Topic: স্বপ্ন
দেখিয়াছিলাম তারে আমি, পথেরী ধারে
এলোমেলো চুল নিযে তাকিয়ে ছিলো দূর ঐ নদীর তীরে,
উচ্ছৃঙ্খল ছিলো তার শাড়ির আচলে
খসিয়া পড়িয়া ছিলো তার, বুকেরই পরে।
উচ্ছৃঙ্খল-বিশৃঙ্খল, এলোমেলো সাজে
সজ্জিত কোন এ মেয়ে?
প্রশ্ন জেগেছিলো আমারি মনে-
কিছুক্ষনের জন্য দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম,
হারিয়ে ফেলেছিলাম পথ চলার পিপাসা,
আমার এ পায়ে-
সামনে গিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম-
“তুমি কোন গায়ের মেয়ে”?
ফিরিয়া তাকাইলো সে, ডাগড় কালো চোখ দু’টো তুলিয়া বলিলো-
আমিতো রয়েছি তোমার জন্যই দাঁড়ায়ে,
পথের পাড়ে, নদীর তীরে-
এই শস্য-শ্যামলা মানুষের ভীড়ে।
তুমি কি সকলই ভুলে গেছ?
গিয়েছ কি আমায় ভুলে?
বলিল মেয়েটি-ডাগড় কালো চোখ দু’টো তুলে।
চিনিলাম তারে আমি, বলিলাম-
আমিওতো আজও রয়েছি তোমার জন্য পথেরই পাড়ে
এই নদীর তীরে,
শস্য-শ্যামলা পৃথিবীর মানুষের ভীড়ে।
হাসিয়া উঠিলো সে-
যেন মুক্ত ঝরিয়া পড়িলো পথেরই শেষে,
খসিয়া পড়িলো শাড়ির আচল দমকা হাওয়ায়,
উড়িতে লাগিল বাতাসে কারুকার্যময় এলো চুল,
মনে হতে লাগলো এ-তো হুরপরী
আমি চিনতে নিশ্চয় করিনি ভুল।
মেয়েটি বলিল-
তাহলে কেন তুমি খুঁজোনি আমায়
পথের পাড়ে, এই নদীর তীরে,
এই পৃথিবীর মানুষের ভীড়ে?
বলিলাম তারে আমি-
খুঁজিয়াছিলাম তোমারে আমি…….
কিন্তু তোমায় তখন পাইনি,
আজ যখন তোমারে পেয়েছি এই নদীর তীরে,
চলে এসো আমার কাছে, আমার হাতে হাতটি রাখ
চলো আমরা চলে যাই,
এই মানুষের ভীড় ছেড়ে,
শস্য-শ্যামলা কোন অজানা নদীর তীরে।
আবারো হাসিয়া উঠিলো মেয়ে-
খসিয়া পড়িল শাড়ির আঁচল বুক থেকে তার-
বলিল-
যেতে যে পারবোনা তোমার সাথে এখন আর!
বিস্মিত হইয়া বলিলাম-
কেন?
ভালোবাসনা তুমি কি আমায় এখন ও?
বলিল সে-
শিশিরের বুকে আমি থাকতে চাই,
দেখতে চাই রঙ্গিন স্বপন!
বাসতে চাই সবাইকেই ভালো,
শুধু এক জনাকে নয়!
জাননা, নারী ভালো ভাসতে পায় ভয়!
ভাঙ্গিল স্বপন, কাটিল ঘোর,
শোয়া থেকে উঠে বসলাম,
মনে মনে ভাবিলাম-
কি যেন বলা হয়নি তাকে,
কি যেন বলতে চাচ্ছিল সে আমাকে,
কি যেন রয়ে গেছে বাকি,
বুঝিলাম, ভালোবাসা সেতো স্বপ্ন আর বাস্তব
দু’ এর মাঝেই ফাকি!!!

এলোমেলো আকাশে উড়িয়েছো শাড়ির আচল,
হঠ্যাৎ যেন মেখে দিয়েছো, ঐ দু'চোখে ভালোবাসার কাজল!
আমাকে পাবেন এলোমেলো-তে!!!