Topic: গান আর ফুটবল নিয়ে কেনান-"ওয়েভিন ফ্লাগ"।
পুরো পৃথিবী মাতাচ্ছে কেনানের বিশ্বকাপ ফুটবলের গান ‘ওয়েভিন ফ্লাগ’-যা ফিফা বিশ্বকাপ-২০১০ এর থিম সং। সোমালিয়ার মোগাদিসুতে জন্ম নেওয়া আফ্রিকান-কানাডিয়ান এই গায়কের সঙ্গে এখন অনেকে তুলনা করছেন সংগীত কিংবদন্তি বব মার্লের। সম্প্রতি টিএনএন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া (টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত) এই সাক্ষাৎকারে কেনান কথা বলেছেন তাঁর ভয়ংকর শৈশব ও সংগীতচর্চা নিয়ে।
অনেকে একালের বব মার্লে হিসেবে দেখছেন আপনাকে।
তাঁর সঙ্গে ‘তুল্য’ হতে পারাটা একটা বড় ধরনের আশীর্বাদ। কিন্তু এই তুলনাটা নিজ থেকে কিছুতেই মানতে পারিনি আমি। কারণ, যত যা-ই হোক, বব মার্লে একজন সত্যিকার কিংবদন্তি।
শোনা যায়, মাত্র আট বছর বয়সে প্রথম গুলি ছুড়েছিলেন আপনি। আপনার এই অভিজ্ঞতা কতটা ছায়া ফেলেছে আপনার গানের কথায়?
যেসব মানুষের সঙ্গে ছোটবেলা কাটিয়েছি, তাদের কথা ভাবলে আমার একধরনের অপরাধ বোধ হয়। এটাকে ‘বেঁচে থাকার অপরাধ বোধ’ বলা যেতে পারে। আমার ছোটবেলার কয়েকজন বন্ধু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে আমার চোখের সামনেই। আমি মেশিনগান হাতে ঘুরেছি। দুর্ঘটনাবশত একটা গ্রেনেডও ফাটিয়ে ফেলেছিলাম। তবে খুনখারাবি করিনি কখনো। আমার জন্ম সোমালিয়ায়। ১৪ বছর কাটিয়েছি সেখানে।
‘ওয়েভিন ফ্লাগ’ গানের কথা লেখার সময় আপনার শুরুর ভাবনাটা কী ছিল? পরে এ গানের কথায় পরিবর্তন করার বিষয়টাই বা কেন ভাবলেন?
সোমালিয়ায় সে সময় বেঁচে থাকাটাই ছিল কঠিন এক যুদ্ধ। ১৪ বছর বয়সে আমার মা ও ভাইবোন মিলে সেখান থেকে পালিয়ে যাই। আমার বেড়ে ওঠার সময়টা এবং শান্তি আর স্বাধীনতার জন্য আকুলতা—এসব কিছু খানিকটা উঠে এসেছে এই গানে। কোকাকোলার প্রচারণার জন্য গানটা নিয়ে আবার বসতে হয়েছে। এই গান ফুটবলভক্তদের আশাবাদ আর আবেগ প্রকাশের আহ্বান জানায়।
আপনি বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গানটি পরিবেশন করেছেন। কিন্তু সোমালিয়া বিশ্বকাপে খেলতে পারছে না। এই অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? এবার কোন দলকে সমর্থন করছেন?
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাইবার সময় আমি শুধু স্টেডিয়ামে হাজির থাকা দর্শকদের কথাই ভেবেছি। এটি ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। রাস্তায় শুধু সারি সারি বিভিন্ন দেশের পতাকা। সব দেশের সমর্থকেরা এসেছেন। এই পরিবেশের কোনো তুলনা হয় না। আমি আইভরিকোস্টকে সমর্থন করছি।