(edited by প্রচেষ্টা 2010-12-30 12:17:19)

Topic: নামায পড়ার সঠিক নিয়ম (ভিডিও)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ । কেমন আছেন আপনারা ? আশাকরি রহমানুর রহিমের দয়ায় সবাই ভাল আছেন । আজ আপনাদের জন্য ব্যতিক্রম একটা পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম। আশাকরি আপনাদের ভাল লাগবে।

আমরা মুসলমান, নামায আমাদের জন্য ফরয করা হয়েছে সেই নামায যদি আমরা যথাযথ নিয়ম বা অঙ্গভঙ্গি'র সাথে আদায় না করি তাহলে কি সেই নামায আমাদের কোন কাজে লাগবে ? অবশ্যই লাগবে না। তো আসুন দেখে নেয়া যাক নামাযের সঠিক নিয়ম ও সুরা কালাম কিভাবে পাঠ করতে হবে।

আমি দুঃখিত অনেক চেষ্টা করেও ভিডিওটি এখানে প্লে করাতে পারলাম না । আগ্রহীগণ ভিডিওটি এখানে দেখতে পাবেন।

হে পরওয়ারদিগার,আমাদের সকলকে সঠিক নিয়মে নামায আদায় করার তৌফিক দান করুন । আমিন! ছুম্মা আমিন



যারা নামায পড়ার সঠিক নিয়ম ভিডিও টি ডাউনলোড করে অফলাইনে অনুশীলন করতে চান তারা এখানে ক্লিক করুন।

http://www.rongmohol.com/uploads/1805_prochesta_logo.gif

http://www.obosor.com/banner_468.gif


(edited by Julhaz 2012-06-11 09:42:58)

Re: নামায পড়ার সঠিক নিয়ম (ভিডিও)

মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ করেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ

অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ্ পাক, উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উলীল আমর উনাদের অনুসরণ করো।” (সূরা নিসা: ৫৯)”

মূলত মহান আল্লাহ পাক উনাকে সরাসরি অনুসরণ করেছেন, সাইয়্যিদুল মুরসারীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং অন্যান্য সমস্ত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনারা। আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সরাসরি পেয়েছেন ও অনুসরণ করেছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে সরাসরি পেয়েছেন ও অনুসরণ করেছেন হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি তায়ালা আলাইহিম উনারা। আবার হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি তায়ালা আলাইহিম উনাদেরকে সরাসরি পেয়েছেন ও অনুসরণ করেছেন হযরত তাবে তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি তায়ালা আলাইহিম উনারা। এভাবে পরবর্তী সময়ে মুসলমানগণ যুগে যুগে ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি তায়ালা আলাইহিম উনাদের অনুসরণ করেছেন। অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সময়কাল হতে উলীল আমর উনাদের অনুসরণ শুরু হয়েছে।

আবার হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,

عن حضرت ابى هريرة رضى الله تعالى عنه فيما اعلم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الله عز وجل يبعث لهذه الامة على رأس كل مائة سنة من يجددلها دينها

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি এ ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত যে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মতে হাবীবীর জন্যে প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন ব্যক্তিকে (মুজাদ্দিদ উনাকে) প্রেরণ করবেন, যিনি তাদের দ্বীন তথা আক্বীদা ও আমলের তাজদীদ বা সংস্কার করবেন।” (আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ) 

পক্ষান্তরে অন্য হাদীছ শরীফ-এ এসেছে,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون.

অর্থ: “হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইর-উনার ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার নিকট শুনেছি, তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)

হাদীছ শরীফ-এ আরো এসেছে,

عن عبد الله بن عمر رضى الله تعالى عنه اخبره ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ان الذين يصنعون هذه الصور يعذبون يوم القيمة يقال لهم احيوا ما خلقتم.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “যারা প্রাণীর ছবি তৈরী করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, যে ছবিগুলো তোমরা তৈরী করেছো, সেগুলোর মধ্যে প্রাণ দাও।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, ৮৮০পৃষ্ঠা, মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ ২১০ পৃষ্ঠা)

হাদীছ শরীফ-এ আরো এসেছে,

عن ابى معاوية رضى الله تعالى عنه ان من اشد اهل النار يوم القيمة عذابا المصورون.

অর্থ: “হযরত আবূ মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, “নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন দোযখবাসীদের মধ্যে ঐ ব্যক্তির কঠিন আযাব হবে, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে বা তোলে।” (মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ ২০১ পৃষ্ঠা)

এভাবে আরো অনেক হাদীছ শরীফ-এ প্রাণীর ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। তাহলে উলীল আমর উনাদের অনুসরণ বাদ দিয়ে হারাম প্রাণীর ছবির মাধ্যমে নামাযসহ ইসলামের অন্যান্য আমল কি করে হতে পারে?