(edited by Julhaz 2012-06-13 12:57:22)

Topic: সমস্ত মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পৃথিবীর সব মুসলমান একটি দেহের ন্যায়। দেহের এক প্রান্ত আক্রান্ত হলে যেমন সারাদেহে সঞ্চালিত হয়; তেমনি কোনো মুসলমান আক্রান্ত হলে গোটা মুসলিম বিশ্বে তা সঞ্চারিত হবে।”

এই হাদীছ শরীফ-এর আলোকে ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ সরকারের উচিত ছিল- একদিকে শরণার্থী মুসলমানদের আশ্রয় দেয়া অপরদিকে আরাকানের মুসলমানদের উপর এরূপ নৃশংস বর্বর হত্যাকাণ্ডের জন্য মিয়ানমারের দূতাবাসকে ডেকে সতর্ক করা। মুসলিম গণহত্যা, গণসম্ভ্রহরণ, লুণ্ঠন বন্ধ করার জন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া। পাশাপাশি ওআইসি’কে বিষয়টি গুরুতরভাবে নেয়ার জন্য বিশেষভাবে বলা। সব মুসলিম দেশসমূহকে উজ্জীবিত করা। এবং সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করা।

পাশাপাশি যে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সাম্য-শান্তির মোড়ল দাবিদার সে জাতিসংঘকে বিষয়টি জোরদারভাবে উচ্চকিত করা। যে জাতিসংঘ সুদানে খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার হচ্ছে অজুহাতে তাদের জন্য আলাদা স্বাধীন রাজ্য দক্ষিণ সুদান করে দেয়, পূর্ব তিমুরকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আলাদা করে দেয়, সে জাতিসংঘ শত শত বছর ধরে নিপীড়িত আরাকানী মুসলমানদের ক্ষেত্রে নিশ্চুপ কেন- সে প্রশ্ন জোরদারভাবে উত্থাপন করা।

উল্লেখ্য, মুসলমানদের ১৯৪২ সালে বিতাড়ন করার জন্য মিয়ানমারে ব্যাপক দাঙ্গার সৃষ্টি হয়েছিলো। দাঙ্গাবাজরা হামলার সময় রোহিঙ্গাদের বাঙালি অভিহিত করছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে দেশটি থেকে পুরোপুরি উচ্ছেদের জন্য ১৯৪২ সালের মতো ভয়াবহ দাঙ্গার সৃষ্টি করা হয়েছে। রাখাইন বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের হামলায় হাজার হাজার মুসলিম শহীদ হয়েছেন, হচ্ছেন। শত শত মসজিদ-মাদরাসাসহ হাজার হাজার গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মুসলমানদের হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলা হচ্ছে। লুটপাট চালানো হচ্ছে মংডু শহরে মুসলমানদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। পুলিশ প্রহরায় সন্ত্রাসী বৌদ্ধ রাখাইনরা হামলা চালাচ্ছে মুসলমানদের উপর। মুসলমানদেরকে নির্মমভাবে হত্যাপূর্বক তাদের মাথা ন্যাড়া করে রাখাইনদের ভিক্ষু সাজাতে লাল কাপড় মুড়িয়ে ছবি তোলে। এরপর উল্টো মুসলমানরা রাখাইন ভিক্ষুদের হত্যা করেছে মর্মে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচার করা হচ্ছে।
মিডিয়ায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের অনুপস্থিতির কারণে সেখানকার সত্যিকারের চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি যে খুবই ভয়াবহ তা বোঝা যায় বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত রাখাইন রাজ্য থেকে জাতিসংঘের প্রায় ৪৪ জন সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার ঘটনায়। মুসলিম দমনে শুধু সন্ত্রাসী রাখাইনরাই নয়, যালিম পুলিশ ও নাসাকা নিরাপত্তা বাহিনীও অভিযানে অংশ নিচ্ছে।

অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা যালিমও হয়ো না, মজলুমও হয়ো না।”
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,“সব কাফিরের ধর্ম এক।” কাজেই সব যালিম কাফিরদের বিরুদ্ধে মজলুম মুসলমানদের প্রতিবাদী হতে হবে। মুসলমানদের মজলুম হওয়া চলবে না।
কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই।’
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই।’

তাই বিশ্বের সমস্ত মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো।



Re: সমস্ত মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো

বিষয়টা সবার মানবিক দৃষ্টি থেকে দেখা উচিত । কিন্তু বালের সরকার আর মার্কিন মোড়ল আজ চুপ ।
দেখি ! ! ! দেশীয় মার্কিন কুকুর গুলো হুশ ফেরে কিনা !

http://signatures.mylivesignature.com/54490/195/2C1D5ECC2B5514D8ABEEFA8F0D34B59B.png
http://feeds.feedburner.com/medinfo24/FcZw.4.gif