব কায়দায় পুকুর থেকে ছোট ছোট মাছ হাত দিয়ে ধরছে। আমিও ভাবলাম , আমিও কম কিসে? পা দিয়ে মাছের উপর জোড়ে চাপ দিবো তারপর হাত দিয়ে মাছ ধরে ফেলবো। পুকুরের কোথাও গলা পানি কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও ডুব পানি। আমি হাটু পানিতে দাড়িয়ে পা বিভিন্ন কায়দায় মাটিতে ফেলছি। একবার ডানে একবার বামে। কিন্তু কোনবারই কোন মাছের শরিরে পা ফেলতে  পারছি না। আমি নিরাশ। হতাশায় চোখ মুখ বিষন্ন হয়ে আসলো। হঠ্যাৎ করে পায়ের নীচে একটা নরম প্রানীর অনুভব পেলাম। আমার পায়ের স্পর্ষ পেয়ে তা নড়ে উঠলো। আমি মাছ মনে করে পা দিয়ে শক্ত করে তা চেপে ধরলাম। পা হতে বারবারই ছুটবার জন্য চেষ্টা করতাছে প্রানিটা। আমি এক হাত পানির নিচে দিলাম মাছটা ধরবার জন্য। এমন সময় পায়ের নিজের প্রানীটি কামরে ধরলো আমার পা। আমি আমার পাশের জনকে আশ্চায্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম- (ওর নাম টুটুল) “টুটুল, মাছ কি কখনো পা কামড়ে ধরে”?
সে হাসি হাসি মুখে বললো- “না পলাশ ভাই তবে শিং মাছ তার হুল ফুটিয়ে দেয়”!
আমি অবাক হয়ে বললাম- “তাই নাকি, ব্যাথা কেমন”?
সে বললো- “ব্যাথা ভিষন! একবার হুল ফুটালে সাতদিন পর্যন্ত পা নাড়তে পারবেন না”!
আমি আতংকিত কন্ঠে বললাম- “ও”।
তারপর হাত পানির নিচে ঢুকিয়ে দিলাম।  ওটা এখনো আমার পা কামড়ে ধরে আছে আর পা থেকে মুক্ত হবার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি হাত দিয়ে স্পর্শ  করলাম। স্পর্শ  করবার সাথে সাথেই শিরশির করে মেরুদন্ড বেয়ে একটা শিহরন বয়ে গেলো।  আমি পানির মাঝেই একটা লাফ দিলাম। এটা কোন মাছ নয় আমি এতোক্ষন একটা সাপ  পা দিয়ে চেপে ধরে রেখেছিলাম। আমি পা উচু করে দেখলাম। পায়ের পাতার উপর দুইটা ছিদ্র এবং দুই ফোটা রক্ত বিন্দু দেখা  যাচ্ছে। আমি শিউর এটা সাপে কেটেছে। তবুও টুটুলকে ডেকে বললাম- “দেখতো টুটুল এটা সাপে কেটেছে কিনা”?
সে আবারো এক গাল হেসে বললো- “না, পলাশ ভাই। মনে হয় শিং মাছ গুতো দিয়েছে”?
আমার কলিজা শুকিয়ে আসলো। আমি কোন মতে বললাম- “চলো ঐ পাড়ে যাই। এক সপ্তাহ ব্যাথায় কাতরাতে হবে ভাবতেই কেমন যেন লাগতাছে”!
আমরা পুকুরের অপর পারে যাবার জন্য সাতার দিলাম।

পুকুরের মাঝ বরাবর এসে আমার সাপে কামড়ানো পা অসার হয়ে গেলো। বিচিত্র রকমের একটা ব্যাথা হচ্ছে। পায়ের হাড্ডি মনে হচ্ছে কেউ কচ কচ করে কামড়াচ্ছে। আমি ব্যাথায় কুকড়ে যাচ্ছি। বারবার চোখের পর্দা ফ্যাকাশে হয়ে আসছে। আমি ডুবে যাবো নাতো? কাউকে যে বলবো ইচ্ছে করছে না। আর তো মাত্র কিছু দুর। পারবো যেতে মনে হয়। মনের শক্তির উপর ভরসা করে এক পা নাড়িয়ে সাতার কাটছি।



=========চলবে=========

sawontheboss4 wrote:

shame on you  এক জিন্দেগি, এক লাড়্কী, এক গানা!  love struck

একটাতে কি জীবন যাবেরে ভাই। দেখেন না আমাদের বিডি ভাই এখনি দুই হাতে তিনটাকে নিয়ে ঘুরাফেরা করতাছে waiting  আর আমি একটাও পাই না I don't know

উপল BD wrote:

কিন্তু পলাশ ভাই কাহিনীর সাথে আপনারও জীবন কাহিনীরও কিছুটা মিল পাচ্ছি যে? :চিন্তা:  :চিন্তা:

মিয়া আমি কি প্রেম করি নাকি যে আমার সাথে মিল পাবেন

মেহেদী হাসান wrote:

ওয়াও জটিল লিখছেন।  big grin  big grin

ধন্যবাদ

রেপু দেবার জন্য ধন্যবাদ :কোলাকুলি:

আমার নাম ভবঘুরে
তোমার নাম কি?
মেয়েটি চোখ মুখ পাকিয়ে বলে-
যা ভাগ মানকি!


মানকি উপাদি পেয়েও ভবঘুরে
মাইন্ড একটুও করে না।
মেয়েদের পিছু পিছু ঘুরার দায়িত্ব থেকে
সে একটুও সরে না।


এই হচ্ছে আমাদের ভবঘুরে
রংমহলের এডু
প্রায় সময়ই মেয়েদের ধমক খায়
কথা শুনে কটু।


ভবঘুরের কোথাও প্রেয় হয় না
পোড়া কপাল তার
তবুও বুকে ধৈয্য নিয়ে
করছিলো দিবা-রাত্রি পার।


ভব কাহিল দিবারাত্রি কেবল মেয়েদের পিছে ঘুরে
মেয়ে দেখলেই সিস দেয়
গান গায় বে-সুরে।


ভবোর প্রেমিকের নামটি জান
নাম হলো তার- সুমি
তাকে যদি না পায়
তাহলে জীবন হবে নাকি মরুভূমি।


ও সুমি....ও সুমি.... ভব গায় গান
ভবোর বাবা পিছন থেকে শুনে বলে-
রাখলিনা তুই আমার মান সম্মান।
আজকে তুই বাড়ি আস....
দেখবি তখন মজা
চামড়া ছিলে লবন লাগাবো
ডান্ডা মেরে করবো তোকে সোজা।


ভব কেদে কেদে বলে-
বাপজান, বিয়ের বয়স হয়েছে আমার,
সেদিকে নাই তোমার দৃষ্টি
ঠিক টাইমে বিয়ে দিলে
এখন তুমি দাদু হতা,
খেতে পারতা নতুন অতিথির মিষ্টি।
কেন তুমি আমার প্রেমে
বাধার দেয়াল করছো সৃষ্টি।

জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন:


ভবঘুরে বিয়ের বয়স্কা হওয়া সত্বেও কেন তাকে তার পরিবার বিয়ে দিচ্ছেন না? কেন তিনি আগানে-বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? তার নাম ভবঘুরে বলেই কি তাকে আজীবন মেয়েদের পিছু পিছু ঘুর ঘুর করতে হবে? কেন তার একটা গতি হচ্ছে না? কেন? কেন? (সিনেমার মতো “কেন” শব্দটা বারবার প্রতিদ্ধনি হতেই থাকবে, এই কেন শব্দটা বাংলা সিনেমা থেকে চুরি করা big grin )

আমিতো আমার জিপি থেকেই প্রায় এমন পেয়ে থাকি :কোলাকুলি:

৩৫

(১ replies, posted in রসের হাঁড়ি)

“অতি আদরে মানুষ নাকি বাদর হয়” বাংলায় মনে হয় এমনই একটা প্রবাদ চালু আছে। বাদর হবার সাথে সাথেই টপ করে লাফ দিয়ে মাথায় চড়ে বসে। একবার যদি কোন ভাবে মাথায় চড়ে বসতে পাড়ে তাহলে তো আর কথাই নেই শত হইচই হট্টগোল করেও মাথা থেকে

নামানো সম্ভব হয়ে উঠে না। এর ধীরে ধীরে আদর পেয়ে মাথায় চড়ে বসলেও এদেরকে মাথা থেকে ধীরে ধীরে নামানো যায় না। এদেরকে মাথা থেকে নামানোর জন্য যতোই বুঝানো হয় ততই মাথার চুল, চোখ, নাক, কান ঝাপটে ধরে। এদের নামানোর একটাই পন্থা- “তোল হাতিয়ার, মারো গুলি”। এদেরকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে মাথা থেকে নামানোর কোন মানে হয় না। এদেরকে ধরেই দিতে হয় আছাড়। যেই সেই আছাড় নয়, যাকে বলে কোমড় ভাংগা আছাড়। এখন আমি এমনি একখান আছাড় দেবার পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছি। পিচ্চিটারে লায় দিতে দিতে মাথায় তুলে ফেলেছি। এক্ষুনি মাথা জাড়া দিয়ে ফেলতে হবে। আমি চিৎকার দিলাম- “তুই কি কান্না থামাবি নাকি মুখে কস্টেব লাগিয়ে দেব”?

যাকে ধমক দিলাম সে নির্বিকার। কান্না থামানোর কোন লক্ষনই নাই বরং সময় এর তালে তালে  কান্না বেড়েই যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর পর বিকট শব্দে চিৎকার দিচ্ছে- “কলার খোসা লাগিয়ে দাও”।

ইলিয়াস! ইলিয়াস আহমেদ। আমার ভাতিজা। পৃথিবীতে আমার সবচেয়ে চির শত্রুদের সাথে বসে থাকতেও আমি অস্বস্থি বোধ করি না কিন্তু এ যদি আমার পাশে থাকে তাহলে বিরাট অস্বস্থি আর হতাশায় আমার বুক ধকফক করতে থাকে। বিরাট টেনশনে ভুগতে থাকি। কখন না জানি কি ঘটে যায়? বয়স কম, গোলগাল চেহারা। চেহারার মাঝেই কি রকম যেন একটা কান্না কান্না ভাব আছে। উনিশ থেকে বিশ অথবা বাংলার প্রবাদের ভাষায় বলতে গেলে- “পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় ইলিয়াসের বিকট শব্দে কান্না। এ কান্না কি যেমন তেমন কান্না? মরা বাড়ির লোকজনও এতো ফুল ভলিউমে কাদতে পারে কিনা আমার সন্দেহ আছে। শুধু মাত্র কান্নাতেই সীমাবন্ধ থাকলে হতো, তা না কান্নার  সাথে সাথে আকাশ-বাতাস কাপানো চিৎকার। পুরো একটা মহল্লার সকল লোকজন মাঝরাতে জাগ্রত করবার জন্য ইলিয়াসের একটা চিৎকারই যথেষ্ট।

বাসার ভিতর হইচই করলে বাংলার প্রবাদে বলে- “বাড়ি মাথায় উঠে গিয়েছে”। আমার অবস্থা তার থেকেও উন্নত। আমার ক্ষেত্রে বলা উচিত- “পুরো মহল্লা মাথায় উঠে গিয়েছে”। এখন রাত পোনে বারটা। গ্রাম-অঞ্চল। পোনে বারটা মানে অনেক রাত। চারিদিক শুনশান নীরবতা। শুধু মাত্র শব্দ শোনা যাচ্ছে ইলিয়াসের কান্নার আর চিৎকারের। সমস্যা যে খুব একটা বেশি তা কিন্তু নয়;  আমি আদর করে ইলিয়াসকে কলা খেতে দিয়েছিলাম। সে হাসিমুখে বললো- “চাচ্চু কলার খোসা ছাড়িয়ে দাও”? আমি কলার খোসা ছাড়িয়ে দিলাম। এবং পড়লাম মহা বিপদে। কলার খোসা বেশি ছাড়িয়ে ফেলেছি। এখন এটা জোড়া লাগিয়ে দিতে হবে। কি মুশকিলের কথা। কলার ছোকলা জোড়া লাগাবো কি ভাবে? ইলিয়াসের শুরু হলো আকাশ পাতাল কাপানো চিৎকার আর কান্না। আরেকটা যে কলা দেব তাও সম্ভব না। বাসায় কোন কলা নেই। দোকান থেকে যে কিনে নিয়ে আসবো তাও সম্ভব না। এখন মাঘ মাসের শীত। দোকান-পাট সবই বন্ধ। তাও যদি দোকান সামনে থাকতো তাহলে না হয় খুলবার ব্যবস্থা করা যেত। দোকান দুই কিলোমিটার দূরে। এই শীতের রাতে এখন দোকানদার খোজা আর খাল কেটে কুমির আনা একই কথা।

ইলিয়াসের চেচামেচি বেড়েই যাচ্ছে। মাঝ রাতে পাড়া প্রতিবেশি ঘুম হারাম করে ছুটে আসতেছে কি হয়েছে জানবার জন্য। যতোই সময় বয়ে যাচ্ছে ততই পাড়া প্রতিবেশির আনাগোনা বাড়ছে। আমার মেজাজের গরম ভাবটা ক্রমশই বাড়ছে। আমি মনে মনে বিরবির করলাম- “বাদর বংশধর নাকি? কলার প্রতি এতো টান কেন? বাদরেরও তো এতো টান থাকে না?”

শেষ পর্যন্ত পাড়া প্রতিবেশি আমাকে অনুরোধ করলো- “পলাশ ভাই। আপনার ভাতিজার লাউড স্পীকার অফ করানোর ব্যবস্থা করেন প্লিজ! যে ভাবে ফুল ভলিউমে চেচাচ্ছে তাতে করে ইলিয়াসের কন্ঠ ফিউজ না হলেও আমাদের কানের পর্দায় ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। প্লিজ ওরে থামান। যেমন করেই হোক! এটা আপনার প্রতি মহল্লা বাসীর একটা অনুরোধ। প্লিজ প্লিজ প্লিজ…. কিছু একটা করেন?”

বাধ্য হয়েই আমাকে এই কনকনে শীতে বাড়ির বাহির হতে হলো। দোকানদার খুজে তার দোকান খুলে কলা নিয়ে বাসায় আসতে হলো। নতুন কলা এনে ইলিয়াসের হাতে দিলাম। ইলিয়াস গদ গদ হয়ে বললো- “চাচ্চু কলার খোসা ছাড়িয়ে দাও?” আমি হতাশ কন্ঠে বললাম- “ভাতিজা, এক কলার খোসা ছাড়িয়েই যেই বিপদে পরেছি, এখনো পর্যন্ত জোড়া লাগাতে পারি নাই। আবার আরেকটা দিচ্ছিস। দয়া করে আমারে মাফ কর আব্বাজান”।

৩৬

(২ replies, posted in ভিন্ন জগত)

ধন্যবাদ ভালো একখান তথ্য দেবার জন্য big grin । কিন্তু পাবলিক যে কেন এর উপর উঠে পরে লেগেছিলো তা বোধগম্য হয় নাই I don't know । কাল একজনকে ১ টাকা দিতে গিয়ে দেখি সোনালি এক টাকার কয়েন। আমি তা না দিয়ে পকেটে রেখে দিলাম কারন ১ টাকার জন্য তো আর ১০০টাকা অপচয় করতে পারি না। আমাদের গাজীপুরে নাকি ১টা কয়েন ১০০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে :lol:

৩৭

(৩ replies, posted in ভিন্ন জগত)

http://chonnochara.co.cc/wp-content/uploads/2010/11/index3.jpeg

প্রথমেই আমার অবস্থানটা বলে নেই। এখন আমি গাজীপুরের এক আলিশান বাড়িতে আলিশান এক বিছানায় শুয়ে ফুল ভলিউমে গান শুনছি। কান তব্ধা লাগা সাউন্ড। গানের কথাগুলো হচ্ছে-


মনের কথা কারে বা শোনাই
শোন ও নাই
আমার মনের কথা
শুনলে বলবে যা-তা
মনের কথা কারে বা শোনাই।

সর্তি কথা বলতে কি- মনের কথা শোনানোর সর্তিই কোন মানুষ নাই। তাই নিরুপায় হয়েই লেখালেখি। যেহেতু কম্পিউটারে বাংলা লেখালেখি করছি বহুকাল ধরে তাই বিজয় কী-বোর্ডই আমার একমাত্র ভরসা। জটিল একখান কী-বোর্ড। বাংলা লেখালেখিতে বিজয় খুব্বী অবদান রেখেছে এ কথাটা স্বীকার করতেই হয়। আমাদের মতো পুরাতন পাবলিকের জন্য বিজয়ই ভরসা। আর এই বিজয়ের মূল নায়ক হচ্ছে জব্বর সাহেব। যদিও কেহ কেহ বলে বিজয় জব্বর কাকু আরেকজন থেকে চুরি/কিনে এনেছেন এবং এখনো পর্যন্ত তাকে সম্পূর্ন টাকা পে করেন নাই। তো যাই হোক চুরি করেই আনুক অথবা কিনেই আনুক তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নাই। দেশের জন্য না হোক নিজের ব্যবসার জন্য হলেও তো তিনি বাংলা ভাষার প্রসার করেছেন। এজন্য আমার পক্ষ থেকে উনাকে ব্যবসায়ীক লাল সালাম। আমিও এক সময় ব্যবসা করেছিলাম। আমি বুঝি একটা পন্যের পিছে কতোটা শ্রম দিতে হয়। কতো পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে হয়। টাকা উপার্জন করতে করেত কেউ কেউ এমন পর্যায়ে পৌছে যায়, তখন টাকা বাদে কিছুই চিন্তায় থাকে না। চোখের চারপাশে শুধু টাকা ঘুর ঘুর করে। আমার বাবা বলতেন কিছু কিছু লোক পৃথিবীতে আছে যাদেরকে একটা চড় দিয়ে দুটো টাকা হাতে ধরিয়ে দিলে তারা হাসিমুখে সালাম ঠুকবে। আমাদের জব্বর কাকু অবশ্য এ সকল ব্যবসায়ী ব্যক্তিদগের কাতারে পরেন না। তিনি আরও উন্নত আরও উৎকৃষ্ট।

আমার মনে হয় উনার স্লোগান হচ্ছে- মান চাই না, মানি চাই।

এই তো কিছুদিন আগে- অনলাইনে প্রতিটি ফোরামে, ব্লগে, টুইটারে, ফেসবুকে তাকে যে ভাবে অপমানিত করা হয়েছে। তারপরও উনি যে এখনো পর্যন্ত এ সকল অপমান কর্নপাত করছেন না এটা ভেবে আমার মাঝে মাঝেই টাসকি খাবার মতো অবস্থা হয়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে- গন্ডারের চামড়া। এটা কবে পরিবর্তন হয়ে বলা শুরু হবে- কাগুর চামড়া। বড়ই টেনশনে আছি। দেখা যাবে পরিক্ষার খাতায় উত্তর লিখছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের আন্ডাবাচ্চারা- কাগুর চামড়া বলতে কবি এখানে কিসের চামড়া বুঝিয়েছেন? উদাহরন সহকারে ব্যাখ্যা করো?

আমি মাঝে মাঝেই কবিতা/ছড়া লিখতে চেষ্টা করে থাকি, দুইখান লাইন মাথায় ঘুরঘুর করতাছে মেলাক্ষন যাবত। কোথায় লিখবো তা খুজে পাচ্ছি না। এই খানেই তুলে ধরলাম-

তোমরা আমাকে যতোই করো অপমান
তাই বলে ভেবোনা চলে গিয়েছে আমার মান-সম্মান।

সর্তিই কি তাই? নিজের মান সম্মান যদি মনেকরি হিমালয় পর্বত এর মতো তাহলে শত অপমানেও মান সম্মান এর ঘাটতি পরবে কিনা সন্দেহ আছে। আমার এক স্যার বলতেন- কেহ কেহ নিজেকে ভাবে আমি কি হনুরে? আমি এই সব কথা যার জন্য এতোক্ষন ধরে প্যাচাল পরছি সেই উৎকৃষ্ট ব্যক্তি এতো গালাগালি এতো অপমানের পরও যে নিজেকে বিরাট বড় সম্মানিত ব্যক্তি মনে করেন তার জন্য আবারো আমার পক্ষ থেকে তাকে লাল সালাম এর শুভেচ্ছা।

তো জাই হোক ছিলাম কী-বোর্ডে, চলে আসলাম অন্য সাবজেটে। বেহুদা অনেক মনেক কথা বলে ফেললাম। আবারো কী-বোর্ডে চলে যাই। প্রায় ছয় মাস হতে যাচ্ছে আমি সম্পূর্ন ব্যবহার করছি লিনাক্স। লিনাক্সে তো বিজয় নেই। তাই বিজয় ব্যবহার করার তো কোন প্রশ্নই আসে না। ব্যবহার করছি ইউনিজয় নামে একটি কী-বোর্ড। কিছুদিন আগে ফেসবুকে নিউজ পেলাম ইউনিজয় নাকি জব্বর কাকুর বিজয়। জব্বর কাগু জোড় দাবি করছেন এই বিষয়ে। তার এমন উদ্ভট কথা বার্তা শুনে আমি হাসবো নাকি কাদবো বুঝতে পারছি না। নাকি মনকে বুঝানোর জন্য বলবো- পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে কি না খায়?

যেই লোকটাকে বাঙ্গালি মাথায় তুলে রাখতো। যার নাম শ্রদ্ধা ভরে উচ্চারন করতো। তিনি তার মান-সম্মান কেন এভাবে নষ্ট করে ফেলছেন তা আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে বোধগম্য হয় না। মাঝে মাঝেই মনে হয় তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। উনার ভালো চিকিৎসা হওয়া দরকার। বাংলাদেশের পাবনা হাসপাতালে কি পাগলদের ভালো চিকিৎসা হয়? জানা নাই? যদি জানা থাকতো তাহলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করতাম। হায় এতো জ্ঞানী-গুনী একজন মানুষ। তার জ্ঞানের মর্যাদা কেহই দিচ্ছে না সামান্য একটু মাথা খারাপ বলে। আফসোস। বিরাট আফসোস।

ছোট একটা কৌতুক বলি-

দুইজন বন্ধু একটা চিপা গলি দিয়ে হাটছে হঠ্যাৎ একটা পাগলা কুকুর এসে তাদের সামনে হাজির। চোখ দুটো জ্বল জ্বল করছে। হা করে আছে। বড় বড় দাত ঝিলিক দিচ্ছে সূর্য্যের আলোতে। লালা গড়িয়ে পরছে। যে কোন মূহুত্যে আক্রমন করতে পারে। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছে- দোস্ত নড়াচড়া করিস না। দৌড়ও দিস না। তাহলে কুকুর তেড়ে আসবে, কামড়েও দিতে পারে। অপর বন্ধু হতাশ কন্ঠে বললো- নড়াচড়া না করলে কুকুর আক্রমন করবে না, এটা আমিও জানি তুইও জানিন কিন্তু দোস্ত কুকুরটাকি জানে?

আমারো প্রশ্নটা এখানে- কপিরাইট ব্যাপারটা আমি জানি আপনিও জানেন কিন্তু যার জন্য এতো জানাজানি……সেই ব্যক্তিটাকি জানে কপিরাইট কাকে বলে?

হয়তো উনি বেশিই জানে- না হলে সম্পূর্ন উল্টো একটা কী-বোর্ড, যার একটাও কী-বোর্ড বিজয় কী-বোর্ড এর সাথে মিল নেই তা নিয়ে একজন অপ্রাপ্ত ছেলেকে আইন কুনুনের হুমকি কি করে দেন তিনি আমার মাথায় ঢুকে না। উনার জ্ঞান যে কতোটুকু তার ধারনা এই খান থেকেই পাওয়া যায়।

যেখানে এই ছোট বয়সে এতো বড় একটা কাজ করবার জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। সেই খানে সাইফ খাচ্ছে পুলিশি আইন কানুনের হুমকি। এখন তো সাইফ চিৎকার করে বলছে- ভিক্ষা চাই না, কুত্তা সামলান।

স্যার ডেল কার্নেল তার এক লেখায় লিখেছিলেন- তোমার পথ যদি একটা পাগলা কুকুর আগলে ধরে আর এ জন্য যদি তোমাকে অনেকটা পথ ঘুরে তোমাকে তোমার গন্তর্বে পৌছতে হয়, তাহলে তুমি তাই করো। কারন তুমি যদি কুকুরটার সামনে দিয়ে যেতে চাও তাহলে কুকুরটা তোমাকে কামড়ে দিতে পারে। আর এর বিনিময়ে যদি তুমি কুকুরটাকে মেরেও ফেলো তাহলেও কামড়ের দাগটা কিন্তু থেকেই যাবে। তাই কি দরকার কুকুরের সাথে যুদ্ধ করার।

আমারো মতামত স্যার ডেল কার্নেল এর মতো- কুকুরের সাথে যুদ্ধ করে কোন লাভ নেই। এর চেয়ে সাইফ তুমি কুকুরটাকে এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

আমারটা ট্রাই মারি। দেখিতো কি দেখায় I don't know

৩৯

(১ replies, posted in ৫২ তম ব্যাচ)

ক্লিক করলাম waiting ধন্যবাদ দিলাম :কোলাকুলি: খুব ভালো একটা কাজ করেছেন sleepy

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ফোরামকে প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা। দিনকে দিন আরো এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশাই করছি।

জিমেইল এ আগেই দেখেছিলাম। এখন বিস্তারিত জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

১. আপনার থান্ডারবার্ড ওপেন করেন।

২. টুলস মেনুতে ক্লিক করুন এবং সেটিং এ যান।

৩. ড্রারপ-ডাউন মেনু থেকে  Add Mail Account… সিলেট করেন।
http://polashbd.files.wordpress.com/2010/10/1.gif?w=245&h=294
৪. প্রথমে থান্ডারবার্ড অটো কনফিগার করবে আপনার মেইল এড্রেসটাকে। আপনি আপনার মেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Continue তে ক্লিক করুন।
http://polashbd.files.wordpress.com/2010/10/2.gif?w=300&h=94
৫. থান্ডারবার্ড আপনার ইনকামিং এবং আউটগোয়িং কনফিগার অটোমেটিকর করবে এবং এটা এডিট করবার অফশন দিবে আপনাকে।
http://polashbd.files.wordpress.com/2010/10/3.gif?w=300&h=151
৬. আপনি এবার এডিট এ ক্লিক করেন এবং নিচের মতো কনফিগার করেনঃ

    * ইনকামিং এ লিখেন pop.gmail.com
    * ড্রপ-ডাউন অফশন থেকে pop সিলেট করেন।
    * পোর্ট এ লিখেন 995
    * আউটগোয়িং এ লিখেন smtp.gmail.com.
    * ড্রপ-ডাউন অফশন থেকে smtp সিলেট করেন।
    * পোর্ট এ লিখেন 465

৭. এবার ক্লিক করেন Manual Setup এ। ব্যাস আপনার সকল কাজ শেষ। এবার নিশ্চিন্তে ব্যবহার করেন থান্ডারবার্ড।

বিস্তারিত জানতে এইখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

sawontheboss4 wrote:

নীল কাব্য ভাই যে এসেই ছক্কা পিটাচ্ছেন, ভাল লাগলো আপনি এসে পড়েছেন, ফোরামের কাজ এগিয়ে নেবার চেষ্টা করছি, প্রতিনিয়ত শিখছি, আর যতই শিখছি বুঝতে পারছি, অনেক বাকি! আপনাদের দোআ থাকলে এগিয়ে নিতে পারব, রাজশাহীর মানুষ কে এগিয়ে নিতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যাতে সার্থক হয়, সে আশীর্বাদ দেবেন।  :কোলাকুলি:

অবশ্যই প্রান খুলে দোয়া করছি।
নীলকাব্য ধন্যবাদ তোমাকে এসেই সুন্দর একটা লেখা দিয়েছ।

৪৪

(২ replies, posted in কবিতা, গল্পসল্প, উপন্যাস)

ধন্যবাদ! অনেকদিন থেকেই ভাবছি আসবো আসবো কিন্তু আসা হয়ে উঠছিলো না। আমি লিংক হারিয়ে ফেলেছিলাম। আজকে গুগল মামাকে জিজ্ঞাসা করে চলে এসেছি। কেমন আছেন সবাই I don't know

৪৫

(২ replies, posted in কবিতা, গল্পসল্প, উপন্যাস)

মেহেদি

অনন্ত, মেহিদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়?
উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত-
নিজেকে আজকাল বড় বেশি মেহেদি পাতার মতো,
মনে হয় কেন?

উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রনার-
এমন সব বড় বড় গর্ত যে-
তার সামনে দাড়াতে নিজেরী ভয় হয়, অনন্ত।
তুমি কেমন আছো?
বিরক্ত হচ্ছ না তো?

ভালোবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে-
সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত-
আমার জানা ছিলো না।
তোমার উদ্দাম ভালোবাসার দূতি-
জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার ভিতর-
আমার বাহির-
আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী।

অনন্ত, যেই মিথিলা শুখী হবে বলে-
ভালোবাসার পূর্ণ চঁন্দ গিলে খেয়ে-
ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল,
আজ অন্য শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে-
তার মুখে এসব কথা মানায় না,
আমি জানি-
কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না
আমার চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে-
আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত।

উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয়
তোমার সেই ভালোবাসা
পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতোন-
তোমার স্বৃতি।
আমি আগলাতেও পারি না,
আমি ফেলতেও পারি না।
শুখী হতে চেয়ে এখন দাড়িয়ে আমি-
একলা আমি-
কষ্টের তুষার পাহারে।

অনন্ত তোমার সামনে দাড়ানোর কোন –
যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট নেই।
তবুও,
তবুও তুমি একদিন বলেছিলে-
ভেজা মেঘের মতো-
অবুজ আকাশে উড়তে উড়তে-
জীবনের সুতোয় যদি টান পরে কখনো?
চলে এসো, চলে এসো-
বুক পেতে দেব-আকাশ বানাবো
আর হাসনা হেনা ফুটাবো।

সুতোয় আমার টান পরেছে অনন্ত,
তাই আজ আমার সবকিছু,
আমার এক রোখা জেদ,
তুমি হীনা শুখী অনেক স্বাপ্ন!
সব, সবকিছু জলাঞ্জলী দিয়ে-
তোমার সামনে আমি নত জানু-
আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও।
কথা দিচ্ছি- তোমার অমর্যাদা হবে না কোনদিন।

অনন্ত, আমি জানি-
এখন তুমি একলা পাষান কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও,
প্রচন্ড এক অভিমানে-
ক্ষনে ক্ষনে গর্জে উঠে অগ্নিগিরি।
কেউ জানে না, আমি জানি-
কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না,
ঘরের মাঝে ঘর থাকে না,
উঠোন জোরার উপর কলস-
তুলসি তলের ঝড়া পাতা,
কুয়ো তলার শূন্য বালতি-
বাসন-কোসন, পূর্নিমা-অমাবর্ষা,
একলা ঘরে এই অনন্ত-
একা শুয়ে থাকা।
কেউ জানে না, আমি জানি-
কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে-
সব হরিয়ে বুকের তলের চিতানলে-
কেন তুমি নষ্ট হলে?
কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে-
কেউ জানে না, আমি জানি-
আমিই জানি।

আগামি শনিবার ভোরের ট্রেনে তোমার কাছে আসছি।
অনন্ত, আমার আর কিছু না দাও- অন্তত শাস্তিটুকু দিও।
ভালো থেকো!
তোমারি হারিয়ে যাওয়া মিথিলা।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------
ডাউনলোড: এইখানে গুঁতো দিন  :cool:
পূর্বপ্রকাশিত: আড্ডার আসর

এক কথায় বলতে গেলে দারুন হয়েছে। প্রথম দুটো খুবই ভালো লেগেছে :ইয়াহু:

আড্ডার আসর বিগত ১৫-২০ দিন যাবত ঘুম আক্রান্ত রোগে ভুগতে ছিলো। যখনি নক করা হতো তখনি ঢুকা যেতো না। আমার ক্ষেত্রে বেশি কারন আমি মাঝে মাঝেই গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডার আসরে এবং বিভিন্ন সাইটে বিচরন করে থাকি। মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো এ রকম ঘুমন্ত আড্ডার আসরের কান্ড কারখানা দেখে। এমন রোগ থেকে আশু রোগ মুক্তির জন্য নতুন হোস্ট নেওয়া হয়েছে আড্ডার আসরের জন্য। আড্ডার আসর ফোরামের সদস্য এবং আইটেক বাংলার পরিচালক সালেহ ভাই এ ব্যাপারে আমাকে খুবই সাহায্য করেছেন। এক কথায় বলতে গেলে উনার এ ঋন কোনদিন শোধ করতে পারবো না  big grin । আড্ডার আসরের গুতোনি বিশেষজ্ঞ রাসেল আহমেদ খুবই ব্যস্ত। তার সাথে বহুবার কন্ট্রাক করেও তার কোন সাড়া না পাওয়াতে টেকনিক্যাল সাবজেট আমাকেই হেন্ডেল করতে হয়েছে। দুদিন লাগিয়ে হোস্ট পরিবর্তন করা হয়েছে। আমি এ ব্যাপারে খুবই আনাড়ি। আমাকে সব সময় হাতে কলমে দেখিয়ে দেখিয়ে সাহায্য করেছেন সালেহ ভাই। ডাউন লোড আর আপলোড আমি করলেও সালেহ ভাই শেষ কাজটুকু করেছেন খুবই দক্ষতার সহিত। এই জন্যই মনে হয় সবাই বলে- "ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে"  :চিন্তা: । আড্ডার আসরের ব্যাকাপ নেয়া হয়েছিলো গত - ০১-০৬-১০ইং তারিখ বিকেলের দিকে। তাই তারপর যে সকল পোষ্ট এবং মন্তব্য করা হয়েছিলো তা সবই মুছে গিয়েছে। এ জন্য আমি আন্তারিক ভাবে দু:খিত। তবে বেশি লজ্জিত না কারন আড্ডার আসরের ফোরামের নিয়মাবলীর মধ্যে লেখা ছিলো- "আপনার লেখা আপনার পৈত্রিক সম্পক্তি, নিজ দায়িত্বে তা সংরক্ষন করুন। আপনার লেখা নষ্ট বা বিলুপ্ত হয়ে গেলে, ফোরাম কর্তৃপক্ষ এ জন্য দায়ি নয়, তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে আল্লাহ মালুম কায়দা অবলম্বন করতে বাধ্য হবে"।
আমাদের আড্ডার আসর এখন চলছে অবসর.কম এই হোস্ট সাইটে। এখন থেকে মনে হয় আড্ডার আসর আর ঘুমিয়ে পড়বে না যখন তখন। তাই আসুন নতুন করে আবারো হাতে হাত রেখে, চিৎকার দিয়ে বলি- "এসো দেই জমিয়ে আড্ডা, মিলি প্রাণের টানে"।

http://9gag.com/photo/24334_540.jpg

BD বলেই ভাইজান আমার চোখের দিকে প্রশ্নবোধন চিহ্নের দৃষ্টিতে তাকাইলো। ভাইজান বলতে আমার বক্তের সম্পকের ভাই না। আমার অফিস কলিগ। তার তাকানোর দৃষ্টিতেই বুঝলাম এখন কোন কিছু জিজ্ঞাসা করবেন।

: পলাশ ভাই! নামের পিছে BD কেন?

: এটা টাইটেল।

আমি সর্টকাটে উত্তর দিলাম।

: এটা আবার কেমন টাইটেল। হাতকাটা, পাকাটা, কান কাটা, গাল কাটা টাইটেল শুনেছি, এ রকম BD টাইটেল তো এর আগে কখনো শুনি নাই!

: ভাই দুনিয়া কি থাইম্মা থাকে নাকি! নিত্য নতুন টাইটেল প্রতিদিনই আবিস্কার হচ্ছে। BD টাইটেল হচ্ছে ডিজিটাল টাইটেল।

: BD মানে কি?

আমি অবাক নয়নে তাকাইলাম। আমার এই ভাইজানের একটা প্রবলেম আছে। যখন কোন প্রশ্ন মাথায় ঢুকে তার উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত সর্বক্ষনই তার মাথায় সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। ভাইজানের মাথায় প্রশ্নটা ঘুরপাক খাক কিছুক্ষন, আমি একটু ফ্রেস হয়ে আসি। একটা কলম আর খাতা তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমি বললাম, “ভাই BD এর মিনিং বাহির করতে থাকেন, দেখি কেমন পারেন, না পারলে তো আমি আছিই। বলে আমি ওয়াস রুমের দিকে পা বাড়ালাম।

কিছুক্ষন পর BD এর মিনিং শুনে তো আমার মাথা হট হয়ে গেল। তিনি খুব আগ্রহের সাথে আমকে বলতে থাকলেন, ফাস্ট নেম উপল, লাস্ট নেম BD, টোটাল নেম উপল BD। উপল তো ঠিক আছে, কথা বার্তা BD নিয়ে। B দিয়ে হয় বান্ধর, আর D দিয়ে হয় ডক্টর। তাহলে দাড়ালো, “ উপল বান্ধরের ডাক্টার”। বড়োই সিম্পল।

আমি অবাক হয়ে ভাবতে থাকলাম, এতো জ্ঞান উনি কোথায় রাখেন?

[note=]বি:দ্র: সরি উপল বাংলাদেশ ভাই!!![/note]

Html সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা আছে কিন্তু php সম্পর্কে একদমই নেই। কয়েকবার ট্রাই মারছিলাম। মাথা কেমন যেন চক্কর মারে। তবে এখনো ট্রাই মাইরাই যাইতাছি। দেখি কপালে কি আছে।

৫০

(৭ replies, posted in কবিতা, গল্পসল্প, উপন্যাস)

sawontheboss4 wrote:

আড্ডার আসর থেকে কপি পেস্ট মেরে দিলাম।   (y) not listening

বড়োই কাজের কাজ কইরেছেন! ধন্যবাদ! :ইয়াহু: