Topic: সোনালী সংবাদের নিউস এ আমাদের মেয়েরা
স্পোর্টস ডেস্ক : ইমরুল কায়েসের অর্ধশতকে ভর করে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছায় টাইগাররা। তখনো বাকি ছিলো ৫২ বল। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ শেষ আটের লড়াইয়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলের ও ব্যক্তিগত শূন্যে রানে সাজঘরে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটস-ম্যান তামিম ইকবাল। মুদাচ্ছের বুখারির বলে বোল্ড হন এই মারকাটারি ব্যাটসম্যান। তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকী অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৯২ রানে। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে বরেনের বল মারতে গিয়ে সিলারের হাতে ধরা পড়েন জুনায়েদ। চারটি চারের মার ছিলো তার ইনিংসে। জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে ফিরে গেছেন শাহরিয়ার নাফিস। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে টম কুপারের বলে লেগ স্ট্যাম্প উড়ে যায় নাফিসের। ১৫৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। কুপারের বলে ডেসকাটেরর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান (১)। দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি অপরাজিত ৭৩ রান করেন ইমরুল কায়েস। ১১৩ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংসে মাত্র ছয়বার বল সীমানা ছাড়া করেন ইমরুল। এছাড়া শাহরিয়ার নাফিস ৩৭ ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ৩৫ রান করেন। ৩৩ রানে দুই উইকেট নেন কুপার। এছাড়া একটি করে উইকেট দখল করেন মুদাচ্ছের বুখারী ও পিটার বোরেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দুই ডাচ ওপেনার। তবে উদ্বোধনী জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই তাতে আঘাত হানেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ১০ রানে সাকিবের স্পিন ঘূণির্র ফাঁদে পড়েন ওপেনার ওয়েসলি বারেসি। এক পাশে সাকিব অন্য পাশে আব্দুর রাজ্জাকের স্পিনে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ডাচরা। দলের ৩৭ রানের মাথায় আব্দুর রাজ্জাকের শিকার হন মুদাচ্ছের বুখারি (৬)। উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন এরিক সোয়ার্জেনস্কি। শেষপর্যন- পারেননি। উইকেটের প্রান- বদল করতে গিয়ে সাকিবের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন ব্যক্তিগত ২৮ রানে। একই ভুল করেন সতীর্থ টম কুপার (২৯)। তিনিও রানআউট হন। ৭৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে পরে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ডাচরা। মূলত. রান আউটই ডুবিয়েছে তাদের। শুরুতে দুই ব্যাটসম্যান রানআউট হওয়ার পর অধিনায়ক পিটার বরেন (৩) ও আদেল রাজাও ব্যক্তিগত শূন্য রানে রানআউট হন।
মাঝে সোহরাওয়ার্দীর বলে ক্যাচ দেন আলেক্স কারভেজি (১৮)। এরপর রাজ্জাকের বলে আউট হন টম ডি গ্রুথ (৪) ও বুরম্যান (০)। আর পিটার সিলারকে এলবিডব্লু করেন রুবেল হোসেন। শেষপর্যন- টাইগারদের বিপক্ষে একাই লড়েছেন রায়ান টেন ডেসকাট। খেলেছেন ৫৩ রানের হার না মানা একটি ইনিংস। মূলত: তার ইনিংসের সুবাদেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় নেদারল্যান্ডস।
এদিকে ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনের অপর ম্যাচে এ গ্রুপে পাকিস্তান সহজেই ৭ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়েছে। এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করার পর বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির পর জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ছিল ৩৮ ওভারে ১৬২ রান। কিন’ পাকিস্তান ৩৪.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে আশাদ শফিক ৯৮ বলে ম্যাচ সেরা সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন। এছাড়া হাফিজ করেন ৪৯ রান। জিম্বাবুয়ের প্রাইস ২১ রানে ২ উইকেট দখল করেন। এর আগে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল এরভাইনের ৫২ ও চিগুম্বুরার অপরাজিত ৩২ রান। পাকিস্তানের ওমর গুল ৩৬ রানে ৩ উইকেট দখল করেন।
সোনালী সংবাদ