Topic: ঘরে ঘরে পরিচয়পত্র
আগামী মাসে শুরু হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এ উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগ সফল করার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রবর্তনের বিষয়টি আমাদের নাগরিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। দীর্ঘ প্রায় একযুগ ধরে এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশা থেকে এর তাগিদ ও পরামর্শ আসছিল। এক পর্যায়ে ২০০৭-২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তা কার্যকর করা হয়। প্রথম দফায় ছবিসহ তালিকাভুক্ত করা হয় প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটারের নাম। এ কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের সহায়তায় নির্বাচন কমিশন কম সময়ের মধ্যেই আইডি কার্ড প্রণয়ন ও বিতরণের কাজ সম্পন্ন করে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, হালনাগাদ ভোটার তালিকায় আরও প্রায় ৪৭ লাখ ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নতুন অন্তর্ভুক্তদের অনেকেই এখনো পরিচয়পত্র পাননি। জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন এক কথায় প্রশংসাযোগ্য। একে একটি কাজের কাজ বলে অভিহিত করা যায়। ব্যাংক-বীমা, বাড়ি-গাড়ি কেনাবেচা, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন, নিকাহনামাসহ বিভিন্ন কাজে এ পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্যভাবে কাজে লাগছে। কৃষকদের ভর্তূকি দান, রেশন কার্ডসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার হলে এসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। ভোটারদের এ পরিচয়পত্রটি এখন জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্ববহ। তাই নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে অতীতের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার আলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নাগরিকদেরও দায়িত্ব হবে এ কাজে কমিশনকে সহায়তা করা। ইতিপূর্বে যারা এ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাদের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখলে ভালো হবে। আর ইতিপূর্বে বিতরণকৃত পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন ও পরিচয়পত্র হারানো নাগরিকদের নতুন পরিচয়পত্র সংগ্রহে জটিলতা কমানোর বিষয়টিও ভাববার অবকাশ রয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র জাল-জালিয়াতির বিষয়টি উল্লেখ করার মতো। বিভিন্ন দপ্তরে দাখিলকৃত কিছু ভুয়া পরিচয়পত্র ধরা পড়েছে। এ জাল-জালিয়াতি রোধে আরও শক্ত ব্যবস্থা রাখার বিষয়টিও ভাবতে হবে। এ ব্যাপারে একটি কার্যকর আইনি কাঠামোর আবশ্যকতা রয়েছে।
Medical Guideline Books