Topic: মনের কথা কারে বা শোনাই....

http://chonnochara.co.cc/wp-content/uploads/2010/11/index3.jpeg

প্রথমেই আমার অবস্থানটা বলে নেই। এখন আমি গাজীপুরের এক আলিশান বাড়িতে আলিশান এক বিছানায় শুয়ে ফুল ভলিউমে গান শুনছি। কান তব্ধা লাগা সাউন্ড। গানের কথাগুলো হচ্ছে-


মনের কথা কারে বা শোনাই
শোন ও নাই
আমার মনের কথা
শুনলে বলবে যা-তা
মনের কথা কারে বা শোনাই।

সর্তি কথা বলতে কি- মনের কথা শোনানোর সর্তিই কোন মানুষ নাই। তাই নিরুপায় হয়েই লেখালেখি। যেহেতু কম্পিউটারে বাংলা লেখালেখি করছি বহুকাল ধরে তাই বিজয় কী-বোর্ডই আমার একমাত্র ভরসা। জটিল একখান কী-বোর্ড। বাংলা লেখালেখিতে বিজয় খুব্বী অবদান রেখেছে এ কথাটা স্বীকার করতেই হয়। আমাদের মতো পুরাতন পাবলিকের জন্য বিজয়ই ভরসা। আর এই বিজয়ের মূল নায়ক হচ্ছে জব্বর সাহেব। যদিও কেহ কেহ বলে বিজয় জব্বর কাকু আরেকজন থেকে চুরি/কিনে এনেছেন এবং এখনো পর্যন্ত তাকে সম্পূর্ন টাকা পে করেন নাই। তো যাই হোক চুরি করেই আনুক অথবা কিনেই আনুক তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নাই। দেশের জন্য না হোক নিজের ব্যবসার জন্য হলেও তো তিনি বাংলা ভাষার প্রসার করেছেন। এজন্য আমার পক্ষ থেকে উনাকে ব্যবসায়ীক লাল সালাম। আমিও এক সময় ব্যবসা করেছিলাম। আমি বুঝি একটা পন্যের পিছে কতোটা শ্রম দিতে হয়। কতো পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করতে হয়। টাকা উপার্জন করতে করেত কেউ কেউ এমন পর্যায়ে পৌছে যায়, তখন টাকা বাদে কিছুই চিন্তায় থাকে না। চোখের চারপাশে শুধু টাকা ঘুর ঘুর করে। আমার বাবা বলতেন কিছু কিছু লোক পৃথিবীতে আছে যাদেরকে একটা চড় দিয়ে দুটো টাকা হাতে ধরিয়ে দিলে তারা হাসিমুখে সালাম ঠুকবে। আমাদের জব্বর কাকু অবশ্য এ সকল ব্যবসায়ী ব্যক্তিদগের কাতারে পরেন না। তিনি আরও উন্নত আরও উৎকৃষ্ট।

আমার মনে হয় উনার স্লোগান হচ্ছে- মান চাই না, মানি চাই।

এই তো কিছুদিন আগে- অনলাইনে প্রতিটি ফোরামে, ব্লগে, টুইটারে, ফেসবুকে তাকে যে ভাবে অপমানিত করা হয়েছে। তারপরও উনি যে এখনো পর্যন্ত এ সকল অপমান কর্নপাত করছেন না এটা ভেবে আমার মাঝে মাঝেই টাসকি খাবার মতো অবস্থা হয়। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে- গন্ডারের চামড়া। এটা কবে পরিবর্তন হয়ে বলা শুরু হবে- কাগুর চামড়া। বড়ই টেনশনে আছি। দেখা যাবে পরিক্ষার খাতায় উত্তর লিখছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের আন্ডাবাচ্চারা- কাগুর চামড়া বলতে কবি এখানে কিসের চামড়া বুঝিয়েছেন? উদাহরন সহকারে ব্যাখ্যা করো?

আমি মাঝে মাঝেই কবিতা/ছড়া লিখতে চেষ্টা করে থাকি, দুইখান লাইন মাথায় ঘুরঘুর করতাছে মেলাক্ষন যাবত। কোথায় লিখবো তা খুজে পাচ্ছি না। এই খানেই তুলে ধরলাম-

তোমরা আমাকে যতোই করো অপমান
তাই বলে ভেবোনা চলে গিয়েছে আমার মান-সম্মান।

সর্তিই কি তাই? নিজের মান সম্মান যদি মনেকরি হিমালয় পর্বত এর মতো তাহলে শত অপমানেও মান সম্মান এর ঘাটতি পরবে কিনা সন্দেহ আছে। আমার এক স্যার বলতেন- কেহ কেহ নিজেকে ভাবে আমি কি হনুরে? আমি এই সব কথা যার জন্য এতোক্ষন ধরে প্যাচাল পরছি সেই উৎকৃষ্ট ব্যক্তি এতো গালাগালি এতো অপমানের পরও যে নিজেকে বিরাট বড় সম্মানিত ব্যক্তি মনে করেন তার জন্য আবারো আমার পক্ষ থেকে তাকে লাল সালাম এর শুভেচ্ছা।

তো জাই হোক ছিলাম কী-বোর্ডে, চলে আসলাম অন্য সাবজেটে। বেহুদা অনেক মনেক কথা বলে ফেললাম। আবারো কী-বোর্ডে চলে যাই। প্রায় ছয় মাস হতে যাচ্ছে আমি সম্পূর্ন ব্যবহার করছি লিনাক্স। লিনাক্সে তো বিজয় নেই। তাই বিজয় ব্যবহার করার তো কোন প্রশ্নই আসে না। ব্যবহার করছি ইউনিজয় নামে একটি কী-বোর্ড। কিছুদিন আগে ফেসবুকে নিউজ পেলাম ইউনিজয় নাকি জব্বর কাকুর বিজয়। জব্বর কাগু জোড় দাবি করছেন এই বিষয়ে। তার এমন উদ্ভট কথা বার্তা শুনে আমি হাসবো নাকি কাদবো বুঝতে পারছি না। নাকি মনকে বুঝানোর জন্য বলবো- পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে কি না খায়?

যেই লোকটাকে বাঙ্গালি মাথায় তুলে রাখতো। যার নাম শ্রদ্ধা ভরে উচ্চারন করতো। তিনি তার মান-সম্মান কেন এভাবে নষ্ট করে ফেলছেন তা আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে বোধগম্য হয় না। মাঝে মাঝেই মনে হয় তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। উনার ভালো চিকিৎসা হওয়া দরকার। বাংলাদেশের পাবনা হাসপাতালে কি পাগলদের ভালো চিকিৎসা হয়? জানা নাই? যদি জানা থাকতো তাহলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করতাম। হায় এতো জ্ঞানী-গুনী একজন মানুষ। তার জ্ঞানের মর্যাদা কেহই দিচ্ছে না সামান্য একটু মাথা খারাপ বলে। আফসোস। বিরাট আফসোস।

ছোট একটা কৌতুক বলি-

দুইজন বন্ধু একটা চিপা গলি দিয়ে হাটছে হঠ্যাৎ একটা পাগলা কুকুর এসে তাদের সামনে হাজির। চোখ দুটো জ্বল জ্বল করছে। হা করে আছে। বড় বড় দাত ঝিলিক দিচ্ছে সূর্য্যের আলোতে। লালা গড়িয়ে পরছে। যে কোন মূহুত্যে আক্রমন করতে পারে। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছে- দোস্ত নড়াচড়া করিস না। দৌড়ও দিস না। তাহলে কুকুর তেড়ে আসবে, কামড়েও দিতে পারে। অপর বন্ধু হতাশ কন্ঠে বললো- নড়াচড়া না করলে কুকুর আক্রমন করবে না, এটা আমিও জানি তুইও জানিন কিন্তু দোস্ত কুকুরটাকি জানে?

আমারো প্রশ্নটা এখানে- কপিরাইট ব্যাপারটা আমি জানি আপনিও জানেন কিন্তু যার জন্য এতো জানাজানি……সেই ব্যক্তিটাকি জানে কপিরাইট কাকে বলে?

হয়তো উনি বেশিই জানে- না হলে সম্পূর্ন উল্টো একটা কী-বোর্ড, যার একটাও কী-বোর্ড বিজয় কী-বোর্ড এর সাথে মিল নেই তা নিয়ে একজন অপ্রাপ্ত ছেলেকে আইন কুনুনের হুমকি কি করে দেন তিনি আমার মাথায় ঢুকে না। উনার জ্ঞান যে কতোটুকু তার ধারনা এই খান থেকেই পাওয়া যায়।

যেখানে এই ছোট বয়সে এতো বড় একটা কাজ করবার জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। সেই খানে সাইফ খাচ্ছে পুলিশি আইন কানুনের হুমকি। এখন তো সাইফ চিৎকার করে বলছে- ভিক্ষা চাই না, কুত্তা সামলান।

স্যার ডেল কার্নেল তার এক লেখায় লিখেছিলেন- তোমার পথ যদি একটা পাগলা কুকুর আগলে ধরে আর এ জন্য যদি তোমাকে অনেকটা পথ ঘুরে তোমাকে তোমার গন্তর্বে পৌছতে হয়, তাহলে তুমি তাই করো। কারন তুমি যদি কুকুরটার সামনে দিয়ে যেতে চাও তাহলে কুকুরটা তোমাকে কামড়ে দিতে পারে। আর এর বিনিময়ে যদি তুমি কুকুরটাকে মেরেও ফেলো তাহলেও কামড়ের দাগটা কিন্তু থেকেই যাবে। তাই কি দরকার কুকুরের সাথে যুদ্ধ করার।

আমারো মতামত স্যার ডেল কার্নেল এর মতো- কুকুরের সাথে যুদ্ধ করে কোন লাভ নেই। এর চেয়ে সাইফ তুমি কুকুরটাকে এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

http://img51.imageshack.us/img51/2053/adda1.png
এলোমেলো আকাশে উড়িয়েছো শাড়ির আচল,
হঠ্যাৎ যেন মেখে দিয়েছো, ঐ দু'চোখে ভালোবাসার কাজল!

আমাকে পাবেন এলোমেলো-তে!!!


Re: মনের কথা কারে বা শোনাই....

শেষের লাইন গুলো পড়ে মনে পড়ল - কুকুরের কাজ কুকুর করেছে ................মানুষের শোভা পায়। কর যেন কবিতাটি...  :চিন্তা:

মেডিকেল বই এর সমস্ত সংগ্রহ - এখানে দেখুন
Medical Guideline Books


Re: মনের কথা কারে বা শোনাই....

আমি কাগুর মত এরকম স্বার্থবাদী ছ্যাচ্চড়  মানুষ আর একটিও দেখিনি। এই চিড়িয়াকে ধরে চিড়িয়াখানায় পাঠানো উচিত।  chatterbox   chatterbox   chatterbox

মোঃ সাঈদুজ্জামান উপল
http://img684.imageshack.us/img684/3410/fb1d.jpg


Re: মনের কথা কারে বা শোনাই....

এরাই দেশটাকে টেনে পিছনে ধরে রাখছে!

Shout Me Crunch আমার ব্যক্তিগত টেক ওয়েবসাইট।