Topic: একটা কবিতা
তোমার অসামান্য অভিনয় প্রতিভায় আমি মুগ্ধ
কোন মঞ্চ কিংবা টেলিভিশানের পর্দায় নয়
দিবা রাত্রি চোখের সামনে দেখছি
তোমার অভিনয়-অসাধারণ মুগ্ধতায়।
তোমাকে খোলা একটা বইয়ের মতন
পড়তে পারি না আমি,তবে এমনও না যে
একেবারেই বুঝি না তোমায় আমি
আর কিছু বুঝি আর নাইবা বুঝি
এতটুকু বুঝি যে আমাকে রন্ধ্রে রন্ধ্রে বোঝ তুমি-পুরোমাত্রায়,
তাহলে এত অভিনয় কিসের??
আমি জানি;আমার ঠোঁটের কাঁপন দেখেই
বলতে পারো তুমি-কি বলব আমি
আমার চোখের দিকে তাকিয়েই
বলতে পারো তুমি-কি ভাবছি আমি।
আমার অন্তর-বাহির সব নিজের অধিকারে রেখেও
এমন ভান কর যেন কিছুই জান না,কিছুই বোঝ না।
বারবার ভেঙে চুরমার করে দাও আমাকে
কষ্টে সৃষ্টে নিজেকে গড়ে তুলে আবার হাজির হই-তোমারি সামনে
কিন্তু আত্মগরিমায় অন্ধ এক মানুষের মতো আবার
অযত্নে অবহেলায় ভেঙে ফেল এই আমাকে-চরম অবহেলায়।
আমার রক্ত প্রবাহের প্রতিটি রক্তকোষ স্পন্দিত হচ্ছে
"ভালবাসি-শুধু তোমাকে ভালবাসি" কম্পাংকে
সবইতো তোমার জানা,তারপর এমন ভান কর
যেন কিছুই জান না,কিছুই বোঝ না।
যদি না আসলেই বুঝে থাক আমার মনের ভাষা
তবে থাক না বোঝা কথা গুলো না বোঝাই থাক
তোমার আর জানতে হবে না।
না চাইতে যা পাওয়া যায় তার মূল্য খুব কম মানুষই বোঝে
এতো মানুষেরই ধর্ম -তোমার এতে দোষ কোথায়?
তোমার চোখের সামনে একটা মানুষ মরণ বিষ পান করছে প্রতি মুহূর্তে
আর মৃত্যু ব্যাথায় নীল থেকে নীলতর হচ্ছে।
এটা যদি দেখেও না দেখ তুমি
তবে বলব পাথর হৃদয় তোমার,
আর যদি না দেখে থাক
তবে বলব বর্ণান্ধ তুমি,
ভালোবাসার নীল রঙ কখনও তুমি দেখই নি, চেনই না,
থাক তোমাকে আর দেখত হবে না
জানতে হবে না-বুঝতেও হবে না,
চলে যাও,আমার সামনে থেকে চলে যাও
তোমার অসাধারণ অভিনয় আমাকে আর মুগ্ধ করতে পারছে না,
থাক তোমাকে এত কষ্ট দেব না
তুমি থাক-আমিই বরং চলে যাই।
(কবিতার নাম আমি কোন দিনই দিতে পারি না-পুরনো অসুখ...আর কবে কবিতাটা লিখে ছিলাম তাও মনে নাই,তবে ডেমো ক্লাসে পেছনে বসে লিখেছি-সেটা মনে আছে)