লেখালেখির সুবাদে সম্প্রতি বাংলা একাডেমীতে শেষ হয়ে যাওয়া ‘ঢাকা লিটফেষ্ট’ এ নজরুল মঞ্চের সামনে বসে কবিদের কবিতা আবৃতি শুনছিলাম।বটের ছায়া ঘেরা এ স্থানটিতে আসলে এমনিতেই মন ভাল হয়ে যায়।কারন নজরুল মঞ্চের ছায়া ঘেরা বিখ্যাত বট গাছ,যে গাছ না থাকলে নজরুল মঞ্ছ পরিপুর্নতা পেতনা।হঠাত উপরের দিকে চোখ পড়লে আতকে উঠলাম।ভাল করে চেয়ে দেখলাম এ গাছটি বিরাট হুমকির মুখে।এর ছড়িয়ে থাকা ডাল গুলো এখনি যদি রক্ষা করার ব্যবস্থা না নেয়া হয় তা হলে যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে।বিশেষ করে ঝড় বৃষ্টিতে যে কোন মুহুর্তে এর চার পাশের বিস্তৃত ডাল গুলো ভেঙ্গে পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই।বট গাছ এমনিতেই ভঙ্গুর প্রজাতির গাছ।তাই বাংলা একাডেমী সহ সরকারের প্রতি আহবান করছি আর দেরী না করে এখনি এ গাছটিকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হোক।আমার ব্যক্তি গত একটি পরামর্শ হল;চার দিকে প্রসারিত ডালের স্থানে স্থানে  ষ্টীলের বিম মাটিতে গেড়ে তার সাথে ডাল গুলো ভাল করে বেঁধে দেয়া হোক,যাতে করে ঝড় তুফানের সময় ডাল গুলো নড়াচড়া করলেও যেন ভেঙ্গে না পড়ে।অথবা বিশেষজ্ঞ থেকে পরামর্শ নিয়ে যে ভাবে ভাল হয় সে ভাবে এ গুরুত্ব পুর্ন গাছ টিকে রক্ষা করা হোক।না হয় পরে হাজারো আফসোস করলেও কোন কাজ হবেনা।আর এ কাজটি বই মেলা-২০১৭ শুরু হওয়ার আগেই শেষ করার অনুরোধ করছি।সাহিত্য প্রেমি সবাইকেও এ বিষয়ে সোচ্ছার হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।fb-blog সহ যে যেভাবে পারেন এ ব্যাপারে লেখা লেখি করুন।আর এই হবে জাতীয় কবির প্রতি মহা এক সন্মান প্রদর্শন।

মায়ানমারের মুসলমান মেয়েরা গনি মতের মাল নাকি যে মায়ানমারের সেনাবাহিনী সহ বৌদ্ধরা সবাই মিলে তাদের ধর্ষন শেষে আগুনে পুড়িয়ে মারছে।এ ব্যাপারে বিশ্ব নেতারা চুপ কেন জবাব দিবেন কি?
আমাদের দেশের বৌদ্ধ ভাইয়েরাও প্রতিবাদ করছে না কেন বুঝতে পারছিনা।আমারা তো প্রতিনিয়তই ওদের উপর কিছু হলেই কঠোর প্রতিবাদ করছি।আসুন আমরা সবাই মিলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।একে অন্যের জন্য কাঁদি।অন্যের দুঃখে যে চোখে জল আসেনা সে আবার চোখ হয় কি করে।যার হৃদয়ে দয়া আসেনা সে আবার মানুষ বলে দাবী করে কি করে ?

বন্ধুরা ,কেমন হল জানাবেন।

বন্ধুরা,আল্লাহ যদি তওফিক দেন তাহলে আগামী ২০১৫ তে একটি প্রেমের বই প্রকাশ করার ইচ্ছে করছি।বইটির নাম হবে "প্রেম ও যৌবণ"।না এটি গতানুগতিক কোন প্রেমের বই হবেনা,এটি হবে আধ্যাত্ত প্রেমের বই।এখন কথা হচ্ছে বইয়ের জন্য এখনো তেমন কোন কবিতা লেখা হয়নি।মাত্র গতকাল (০১/০৫/১৫) এ চিন্তা মাথায় এসেছে।তাই কিছুটা লেখা আরম্ভ করছি,বন্ধুদের কাছে শুভ কামনা ও দোয়া প্রার্থনা করছি যেন আশা পূরণ হয়।সবার জন্য রইল শুভ কামনা।ও হ্যাঁ বইয়ের জন্য সদ্য লিখিত একটি কবিতা লিখলাম,কেমন হল জানাবেনঃ-
                       "প্রেমের শরাব"
পিয়েয়েছ সখা মোরে প্রেমের শরাব এখন আমি যে মাতাল
যে দিকে তাকাই তোমায় দেখি স্বর্গ ,মর্ত্য ,পাতাল।
আমার হিয়া মিশে গিয়াছে তোমার হিয়ার মাঝে
বিচ্ছেদ তা করতে  পারেনা দুনিয়ার কোনো লাজে।
লাজ,শরম আমি দূরে সরে দিয়ে মজেছি তোমার প্রেমে
তৃষিত হৃদয়ের তৃষ্ণা মিটাই শরাব সাগরে নেমে।
যত পিহি শরাব তৃষ্ণা মিটাতে তৃষ্ণা যে আরো বাড়ে
বল সখা ওরে তুমি ছাড়া এ তৃষ্ণা কে মিটাতে মোর পারে।
হর রোজ আমি শরাব সাগরে ডুবে হই একাকার
মন তাতে মোর বাধ মানেনা ডুবে যেতে চায় বার বার।
এ শরাব সাধ বুঝাবো কেমনে মোর নাই তাতে ভাষা
তুলনা বিহিন এর তুলনা লক্ষ তুলনায় ঠাসা।
যদি চাহি আর পিহিবোনা  ভুলে ফের গিলে ফেলি
হাজারো ফুলের নির্যাস তাতে চম্পা,চামেলি,বেলী।
একবার যাকে পিয়াও এ শরাব সে যায় তাতে মজে
আসমান,জমিন পাহাড়,পর্বত সবখানে তার খুঁজে।
নেশায় তাহার বুঁদ হয়ে যায় নেশা তার ভারী
কাটেনা এ নেশা সখা বিহনে মাথায় মার শত বাড়ি।
চার দিকে দেখে সখার ছবি অন্য তাহাতে নাই
মন চায় শুধু সখারে দেখতে,চাই আর শুধু চাই।
সখা যদি ক্ষনিক যায় যে লুকিয়ে অথবা লুকাতে চায়
চার দিকে ব্যাথায় ধ্বনি যে উঠে হায় ,হায়,হায়,হায়।
এ ধ্বনি বাজে স্বর্গে,মর্ত্যে চার দিকে উঠে শোর
পটাপট করে খুলে যায় যত ফানা-ফিল্লাহর দোর।
যে পিয়ে প্রেমের মাতাল শরাব সে ডুবে হয় তাতে লীন
বেহুস,বেহাল মাতোয়ারা হয় শুনে যে সখার বীন।
আমিও পিয়ে প্রেমের শরাব পড়েছি প্রেমের ঘোরে
ধ্যানে কেটে যায় সারা রাত,দিন,সকাল,বিকাল,ভোরে।
রচনা কালঃ০১/০৫/২০১৫ইং

সবাই ভাল থাকুন।

্মানুশের মাঝে জেগে উঠুক
মানুষত্ত বোধ
দুনিয়ার থেকে দূর হ্য় যাক
সকল অবরোধ।

ভালো থেকো সবাই...............।

্প্রেম যেন এক খাসী ছাগলের কিমা
কেউ খুব শখ করে খায়
কেউবা আবার নাক সিটকায়।।
অথবা,
প্রেম যেন ঢাকার ব্যস্ত গুলিস্তান
কেউ এথায় বেহুদা দাঁড়ায়
কেউবা আবার দোড়ে পালায়...............।

বন্ধুরা,তোমরা কেমন আছো? আমি ভালো নেই কারন;মগের মুল্লুক-মামুনুর রশীদ
দেশটা এখন মগের মুল্লুক
যার মন যা চায়
নিজ শ্বার্থের স্বপক্ষেতে
করছে সে যে তায়।
দেশ-জনগন যাক যে চুলায়
তাতে তাদের কি
মানুষ মেরে আগুন দিয়ে
দেখায় আবার ভি।
নেই ভেদাভেদ ন্যায় অন্যায়ের
তালগাছ আমার চাই-ই
গাছ না পেলে আপস নহে
তাই নাই নাই নাই।
মগের দেশে আছি এখন
বুক ধড় পড় ধড়
গদির লোভে পুড়ছে সদা
মোদের সুখের ঘর।

tazkianur wrote:

আয়েশা সিদ্দিকা হল এর কোন নাম গন্ধ নাই কেন???
আমরা বড়ই অবেহেলিত.. আমরা মানি না,মানব না...
বিচার চাই।

   আমরা সবাই রাজা,আমাদের এ সোনার দেশেতে............।।

ও মেয়েরা বাসে ঊঠিস বুইজ্জা
সব খানেতে চেয়ে গেছে লুইচ্ছা।
সেমতে,
হোস্টেলের নাম বলিস তোরা বুইজ্জা
হয়ত পাশে লুকিয়ে আছে লুইচ্ছা।

কালের ঘড়ি--মামুনুর রাশীদ
হয়ত আজ থেকে অনেক যুগ পরে
এই সিমান্ত শহরের কোন প্রাচীর থাকবেনা
ঘুনে পোকা আক্রান্ত কাষ্ঠের মত
ধীরে ধীরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ধ্বসে যাবে।
সেখানে গড়ে উঠবে আর এক নতুন প্রাচীর
তাতে অঙ্কিত হবে নতুন ছবি কোন শিল্পী সব্যসাচীর।

এ আলো ঝল মলে শহরের রৌশনি আর থাকবেনা
নতুন আলোয় ঝলমল করবে অন্য রুপে
সুয্যের করোপুটে আলোর বন্যায় ভেসে যাবে
রাতের শীতল চাঁদ জোসনা ছড়াবে উত্তাল ভাবে
আকাশে আনন্দ নৃত্য হবে আলোর রাশির
নর্তকী নাচের শব্দ শোনা যাবে উলঙ্গ হাসীর।

তখনও শেষ হবেনা সময়য়ের কথন অথবা জীবন তরী
যুগান্তরের সব কথা টিক টিক বলে যাবে কালের ঘড়ি।।
রচনাকাল,সিলেটঃ২৮/০৬/২০০৫ ইং

Tolstoy তার বিখ্যাত গল্প What men live by তে প্রেম ও মানবতা বোধের অমর চিত্র নির্মান করে গেছেন।যে গল্পে আমরা পাই জীবণ দর্শন ও মানবতা বোধের অমর বাণী।এ গল্পের সারাংশে আমরা খুঁজে পাই Love is God.অর্থাত প্রেমই ঈশ্বর।বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের প্রতি মানুষের নির্দয় আচরনের এ ক্রান্তি লগ্নে যে কোন ভাবুক মানুষকেই এ গল্পটি ভাবিয়ে তোলে.ভোঁতা অনুভুতিতে আঘাত করে ও বিবেকের মাঝে মানবতা বোধকে জাগ্রত করে।এ গল্পে আমরা দেখতে পাই স্বর্গীয় দূত মিখাইল তিনটি ঐশ্বরিক সত্ত্য জানার জন্য পৃথিবীর বুকে প্রেরিত হয়। স্বর্গীয় দূতের শাস্তি স্বরূপ ঈশ্বর কর্তৃক পৃথিবীতে প্রেরিত হয় তিনটি Divine truth জানার জন্য। স্বর্গীয় দূত মিখাইল কেন ঈশ্বর কর্তৃক শাস্তি পেতে হয়েছিল আমরা সে দিকে যাবনা কিন্তু মিখাইল কর্তৃক তিনটি ঐশ্বরিক সত্ত্য জানার মধ্য দিয়ে আমাদের ও কিছু শিক্ষনীয় আছে কিনা তা আলোচনা করবো।প্রথমে তিনটি ঐশ্বরিক সর্ম্পকে আলোচনা করবো। তিনটি ঐশ্বরিক সত্ত্য প্রথমটি ছিল;What men have?(মানুষের কি আছে)। স্বর্গীয় দূত এর উত্তর পেয়েছিল;Men have love for others (মানুষের অন্যের জন্য প্রেম আছে)।The first truth was reveled to Mikhail when Matrona wife Simon took pity on him and gave him food. স্বর্গীয় দূত যখন মানব আকৃতি নিয়ে গির্জার গায়ে হেলান দিয়ে মাটিতে বিপযর্স্ত হয়েছিলেন তখন মুচি সাইন দয়াপরবশ হয়ে তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং সাইমনের স্ত্রী মাত্রোনা স্বামীর সাথে নতুন আগুন্তুককে দেখে প্রথমে ক্রুদ্দ হয় পরে আবার এই মাত্রোনাই ঐশ্বরের কথা স্মরণ হওয়ায় মানবরুপী স্বর্গীয় দূতকে খাদ্য পরিবেশন করেন আর তখনই স্বর্গীয় দূত প্রথম ঐশ্বরিক সত্ত্যের উত্তর পেয়ে যান,Men love for others.
                               দ্বিতীয় ঐশ্বরিক সত্ত্যের পটভূমি ছিল;What men do not have?এর উত্তর সে এভাবে পেয়েছিল;When the fat rich man came to place order for a pair of boots. the second truth is that men do not have any knowledge of what many happen to them the moment or hour of the day.মোটা ধনী লোকটি এমন এক জোড়া বুট তৈরীর ফরমায়েশ দিলেন যা এক বছরের মধ্যে ছিড়বেনা,অতচ মৃত্যুদূত তার সন্নিকটেই তখন অবস্থান করছিল।ধনী লোকটি যদি জানতো যে কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হবে তাহলে নিশ্চয় সে বুট তৈরীর ফরমায়েশ দিতেন না।মানুষ তার সম্মুখ জ্ঞানের অভাব হেতুই যা ইচ্ছে তা করে বসে,না হয় সে ভেবে চিন্তেই কাজ করত।তাইত স্বর্গীয় দূত দ্বিতীয় ঐশ্বরিক সত্তের সমাধান পেয়ে যান;Men do not have any knowledge of what may happen to them the next moment.
        তারপর স্বর্গীয় দূত what men live by (মানুষ কি নিয়ে বাঁচে)?তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর ও পেয়ে যান;When the women come with the two girls to place orders for the shoes of the twins. The third truth is that men live by the force of love with in them. men live not for their own sake. but for others.মুচি সাইমন ও মিখাইল জুতা বানানো অবস্থায় দুটি ফুট ফুটে মেয়ে সহ যে স্ত্রীলোকটি তাদের কাছে মেয়ে দুটির জুতো তৈরী কর দেয়ার জন্য এসেছিল তাদের মধ্যে একটি মেয়ের পাঁ ছিল খোঁড়া।কথা প্রসঙ্গে স্বর্গীয় দূত মিখাইল জানতে পারে মেয়ে দুটি স্ত্রীলোকটির আপন মেয়ে নয়।মেয়ে দুটি ছিল স্ত্রীলোকটির প্রতিবেশী এক মহিলার মেয়ে যিনি মেয়ে দুটিকে প্রসব করার সময় মারা যান এবং ওই সময় একটি মেয়ের উপর গড়িয়ে পড়ার কারনেই আজ একটি মেয়ের পাঁ খোড়া।ঘটনা ক্রমে এ স্ত্রীলোকটিরও সন্তান মারা যায় তাই মা মরা মেয়ে দুটির জন্য স্ত্রীলোকটির মমতা লেগে যায় এবং সে থেকেই মাতা পিতাহীন মেয়ে দুটিকে স্ত্রীলোকটি নিজ মেয়ের মতই লালন পালন করে বড় করে এবং আজ মেয়ে দুটি ছাড়া স্ত্রীলোকটির জীবণ মুল্যহীন।
           এ জানার মধ্য দিয়েই স্বর্গীয় দূত তার তৃতীয় ঐশ্বরিক সত্তের উত্তর পেয়ে যান;Men live by the force of love with in then. Men live not for their own sake. but for others (মানুষ নিজের জন্য বাচেঁনা,বাচেঁ পরের জন্য)।তিনটি ঐশ্বরিক সত্ত জানার পর ঈশ্বর কর্তৃক স্বর্গীয় দূতের পাপ মুক্ত হয়ে সে পূর্ণবার স্বর্গে ফিরে যায়।
                এখন দেখা যাক স্বর্গীয় দূতের সাথে সাথে এ তিনটি ঐশ্বরিক সত্ত জানার মধ্য দিয়ে আমাদেরও করনীয় কিছু আছে কিনা।প্রথম সত্ত জেনেছি মানুষের অন্যের জন্য প্রেম আছে।দ্বিতীয় সত্ত মানুষের পর মুহুর্তে যে কি ঘটবে সে জ্ঞান তার নেই।তৃতীয় সত্ত মানুষ পরের জন্য বাঁচে।হ্যাঁ মানুষের অন্যের জন্য প্রেম আছে বলেই আমরা দেখতে পাই পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে যারা পরের জন্য নিজকে বিলিয়ে দেয়।পরের সাহায্য সহযোগীতায় হাত বাড়িয়ে দেয়।গল্পের মধ্যমে এসত্য জানার পর আমাদের পরস্পরের মধ্যে এ দায়িত্ব বোধ আরো বেড়ে যায় এবং এ সত্তের প্রতি খেয়াল রেখে সমাজে বিচরন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাড়াঁয়।দ্বিতীয় সত্ত জানার পর মানুষের চিন্তাশীল হওয়া উচিত।যার পর মুহুর্ত্যের জীবনের জ্ঞান নেই তাকে সৃষ্টি জগতের সকল অনিষ্ট থেকে ফিরে থাকাই উচিত এবং মানব কল্যানের মধ্য দিয়ে জীবনকে সার্থক করাই উচিত।তৃতীয় সত্ত মধ্য দিয়ে মানবতার এক মহান বাণী আমাদের মাঝে পরিস্ফুটিত হয়ে উঠে।সত্তিই মানুষ নিজের জন্য বাঁচা উচিত নয়।মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করে মানুষকে শুধু নিজের জন্য বেচেঁ থাকা শোভনীয়ই নয়।যে এমন করে তার শ্রেষ্ঠত্বের দাবী চলেনা।মানুষের মধ্যে যদি মানবতাই না থাকলো,সৃষ্টিজগতের জন্য ভালোবাসাই না থকলো তা হলে সে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে দাবী করতে পারেনা।মানুষ কে মানুষ ও মানবতার জন্যই বেচেঁ থাকতে হবে।আর যদি মানুষ এ একটি গুনই নিজের মধ্যে প্রতিফলিত করতে পারে তাহলে তার পক্ষে খারাপ ও নিষ্ঠুর কাজ কখনো সম্ভব নয়।এমন মানুষের জন্যই পৃথিবী হয়ে উঠে সুন্দর ও মধুময়।বর্তমান সংঘাত পূর্ণ বিশ্বে প্রত্যেক মানুষকেই মানবতা,দয়া ও মায়ায় পরিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।তাকে বুঝতে হবে শুধু নিজের জন্য নয়,পরের জন্যও বাচঁতে হবে।তাহলেই পৃথিবী হয়ে উঠবে সুন্দর,মধুময় ও সবার জন্য বাসযোগ্য।আর যিনি উপরের বিধাতা তিনিও চান;Men help each other and love each other.এ গল্পে মানব প্রেমের কথাই উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠেছে।আমাদের শিক্ষনীয় বিষয় নির্দেশ করেছে প্রেম ও মানবতার অমর শিক্ষা,কারন;Love is god.প্রেমই ঈশ্বর।
ব্যত্তিগতঃপবিত্র ঈদুল আযহা একবারেই আমাদের দোরগোড়ায়।ধনী দরিদ্র সবাই আমরা এ দিনে এক সাথে ঈদ ও ঈদের খুশী করবো।এখন এখানে একটি বড় বিষয় হচ্ছে আমরা যারা অর্থবান তারাই শুধু কোরবান দিব কিন্তু আমাদেরই প্রতিবেশী অসহায় গরীব লোকটি হয়ত কোরবানী দিতে পারছেনা এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্য অবশ্যই মানবতা বোধের দায়িত্ব থেকে হলেও তাদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।বেশী না হয় অন্তত এক টুকরা গোস্ত হলেও আমরা তাদের দিব।মনে রাখতে হবে গলা থেকে একটু নিচে নেমে গেলেই সকল খাদ্যের স্বাদ কিন্তু এক হয়ে যায়।তাহলে আমরা কৃপনতা করবো কেনো।সবাই মিলে সমভাবে ঈদ করলেই না তবে ঈদের খুশী।তাইনা?বন্ধুরা,আমরা যেন দরিদ্রদের ভুলে না যাই,এ আহবান রইলো। 
                                                                        মামুনুর রশীদ (কবি,গল্পকার ও ছড়াকার)
                                                                        হাজীবাড়ী,নাওতলা চৌরাস্তা,সোনাইমুড়ী,নোয়াখালী।
                                                                          Email:[email protected]
                                                                                       26/10/2012

সবাই সবাইকে ভালবাসুন।

এর জন্য দায়ী কে ?--মামুনুর রশীদ

সম্প্রতি ছায়াছবি,কার্টুন ও পোষ্টারের মাধ্যমে ইসলাম ও ইসলামের নবী (সঃ)হেয় প্রতিপন্ন করা নিয়ে বিশ্ব ব্যাপি যা ঘটে চলেছে তা নিয়ে ভাবার জন্য বিবেকবান মানুষের যথেষ্ট কারন রয়েছে।কারন নানাবিধ কারনে বিশ্ব এখন এমনিতেই উত্তেজনাপুর্ণ তার মধ্যে আবার একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্টিকে কটাক্ষ করে একের পর এক যা শুরু হয়েছে তা কোন ভাবেই কোন শান্তি প্রিয় মানুষ মেনে নিতে পারেনা।আমেরিকার বাসিল নামক উম্মাদ ছায়াছবি তৈরী করে ইসলামের মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.) যে ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে বিশ্ব ব্যপি অগ্নি স্পুলিঙ্গের সৃষ্টি করেছে উম্মাদটি হয়ত ছবি তৈরীর আগে নিজেও ভাবতে পারেনি যে সে কি করতে যাচ্ছে।যার ফলে এরি মধ্যে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছে,হয়ত আরও হবে।যার মধ্যে আমেরিকার একজন রাষ্ট্রদূতও রয়েছে।
      প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমনটি করা হচ্ছে? পৃথিবীর প্রত্যেক ধর্মের অনুসারিরা তাদের ধর্মের প্রবর্তককে সর্বোচ্ছ শ্রদ্ধা,ভক্তি ও সম্মান করে চলে,এটা সবারই জানা,বাসিলেরও তা না জানার কথা নয়।তাহলে বাসিল জেনে শুনে এমনটি করলো কেন।অবস্থা দৃষ্টে যা বুঝা যাচ্ছে তা হল বাসিল জেনে শুনেই তা করছে।আর তা করেছে অন্যের ইন্ধনে।যার পরিনাম বিশ্ব এখন অগ্নি গোলকের ন্যয় ফুটছে।খবরে প্রকাশ বাসিল কোন ভালো লোক নয়,সে একজন জুচ্ছোর এবং যারা বাসিলকে এ ছবি নির্মানের জন্য টাকা সরবরাহ করে ছবি তৈরী করিয়েছে তারা তা উদ্দেশ্য মুলক ভাবেই করেছে।
যে উদ্দেশ্য ধর্মে ধর্মে জাতিতে জাতিতে বিবেধ সৃষ্টি করে পায়দা হাসিলের চেষ্টা করা।মুসলমানদের সন্ত্রাসি বলে আখ্যা দেয়া।চল চাতুরির মাধ্যমে মুসলমানের দেশের পর দেশ ধ্বংস করে দেয়া।কিন্তু এমনটি আর কতদিন চলবে।প্রত্যেক জিনিসেরই একটি সীমা আছে,সীমা অতিক্রম করলে,পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে অখন সবাই বাচাঁর জন্য শেষ চেষ্টা করে।এখন মুসলমানেরা তাই করছে।কিন্তু বাচাঁর এ চেষ্টাও যেন দোষ।কি নির্মম পরিহাস।কিন্তু যারা এসব জগন্য ঘটনার জন্য দায়ী তারা বহাল তবিয়তেই থেকে যাচ্ছে।আমেরিকা বাক স্বাধীনতার রক্ষক দাবী করে এসব ক্রিমিনালদের পুলিশ পাহারা দিয়ে রক্ষা করে।মুলত তারা এসব ক্রিমিনালদের রক্ষা করে বিশ্ব ব্যাপি সন্ত্রাসকে উসকে দেয়।প্রকৃত সন্ত্রসি কিন্তু আমেরিকাই।আমাদের প্রশ্ন প্রকৃত ঘটনা গুলোর জন্য দায়ী কারা?আর দায়ী এসব মানবতার শ্ত্রুদের আপনারা আমেরিকা,ফ্রান্স জামাই আদরে পুলিশ পাহারা দিয়ে রেখেছেন কেন?এদের বিচার কেন করছেন না।আর বাক স্বাধীনতাই বা কি ? অন্যের ধর্ম ও ধর্মের নবীকে হেয় করার নামক বাক স্বাধীনতা কোন ধরনের রাষ্ট্রবিঙ্গান সমর্থন করে বলবেন কি?দুভার্গ্যের প্রহেলিকা আজ মুসলমানদের গ্রাস করে আছে না হয় তাদের ধর্ম ও তাদের নবী নিয়ে আপনারা ছিনিমিনি করার দুঃসাহস দেখাতেন না।মুসলমানরা সব ধর্ম ও ধর্মের প্রবর্তককে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে,তারাও তাদের ব্যপারে তাই চায়।পৃথিবী ব্যাপি আজ এত গুলো মৃত্যুর জন্য আপনারা দায়ী।আমরা চাই আপনাদের আমেরিকা ও ফ্রান্স আপনাদের উম্মাদ গুলোকে অভিলম্ভে ফাঁসিতে ঝুলীয়ে ও ক্ষমা প্রার্থনা করে মুসলমানদের শান্ত করুন।আর আপনাদের পাগলামি বাক স্বাধীনতার পরিবর্তন করে সভ্য,ন্যয়,ভদ্র ও সুন্দর বাক স্বাধীনতা বিনির্মান করুন,না হয় একদিন হাজারো পাপের কাফপারা দিতে দিতে আপনাদের ধংশ ও পতন শুরু হবে,যে পতন কেউ রুখাতে পারবেনা।

জনাব,বি,স সাহেব।
লেখাটি আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করে বাধিত করবেন।

     নিবেদক,মামুনুর রশীদ (কবি ও ছড়াকার)
           নাওতলা চৌরাস্তা,সোনাইমুড়ী,নোয়াখালী
          Email:[email protected]
                            23/09/2012

ওগো ডাক্তার, মনবতাবাদী হও
সেবার মাঝে বিলিয়ে জীবন,জীবনের কথা কও।
(আমার ডাক্তার বন্ধুদের প্রতি)।

পেচালে পড়ে বেচাল জীবন
লিখতে পারিনা বেশী
লিখবে বন্ধুরা অনেকে অনেক
তাতেই আমি খুশি।

বন্ধুরা লেখা কেমন হল জানাবেন কিন্তু।ফোরামের সবার প্রতি শুভেচ্ছা রইল।

রসিক মামার প্রেমের বয়ান (প্রেমের একাল-সেকাল)
                           -মামুনুর রশীদ(কবি,ছড়াকার)

আমাদের রসিক মামা বয়স পঞ্চান্ন ছুঁই ছুঁই করছে,কিন্তু দেখলে বুঝার উপায় নেই তাহার এত বয়স।রসিক মামা যে শুধু নামেই রসিক তাহা নয় কাজেও তার চেয়ে বেশী রসিক।চাল চলনে রাজকীয় ভাব।সে ছোট বেলা হতে সবার মুখে শুনে আসছি রসিক মামা,রসিক মামা।আজ বড় হয়ে আমরাও তাকে মামা বলেই ডাকছি।ছেলেরও মামা,বাবারও মামা,নাতিরও মামা -মানে এজমালি মামা।রসিক মামা কেন যে সবার এজমালি মামা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তা অনেক গবেষনা করেও রহেস্যের শেষ কিনারায় আসতে পারিনি,তবে এইটুকু জেনেছি যে রসিক মামা ছোট বেলা হতেই বড় ছোট ভেদা-ভেদ না করে সবাইকে ভাগিনা বলে ডাকত।তাকেও সবাই তামাশার ছলে মামা বলে ডাকত।এমনি করেই সে মামা খেতাব লাভ করে। আজ ও ছোট বড় সবার কাছে মামা হয়েই রয়েছেন।তবে এলাকায় মামার সব চেয়ে বড় পরিচয়, মামা একজন ব্যর্থ প্রেমিক।কিন্তু মামার নিজের ভাষায় সম্পুর্ন ব্যর্থ নয়,সার্থকের কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছালে যা বলে তাই।নিন্দুকেরাই হিংসে করে খামখা তাকে সম্পুর্ন ব্যর্থ বলে।
            প্রেম নামক বিষয়টি মামার কাছে পৃথিবীর সব চেয়ে প্রিয় বিষয়। এই বিষয়টি কোন প্রকারে মামার কাছে উপস্থাপন করতে পারলে মামার চোখ দু’টি কালো বিড়ালের মত জ্বল জ্বল করে ওঠে।ছলে বলে,কৌশলে মামা বুঝাতে চান যে, উনি লাইলী-মজনু,শিরী-ফরহাদ,রোমিও-জুলিয়েট এসব বিশ্ববরেণ্য প্রেমিক-প্রেমিকাদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়,বরং ওদের সবার থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি বেশীই হবেন।
                      কেউ যদি বল্ল; মামা,তুমি প্রেমের জন্য কি করতে পারবে।মামা হেসে বলবে মলত্যাগ তো অবশ্যই।সে সাথে পৃথিবী,এর সাথে যদি মঙ্গল গ্রহও চাওয়া হয় তা হলেও দিতে আমার আপত্তি নেই।বলার ধরণ দেখে মনে হবে পুরো মঙ্গল গ্রহটাই যেন মামার বাপ দাদার সম্পত্তি।অবশ্য রসিক মামাও কম নয়,অবস্থাশালী পিতার একমাত্র সন্তান ছিলেন।মা বাবা আদর করে রসিক নাম রাখলো।আর মামাও বড় হয়ে রসিকি করে প্রেমে পড়ল।তার পর ছ্যাকা-বেকা খেয়ে একাই থাকবো পণ করে ঘর না বেঁধে একাই থাকলো এবং মজনু সাহেবের দ্বিতীয় সংস্করন হয়ে প্রেমের গুনকীর্তন করতে করতে সে থেকে এই অবধি এসে পৌঁছলো।
                মামার মত প্রেম বিশেষজ্ঞ পৃথিবীতে বর্তমানে দ্বিতীয় জন আছে কিনা তা একশ আনার মধ্যে দুইশ আনা সন্দেহ।তাকে আমরা নব্য প্রেমিকেরা অনেক আগেই এ বিষয়ে পি,এইচ,ডি ডিগ্রী ফরমাইয়াছি।প্রেম কত প্রকার ও কি? কি?এর গতি বেগ,অক্ষরেখা সহ কি কি ভাবে টক্কর লাগে, সবই মামার নখ দর্পনে।যদি বলি মামা ঐ যে কবি বলেছেন, আমারে দেখতে যাইও কিন্তু ঊজান তলির গাঁও।এ লাইনটি বুঝলাম না।সামথিং রং বলে মনে হয়।মামা বিজ্ঞের মত বলবে,বুঝলিনা ভাগিনা কবি গুলো আস্ত একটা.........।প্রেম পিরিতিতে মহা উস্তাদ।কবিতার চরণ দিয়ে এরা মেয়ে পটাতে মহা উস্তাদ।বুঝলিনা, কবি সাহেবের কোথায় ছিল আর কি।হয়ত দুঃখিনী কথা রাখতে পারে নাই।বাধ্য হয়ে অন্যত্র বিবাহ বসতে হয়েছে,কিন্তু কবি সাহেবকে উজান তলির পথ চিনিয়ে দিতে মোটেও ভূল করেন নি।তোদের কি সব বলে দিতে হবে?কিছু কিছু জিনিস বুঝে নিতে হয়।এই কবি গুলো নিজ কথা সরাসরি বলেনা।কবিতার মাধ্যমে বলে।মনে করে কেউ বুঝবেনা,আরে আমাকে ফাঁকি দেয়া কি এত সোজা?
               মামার কথা শুনে আমরা তাজ্জবের সাথে সাথে বেয়াক্কেল ও হয়ে যাই।সকল ছ্যাঁকা খাওয়া ব্যর্থ প্রেমিকেরাই মামার আসল সাগরেদ। ব্যর্থ প্রেমিকরা অনেক সময় মামার কাছে এসে তাদের ছ্যাঁকার কথা বলতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই চোখের জল ফেলে।মামা তখন হায়! হায়! করস কি? করস কি? বলতে বলতে ওদের চোখের জল নিজ হাতে মুছে দিতে দিতে বলবে, দুঃখ করিস না ভাগিনা।তোদের যুগে প্রেমের অপর নাম বদনা,তাই এটাই ভাগ্যের লিখন বলে মেনে নে।কেউ যদি বলে মামা বদনা নয়,বেদনা।মামা তখন রেগে বলবে বেদনা হলে তো ভালই ছিল কিন্তু তোদের অনেকের তো এখন বদনাই জানের প্রাণ হয়ে গেল।প্রসংগত মামা সেকালের (মামার কালের)প্রেমকে পবিত্র জ্ঞানে ধ্যান করে কিন্তু একালের প্রেমকে মনে করে পবিত্র প্রেমকে কলঙ্কিত করার ছেলে মেয়েদের এক লরে লক্কা চ্ছক্কা খেলা মাত্র।যদি বলি মামা তোমাদের সেকালের প্রেম তাহলে তোমাকে ছ্যাঁকা দিয়ে ব্যাঁকা করলো কেন?মামা তখন অতি করুন ভাবে বলবে, বেচারির দোষ নেইরে!আমার পোড়া কপাল,অবস্থা বেগতিক দেখে বেচারী যেদিন থেকে তাকে ভাগিয়ে নিয়ে যাবার কথা বল্ল সেদিন থেকে অজানা এক ভয়ে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত আমার পাতলা পায়খানা বিষম বেগে নিম্ন মুখে ধাবিত হতে লাগল,আমারত তখন যায় যায় অবস্থা।এই ফাঁকে তার মা বাবা তাকে জোর করে নিকাহ দিয়ে দিল।এ কাহিনী শুনে আর কারো কিছু বলার থাকেনা।
            আমার সাথে মামার খুব ভাব।আমাকে দেখেই বলে ওঠবে;কি ভাগিনা, কত নাম্বারে পাঁ দিয়েছিস?আমি বলি দূর... মামা!আমার কি তোমার মত সৌভাগ্য আছে?মামা তখন রেগে বলবে তুই তো আর এক......।বক্কর-চক্কর কি যেন লিখিস তাতেই সারাদিন মোবাইলে পুটুর পুটুর চলে।নানান জায়গা থেকে অনেক চিঠি পত্র ও আসে শুনি।আমি বলি; মামা,যদি কিছু হয় তা তো তোমার সোহবতেই...।রসিক মামা তখন বিজয়ী ভঙ্গিমায় বলে বসে দেখতে হবেনা আমি কে?আমি রসিক মামার মুখের উপর তখন বলে বসি ব্যর্থ প্রেমিক?রসিক মামা তখন রেগে যায়।
          তো সেদিন রসিক মামাকে দেখলাম বেশ মুডে আছে।আমি আস্তে আস্তে গিয়ে মামার পাশে বসলাম।বল্লো চা খাবি?তেল মেরে বললাম মামা খাওয়ালে খাবোনা এ তুমি কি করে ভাবলে?মামা কিছু না বলে চা নিয়ে এলো।হরেক রকম কথা বার্তার পর বললাম ;মামা, তোমাদের কালের প্রেম আর  একালের প্রেমের মধ্যে তোমার কাছে তফাৎ বলে কি কিছু চোখে পড়ে?অর্থাৎ এ দুকালের প্রেমের মধ্যে কি কোন পরিবর্তন হয়েছে বলে তোমার মনে হয়?রসিক মামা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো ; ভাগিনা, এ যুগে তোরা যে প্রেম করিস তা কি প্রেম হলো? থু......।আমি বল্লাম,মামা তুমি কিন্তু প্রেমকে অপমান করছো?মামা বললেন গোষ্টি মারি তোদের এমন প্রেমকে?এখন যদি দেখি আম্বিয়ার সাথে তখন দেখি সখিনার সাথে পুটুস পুটুস করিস।দেখলাম মামা খুব রেগে গেছেন।আমি বল্লাম রাগ করছো কেন মামা?খুলে বল কি হয়েছে?মামা প্রসন্ন হলেন,বল্লেন আমাদের যুগে প্রেম ছিলরে...যাকে বলে প্রেম।আহ কই গেল সেদিন,সে প্রেম!মামা এমন ভাবে নিঃশ্বাস ছাড়লেন মনে হল মামা একালের প্রেমে মোটেও সন্তুষ্ট নন।এরপর মামা বলতে লাগলেন,আমরা সেকালে প্রেম করেছি সম্পুর্ণ বিনা শ্বার্থে।তা যদি লাইলি মজনুও দেখতো তাহলে আক্কেল-গুড়ুম যেতো।এ প্রেমের জন্য আমাদের কত উপাস,কাপাস আর নাভিশ্বাস উঠত তা আর কি বলবো।আমাদের প্রেমিকারাও মাশাল্লাহ আমাদের পানে চেয়ে থেকে হা করে বোয়াল মাছের মত গিলে খেতে চাইতো।অন্য দিকে ফিরেও চাইতনা।আর তোদের একালে? কি সব ছাইপাস দেখছি।একালে প্রেমিক প্রেমিকা দুজন হয়তো দাঁড়িয়ে কথা বলছে এর মাঝেই একজন অপর জনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্যারা চোখে অন্য প্রেমিক-প্রেমিকার দিকে ইশারা দেয়।আমি বললাম তাহলে তুমি এত সুক্ষ ব্যাপারও লক্ষ্য কর?রসিক মামা হেসে বললো পুরোনো প্রেমিক তো,তাই সব কিছু চোখে পড়ে যায়।তোরা তো প্রেম করিসনা করিস বাটপারি।শুধু শ্বার্থ আর শ্বার্থ।ছেলেরা চাস কোন মেয়ের বাপের টাকার পরিমান কত।মেয়েরাও চায় ছেলের পকেটে মালের পরিমানের সুচক কত।রহিমুদ্দিকে সকালে তাহেরার সাথে দেখা গেলে বিকেলে দেখা যায় তহুরার সাথে।নন্দিনীকে দেখা যায় নতুন ফন্দিতে।এগুলা কোন প্রেম হলো?আমি বল্লাম মামা; আধুনিক প্রেমে এমন তর সায় সামান্য আগ-পাছ হয়েই থাকে।মামা চিৎকারের মত করে বল্ল; রাখ তোর আধুনিক-পাধুনিক।প্রেম প্রেমই।জানিস এই প্রেমের জন্য মোরতা মুড়ায় কত মশার কামড় খেয়েছি।তোরা হলে ডেঙ্গু মশার এক কামড় খেয়েই প্রেমের গোষ্টি মেরে চলে আসতি।তোদের তো আবার শরম-ভরম ও নেই,পথে-ঘাটে পিটিস পিটিস কথা বার্তা শুরু করে দিস।আমাদের সময় শরম আমাদের মরমে আঘাত করতো।তাই লুকিয়ে ছুকিয়ে দু,চার কথা বলতাম।
                             মামা হঠাৎ আমাকে জিজ্ঞেস করলো,মশার রক্ত চিনিস?আমি বললাম চিনবো না কেন?অবশ্য চিনি।মামা তাচ্ছিল্যের ভাব প্রকাশ করে বল্লো তাহলে অভ্যাস আছে, না? আমি মামার কথা বুঝতে না পেরে মামার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকলাম! মামা বল্ল আমার দিকে চেয়ে দেখছিস কি? তোরা নাকি মশা মেরে সে মশার রক্ত দিয়ে কোন রকমে, “আই লাভ ইউ” লিখে বলিস আমার বুকের রক্ত দিয়ে তোমাকে এই চিঠি লিখেছি।ছিঃ ছিঃ তোরা এত বড় বাটপার।তোদের জন্য কচু গাছ ও নেই নাকি?কচু গাছে ফাঁসি-টাসিও দিতে পারিস না।আমাদের কালে এসব বাটপারি-পাটপারি ছিলনা।আমরা সত্যি সত্যিই নিজ রক্ত দিয়ে লিখতাম।কেউ কেউ অবশ্য তখন ও বাটপার ছিল। তবে নিরীহ মশা নয়,মোরগ-টোরগ জবাই করে সে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতো।তবে এ সংখ্যা ছিল নেহায়েত দু-একজন।
          সেদিন রসিক মামার কাছে প্রেমের সেকাল-একালের বিশ্লেষক বয়ান শুনে আমি ক্ষনিক সময় বেয়াক্কেল হয়ে রইলাম এবং মামার ভাব ভাল নয় দেখে বললাম মামা আজ তাহলে যাই, পরে সময় করে আবার অন্যদিন এসে তোমার প্রেমের সেকাল-একাল বিষয়ে আরো ব্যাখ্যা বিশ্লেষন শুনবো।রসিক মামা বল্লেন, আচ্ছা আসিস। সবেত মাত্র শুরু করলাম।মামার কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে আর পেছন দিকে না চেয়ে দ্রুত সামনে পা বাড়ালাম ।----মামুনুর রশীদ(কবি,ছড়াকার)
                    (সমাপ্ত)
Email:[email protected]

বন্ধুরা গল্পটি কেমন হল জানাবেন।

বৌদি ,জানিনা তুমি আজ কোথায় আছ?বেঁচে আছ না মরে গেছ তা সঠিক করে কেও বলতে পারেনা।শুধু লোক মুখে শুনেছি তুমি হারিয়ে গেছ। কোথায়,কিভাবে,কেমন করে কেউই তা বলতে পারেনা।কেমন করেই বা বলবে ।নিউইয়র্ক এর মত এত বড় শহরে কে কার খবর রাখে। সবাই নিজকে নিয়েই যে ব্যস্ত।তোমাদের পরিচিত যারা ছিল তারাও তোমার সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনা।তোমার নিরুদ্দেশ হওয়া বা তোমাকে নিয়ে কিছু ভাবাকে কেউই গুরুত্ব পুর্ণ বলে মনে করেনা।আসলে “পাষাণ এই শর্থপর পৃথিবীতে সবাই নিজকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং  শ্বার্থ ফুরালে কেটে পড়ে। কেউ কাউকে ভালবাসেনা,মমতা দেয়না আদর করে বুকে টেনে নেয়না”।বৌদি বহু দিন আগে বলা কথা গুলো আজ সত্যি বলে মনে হয়।সেদিন বিশ্বাস করতাম না , আজ করি। বৌদি সত্যি বলছি আজ করি।তোমার পরিচিত জনরা আজ তোমার কথা মুখে আনতেও নারাজ,যেন তুমি মহা কোন পাতকি।কিন্তু ভগবান জানেন আর আমি জানি তুমি কত ভাল।যেদিন শুনলাম তুমি হারিয়ে গেছ সেদিন দৌড়ে তোমার স্বামীর বাড়ী গেলাম সব কিছু জানার জন্য,কিন্তু গিয়ে দেখলাম তোমার ব্যাপারে কিছু আলাপ না করলেই যেন তারা খুশী হয়, তাই কিছু জিজ্ঞেস না করেই ফিরে এলাম। ভাবলাম মানুষ কেমন করে এত অকৃজ্ঞ হয়।যাদের তুমি এত ভালবাসতে আজ তারা তোমার কথা মুখে আনতেও নারাজ।তোমার আগের বলা কথা গুলো বার বার আমার কানে এসে বাজতে লাগল, “কেউ ভালবাসেনা”।আমার বুকের মধ্যে মনে হল বেদনার এক পাহাড় এসে চেপে ধরল।আমি যেন বড় কিছু হারিয়ে ফেলেছি।নিজের অবস্থা দেখে নিজেই চমকে উঠলাম।এক অপরাধ বোধ এসে চেপে ধরল।মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ আমাকে এক চরম সত্য প্রকাশ করতেই হবে । তোমার সত্যবাদি এই আমাকে কত বড় মিথ্যার বোঝা চিরদিন বয়ে বেড়াতে হবে তা আমি নিজেই জানি।আমি তো এত বড় মহা পুরুষ নই যে জীবনে কোন পাপ করিনি।এ সত্য প্রকাশ করলে সমাজ যদি আমাকে বাঁকা দৃষ্টিতে দেখে তাহলে তা আজ আমি পরোয়া করিনা।কিছু কলঙ্ক না হয় আমার ভালে অঙ্কিত হবে বিনিময়ে এত বড় এক সত্য প্রকাশের কারনে আমার অপরাধ বোধ কিছুটা হলেও লাঘব হবে।তাই হাতে কলম নিতে বাধ্য হলাম।

তোমার সাথে জীবনে হয়ত আর দেখা হবেনা।যদি বেঁচে থাক,আবার কোন দূর্বিপাকে আমার এ লেখা তোমার চোখে পড়ে,একটি সত্য জেনে তুমি মনকে শান্তনা দিতে পার,তাইত এ লেখা।

বৌদি,কোন এক দৈব-দূর্বিপাকে পড়ে তোমার সাথে আমার পরিচয় । দূর্বিপাকেই বলতে হবে।সুউচ্চ পর্বত থেকে ঝর্ণাধারা যখন নিচে পতিত হয় তখন তাকে চলতে চলতে কোন এক স্থানে স্থির হওয়া না পযর্ন্ত অনেক নুড়ি,পাথর, পলি,এমন কি মূল্যবান ধাতুর সাথে পরিচিত হতে হয়।তোমার সাথে ও ঠিক তেমনি করেই আমার পরিচয়।তারপর জানা শোনা,তোমার জীবনের একান্ত কথা গুলো আমাকে বলা।
                                 যেদিন প্রথম তোমার স্বামীর বাড়িতে তোমার সাথে আমার দেখা হয় সেদিন তোমার সৌন্দর্য দেখে বিধাতাকে আমি এ বলে প্রনাম জানাই-বিধাতা এত সৌন্দর্যও তাহলে পৃথিবীতে আছে। তুমি সম্পূর্ণ অপরিচিত এ আমার সাথে যখন নিঃসঙ্কোচে কথা বলতে শুরু করলে তখন মনে হল তুমি আমার জনম জনমের চেনা।তুমি যে কত ভাল আমি সেদিন’ই টের পেয়ে ছিলাম।আমার লজ্জা ও জড়তা দেখে তুমি  তো হেসেই খুন।বললে পুরুষের এত লাজ-লজ্জা থাকতে পারে তা তোমার জানা ছিলনা।হয়ত আমার এ লজ্জা ও জড়তাই তোমার জন্য কাল হল।তুমি আগ-পর কোন কিছু না ভেবেই আমাকে ভালবেসে ফেললে।কিন্তু আমি কি জানতাম তোমার মত এক বিচক্ষন মেয়ে চাল চুলোহীন এক যাযাবরকে এমনি ভাবে ভালবেসে ফেলবে? তোমার জীবনে আমি এক ক্ষত হয়ে রব।

প্রথম পরিচয়ে তুমি আমাকে আপন করে নিলে।তোমার স্বামী নিউইয়র্ক প্রবাসি।বাড়ীতে তোমার শাশুড়ী, ছোট জা, দেবর,ননদরা।তুমি, তোমার জা , দেবর,ননদরা  যে ভাবে আমাকে আপন করে নিলে তা দেখে ভগবানকে আমি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললাম; ভগবান,তোমার পৃথিবীতে এখনো দয়া-মায়া,ভালবাসা আছে।তোমাকে সবর্দা আমি হাসি খুশীর মধ্যে মেতে থাকতে দেখতাম।আমার অনেক সময় মনে হত তুমি বুঝি পৃথিবীর সব চেয়ে সুখী মানূষ।কিন্তূ আমি তখনও জানতাম না হিরের মাঝেও বিষ লুকিয়ে থাকে।তোমার ভিতরেও এত দুঃখ লুকায়িত!
                                       জানিনা ,আমার কোন গুন তোমাকে আমার প্রতি নির্ভরতা ও বিশ্বাস এনে দিয়েছিল।আস্তে আস্তে তোমার জীবনের সব কথাই আমাকে বলতে শুরু করলে।তুমি সুখী নও, প্রথম যেদিন জানলাম সেদিন আবার পৃথিবীটাকে আমার কেমন যেন মনে হল।মনে হল সবই ভুল ,এ জগত সংসার সবই ভুল।

তোমার জীবন কাহিনী শুনলাম; তুমি বড় ঘরের মেয়ে ছিলে।তোমরা চার বোন কিন্তু তোমাদের কোন ভাই ছিলনা।তোমার পিতা ছিল সহজ-সরল মানুষ, ফলে যা হবার তাই হল।অংশীদাররা সবাই ঠকাল, আস্তে আস্তে তোমাদের  অবস্থার পরিবর্তন হল।
বড় তিন বোনকে বড় ঘরে বিয়ে দিতে গিয়ে তোমার পিতা সর্বশান্ত হয়ে গেল।তুমি ছিলে খুব সুন্দরী।তোমাকে বিয়ে করার জন্য লন্ডন,আমেরিকা প্রবাসী ছেলেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হল,কিন্তু তোমার দূর সম্পর্কের এক জ্ঞাতি কুটুম্বের মাধ্যমেই এখানে বিয়ে হয়।তোমার স্বামী দোজবর,প্রথম বিয়ের  কয়েক বছরের মধ্যে স্ত্রী মারা যায়।তোমাকে বিয়ের আগে শর্ত করেছিল তোমার বৃদ্ধ মা বাবার ভার তোমার স্বামী বহন করবে।তোমাকে তোমার পরিবার সহ সকলে ধরে বসল এই পাত্রে বিয়ে বসলে সবচেয়ে ভাল হবে।ছেলের মাত্রতো একটি দোষ,ছেলে দোজবর। এই সামান্য কারনে এত বড় ঘর ফিরিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।তুমি মা বাবার কথা চিন্তা করে মত দিলে।বিবাহের পর কিছু দিন ভালভাবেই কেটে গেল।এর পর পরেই দেখলে স্বামীর পরিবারের আসল রুপ। স্বামী পরিবারের সবাই তোমার স্বামীর উপার্জনের উপর নির্ভরশীল।কেউ এতটুকু কর্ম করেনা।সবাই তোমাকে বাঁকা চোখে দেখতে লাগল। স্বামীর সাথে পর্যন্ত যেতে দিলনা,যদি তাদের বিলাসী জীবনের প্রেরিত টাকা বন্ধ হয়ে যায়।তোমার মা বাবার প্রতি তারা ফিরেও তাকাল না।ভগবান হয়ত ভালই করেন,এক সময় তোমার মা বাবা দু-জনেই মারা গেলেন।তুমি প্রতিবাদী হলে। স্বামীকে কাছে পেয়ে দুঃখ ভুলতে চাইলে,কিন্তু তোমার স্বামী পরিবার কেউ তোমাকে নিঊইয়র্ক যেতে দিলনা।তোমার স্বামীও তার মা,ভাই বোনদের কথার বাইরে এক পা’ও ফেলতে রাজি হলনা।শেষ পযর্ন্ত ভাগ্যকেই মেনে নিলে।এছাড়া যে উপায় নেই।বাঙালী সমাজে মেয়েরা যে অসহায়।

এর পরের সব কিছু যে আমার নিজেরই দেখা।স্বামীর সংসারে তুমি যে কত দুঃখী যেদিন প্রত্যক্ষ দেখলাম সেদিন আমার চোখে জল চলে এল।তোমাকে দেখে কে বুঝবে তুমি অসুখী? নিজের দুঃখকে বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখতে।তোমার রূপ যৌবন তোমার জন্য কাল হল।অনেক হিংস্র লোলুপ দৃষ্টি তোমার উপর পতিত হত।সাধু সেজে অনেকে ভাব জমাবার চেষ্টা করত।এসব  হিংস্র লোলুপ দৃষ্টি থেকে কত কৌশল করে যে তুমি নিজকে রক্ষা করতে তা দেখে শ্রদ্ধায় তোমার প্রতি আমার মাথা নত হয়ে আসত।তোমার স্বামীর প্রতি আমার ঘৃনা হত।কোন স্বামী এমন ভাল স্ত্রীকে কিভাবে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে তা আমার কল্পনায় আসতনা।
                       কথার ছলে একদিন তোমাকে বলেছিলাম বোদি, তোমার মত মেয়েকে কেউ দূরে সরিয়ে রাখতে পারে তা কেমন করে হয়?তুমি হেসে বললে ভাই; তোমার ভাই তো দূরেই রাখে; কাছে যেতে দেয়না। আর একদিন বলেছিলাম যে পুরুষ তোমাকে ভালবাসতে পারেনা সে ত মানুষই নয়।
                              আমার কথা শুনে সেদিন তুমি এক দৃষ্টিতে অনেক্ষন ধরে আমার দিকে চেয়ে রইলে।আমি দেখলাম তোমার চোখ থেকে বিন্দু বিন্দু জল গড়িয়ে মাটিতে পড়ছে।আমি তোমাকে আঘাত দিয়েছি মনে করে নিজের নিবুদ্ধিতার জন্য তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলাম। তুমি কিছু না বলে  উঠে গেলে।ভাবলাম এ বুঝি শেষ যাওয়া আর কখনোই আমার সাথে কথা বলবেনা।কারন তুমি যে তখন পুরুষদের হিংস্র হায়েনা ছাড়া কিছুই ভাবতেনা।আমার ধারনা ভুল প্রমানিত হল,তুমি আগের চেয়ে আমাকে আরো বেশি মমতা করতে লাগলে।তুমি আমাকে প্রায় বলতে; তোর এত লজ্জা কেনরে?এত লজ্জা নিয়ে ছেলেদের কি পৃথিবীতে চলা যায়?আমি বললাম কোথায় লজ্জা?তুমি বললে তাহলে আমাকে দেখলে তুই লজ্জায় এত জড়সড় হয়ে যাস কেন?                         
হঠাত একদিন বললে; তুই কি কাউকে ভালবাসিস?আমি বললাম না,তবে তোমার মত কাউকে পেলে না ভালবেসে পারতাম না।তুমি হেসে বললে -এত দূর এগিয়েছিস?তো আমাকে ভালবাসনা।আমি হেসে বললাম তোমাকে যদি ভালবাসতে পারতাম তা হলে জীবনে এই কাজটিই হবে সবচেয়ে বড় কাজ।তুমি প্রতি উত্তরে বলেছিলে আমি অতি সাধারণ,বরং তোকে যে নারী ভালবাসতে পারবে তার জীবন শুধু সার্থক নয়,শ্রেষ্ঠও।তোমার কথা শুনে সেদিন আমার নিজকে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে হল।আমাকেও  কোন নারী ভালবাসতে পারে,তা ভেবে নিজে নিজে রোমাঞ্চিত হলাম।

সেদিন ছিল বৃষ্টি,তুমি অনেক করে সাজলে।এমনি সাজ-সজ্জা অবস্থায় তোমাকে আমি প্রথম দেখলাম।মানুষ যে এত সুন্দর হয় তা আমার জানা ছিলনা।তুমি আমার ঘরে আসলে।আমি তোমার প্রতি এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলাম, তুমি বললে সত্যি বলত ভাই,আমাকে কোন পুরুষ ভালবাসতে পারে?আমি বললাম নিশ্চয়।
                     তুমি চঞ্চল হয়ে উঠে বললে, তাহলে বল তুই আমাকে ভালবাসিস।আমি তোমার কথা শুনে প্রথমে ভাবলাম তুমি হয়ত তামশা করছো কিন্তু তোমার চোখ তা বললনা।আমি দেরী না করে বললাম; একি বলছো বৌদি ? তুমি বললে ,হ্যাঁ শুধু একটি বার বল ভালবাসিস ?আমি ভয় পেয়ে গিয়ে বললাম তা হয়না।তুমি দৃঢ় ভাবে বললে আমি যে তোকে ভালবেসে ফেলেছি।তোমার কথা যে সত্যি তোমার চোখ দেখেই সেদিন আমি বুঝেছিলাম।ঘটনার আকর্ষিকতায় আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।শুধু বললাম বৌদি তা হয়না ,তুমি বিবাহিতা।
                          তুমি আমাকে আর কথা বলতে না দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠলে; বিবাহিত বলে কি আমি পচে গিয়েছি? আমার কি মন- প্রাণ বলতে কিছুই নেই,পৃথিবীতে অধিকার বলতে আমার কি কিছুই নেই?বৃষ্টি হচ্ছিল বলে তোমার কথা বাহির থেকে শোনা যাচ্ছিলনা।আমি তোমাকে বললাম বৌদি আস্তে কথা বল,কেউ শুনবে?তুমি বললে আস্তে কথা বলবো কেন,কেউ শুনলে জাত যাবে?তোর মত পুরুষ মানুষ গুলোই তো আমাকে লুটে পুটে খেতে চায়।অসহায় বলে যা ইচ্ছে তাই করতে চায়।আমাকে কত প্রলোভন দেখায় ?তুই তো ভবঘুরে মাত্র ।আমি যখন ধৈর্য্যের পাহাড় ভেঙ্গে তোর সাথে ধরা দিলাম তখন তুই সাধু সেজে ভাল হয়ে গেলি? তাহলে আমাকে  স্বপ্ন দেখালি কেন?আমি বললাম, বৌদি আমি তোমাকে স্বপ্ন দেখাইনি?আমার ঘর যে গাছ তলায়।তুমি আমার তামশা গুলোকে হয়ত সত্যি ধরে নিয়েছ।আমায় তুমি ক্ষমা কর।তখন আমাদের দু’জনার চোখের জলে একাকার।

তুমি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে।তিন দিন পযর্ন্ত অসুখের বাহনা ধরে পানি পযর্ন্ত খেলেনা।আমি বুঝলাম তোমার  চোখের সামনে আমার না থাকাটাই তোমার জন্য ভাল হবে,তাই সিদ্ধান্ত নিলাম তোমাদের কাছ থেকে চলে যাব।সিদ্ধান্ত মোতাবেক আসার সময় তুমি বললে;আমাকে তুই ক্ষমা করিস।পাগলামী করে তোকে কি বলেছি তা মনে রাখিসনা।সত্যিই তুই অনেক ভাল,বলেই ঘরের ভিতরে চলে গেলে।কিন্তু তোমার ভিতরের রক্তক্ষরণ আমি ঠিকই বুঝেছিলাম।আমি চলে এলাম। তোমার আমার এ কাহিনী তুমি আমি ও ভগবান ছাড়া আর কেউ জানলনা
                               বৌদি, তুমি ধরে নিয়েছিলে আমি ভালবাসাহীন নিষ্ঠুর এক পাষান মানুষ।কিন্তু বৌদি পরিস্থিতি,সমাজ ,সংসারের কথা ভেবে মানুষকে  যে অনেক কিছু লুকিয়ে রাখতে বাধ্য করে।তুমি বিবাহিতা, পর স্ত্রী,বয়সে আমার চেয়ে বড়।এ সমাজ যে তোমার ভালবাসা মেনে নিতনা ?পবিত্র প্রেম কে পরকীয়া আখ্যায়িত করে তোমার মুখে কলঙ্কের চিহ্ন এঁকে দিত।

তবে বৌদি শুনে রাখ; চলে আসার পর তোমাকে নিয়ে অনেক ভেবেছি। বিশ্বাস কর আমি মোটেও পাষাণ ছিলাম না এবং আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসতাম।হয়ত ঐ ভালবাসা ছিল সম্পুর্ন অন্য রকম ।যা এ ভালবাসার চেয়ে কোন অংশে কম নয়।তোমার প্রতি আমার এ ভালবাসা চিরকাল অটুট থাকবে।
                                  (সমাপ্ত)-------মামুনুর রশীদ(কবি,ছড়াকার)
                                   [email protected]

বন্ধুরা কেমন হয়েছে জানাবেন।

(১)
বসন্ত বিলাসে প্রেম
ফুলের মত
বাতাসে বেরোয় তার
গন্ধ শত ।।
(২)
বয়সের কাছে প্রেম
মানবেই হার
দূরে যেতে হবেই
সব অন্ধকার ।।
(৩)
প্রেমহীন  জীবণ তো
জীবণই নয়
তাহাকে জড়িয়ে ধরে
পৃথিবীর ভয় ।।

shasbikal wrote:

বৃষ্টির বরতা
শেষ বিকেল

বাহিরে বহিছে বৃষ্টি
বাদল বর্ষনে,
বিদ্ধস্থ বলাকা বলয়
বায়ূর বর্ণে।

বৃষ্টির বাজনা বাজে
বিধবার বুকে,
বাশরির বাশি বন্ধ
বৃষ্টির বিপাকে।

বৃষ্টিতে বিজলির বিদ্রুপ
বিধুর বিড়ম্বনা,
বলগাহীন বারিবাহ বুঝি
বিষক্ত বিছানা।

বিদিশা বৃষ্টির বশে
বিহবল বসুধা,
বৃষ্টির বর্ষণে বহমান
বানের বরতা।

১৪/০৪/০৪ইং
বারান্দিপাড়া

     



মনোযোগ সহ লিখতে হবে।

সবাই ভাল থাকুন।