Topic: প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া বা এনুরিয়া
এনুরিয়া বলতে বোঝায় ২৪ ঘণ্টায় একদম প্রস্রাব বা মূত্র না হওয়া। এটা ভয়াবহ একটি পরিস্থিতি। এমনটি হলে প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে সত্যিই কি গত ২৪ ঘণ্টা ধরে তৈরি প্রস্রাব হয়নি, নাকি প্রস্রাব মূত্রথলি বা ইউরিনারি ব্লাডারে জমে আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন দেখা যায় যে, রোগীর প্রস্রাব তৈরি হয়েছে কিন্তু বের হতে পারছে না, এমন পরিস্থিতিকে এনুরিয়া বলা হয় না, বলা হয় ইউরিনারি রিটেনশন। মূত্রনালি দিয়ে ক্যাথেটার পরিয়ে দিলেই রিটেনশন দূর হয়ে যায়, কিন্তু এনুরিয়া হলে ক্যাথেটার পরালেও কোনো ইউরিন বা মূত্র আসে না।
শরীরে খুব তীব্র মাত্রার পানিশূন্যতা দেখা দিলে (যেমন—তীব্র ডায়ারিয়া বা বমি হওয়া, প্রচুর রক্তপাত হওয়া, শরীরের ব্যাপক অংশ পুড়ে যাওয়া ইত্যাদি), হৃিপণ্ড অপরিমিত পাম্প করলে (কার্ডিওজেনিক শক), এনেসথেসিয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়, হাইপোক্সিয়া বা তীব্র অক্সিজেন শূন্যতায় বা ভুল গ্রুপের ব্লাড দিয়ে রিঅ্যাকশন হলে বা কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় এমনটি হতে পারে। আবার মূত্রথলির আগে মূত্রের গতিপথের কোথাও পাথর, টিউমার বা এমন অন্য কোনো কারণেও এনুরিয়া হয়। এনুরিয়া খুব ভয়াবহ একটি রোগ। কোনো প্রকার দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গেই এর চিকিত্সা শুরু করা উচিত। এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে একজন নেফ্রোলজিস্ট বা কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিত্সা নেয়া জরুরি। কি কারণে এনুরিয়া হয়েছে তা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয় এবং তার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এর চিকিত্সা দেয়া হয়। চিকিত্সা শুরু করতে দেরি হয়ে গেলে প্রায় সময়ই দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে যায়, যা রোগীর অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সুত্র : আমার দেশ