Topic: শুভ্রের কাছে লায়লীর একটি চিঠি- “তুমিই পৃথিবীর সেরা সুদর্শন
অনেক দিন তোমার সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই। এতে করে তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন আমার অবস্থা ভীষণ খারাপ। কারণ আমি কখনো কোন- দিনও- ভাবিনি যে তোমার সঙ্গে কখনো আমার যোগাযোগ থাকবে না। আমার কাছে তুমি এতটাই প্রেমের পুরুষ যে তার কোন ব্যাখ্যা আমি লিখে শেষ করতে পারবো না। কিন্তু আমার এ প্রেমকে সমাজের সবাইতো ভালো চোখে দেখে না। কারণ ধর্মের কাছে-সমাজের কাছে অপ্রচলিত-অশ্লীল এ প্রেম। তাই এত সমস্যা এবং এত প্রশ্নের উৎপত্তি। কিন্তু আসলেই কি এটা কোন সমস্যা? কেউ যদি কাউকে প্রকৃত প্রেম নিবেদন করে- তাতে তার অপরাধ কী? আমার অপরাধ তোমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাওয়া। স্বামী সংসার থাকা সত্ত্বেও তোমার সঙ্গে প্রেম করা-গ্রাম থেকে তোমাকে শহরে আনা। আমার সন্তানের শিক্ষক হিসেবে তোমাকে নিয়োগ দেয়া। তোমার মঙ্গল কামনা করা-সত্যিই কি এগুলো অপরাধের মধ্যে পড়ে?
আমি এ পর্যন্ত দুঃখে-কষ্টে বিপদে-আপদে তোমার কাছ থেকে এতই সহযোগিতা পেয়েছি যে আমি তোমাকে ছাড়া আর অন্য কিছুই ভাবতে পারি না। অনেক অনেক কারণে তুমি আমার উপর রেগে আছো। এসব কারণের অনেক কারণই হয়তো সঠিক। কিন্তু সব কারণ সঠিক নয়-আমি এটা বিশ্বাস করি। তোমার ক্ষতি হতে পারে-এমন কোন কাজ আমি করিনি এবং কখনো করবো না। তারপরও এটা সত্য যে, তোমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমার কাছে থাকা তোমার কোন আমানতই খেয়ানত হবে না। সময় বদলায়। মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন হয়। তুমি একসময় গ্রামে ছিলে-বর্তমানে শহরে আছো। তুমি কি নিশ্চিত-ভবিষ্যতে তুমি কোথায় থাকবে? সুতরাং প্রতিটি বিষয়ই এ রকমই।
কিছুদিন আগেও যে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-সে খালেদা জিয়া এখন বিরোধী দলের নেত্রী। যে এরশাদ সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন-তিনি ক্ষমতা দখল করে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন। অথচ প্রেসিডেন্ট এরশাদই আবার বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। জেলে থাকা অবস্থায় এরশাদ একজন ভিক্ষুকের চেয়েও পরাধীন জীবনযাপন করেছেন। তুমি কোনদিনও কোন বিপদে পড়বে না-বিপদে পড়লে কে আপন-আর কে সবচেয়ে পর- তা নিশ্চিত প্রমাণ পাবে। আমি চাই তুমি চিরকাল সুখে থাক-কিন্তু যদি তোমার জীবনে কোন দু:খ আসে- তবে দেখবে আমি নিশ্চয় তোমার পাশে আছি। ভবিষ্যৎ জীবনে আমার সঙ্গে তোমার অতীত স্মৃতি আচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাই আমি বারবার স্বামী সংসার ফেলে তোমার কাছে ফিরে আসি। এই পৃথিবীতে আমার চোখে তোমার মত সুদর্শন পুরুষ আমি কখনই দেখিনি। আমি এখন যেভাবে জীবনযাপন করছি-তা বলে শেষ করা যাবে না। আমার এ পরিস্থিতির জন্য শুধু আমিই দায়ী। কারণ আমি অন্যের স্ত্রী। তুমি অবিবাহিত যুবক। তুমি ছাড়া আমার ভবিষ্যৎ জীবনে আর কেউ নেই। তোমাকে নিয়ে আমি অল্প সময়ের মধ্যে দাম্পত্য জীবন তৈরি করতে চাই। তুমি দু’দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে আমার নিদ্রা হয়নি। এ দু’দিন আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টের সময় ছিল। আর কিছু বলবো না। তোমার আসার অপেক্ষায় রইলাম। কবে আসবে তুমি-তোমার পথ চেয়ে বসে আছি আমি। সময়তো কাটে না-মন তো মানে না-শুভ্র কবে আসবে তুমি।
মেরা আকুছে আসু আয়া-লেকিন শিকওয়া জওয়াব নেহি আয়া। ও মেরা জান-ও মেরা মজনু-ও মেরা শুভ্র।
ইতি
তোমার প্রিয়তমা-লায়লী