বিদআতের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে এমন নব আবিস্কার যার পূর্বে কোন প্রকার দৃষ্টান্ত নেই । এ কথার প্রমানে রয়েছে আল্লাহ তায়ালার বানীঃ
“بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ
” বাকারা ১১৭ অর্থঃ তিনি (আল্লাহ) আকাশ মন্ডলী পৃথিবীর স্রষ্টা । অর্থাৎ আল্লাহ আসমান ও জমিনের পূর্ব কোন দৃষ্টান্ত ব্যতিরেকেই সৃষ্টি করেছেন । এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারলাম, বিদআত হচ্ছে নব আবিস্কৃত জিনিস ।
শরীয়তের পরিভাষায় ’বিদআত’ হচ্ছে দ্বীনে বা শরীয়তে এমন নতুন জিনিস তৈরী করা যা পূর্বে ছিল না । সে আবিস্কারই সুন্নতের বিপরীত আর সেটা হল বিদআত । অর্থাৎ দ্বীনের মধ্যে বিদআত হচ্ছে এমন কাজ (বা আমল) যার প্রতি শরীয়ত সমর্থিত কোন দলিল বা প্রমান নেই ।
আল্লাহ, তায়ালা আমাদের যে জীবন বিধান দিয়েছে,সেটাই ইসলাম বা দ্বীন । এ দ্বীন ইসলাম আল্লাহর রাসুল (সাঃ) প্রচার করে গিয়েছেন, তার মধ্যে কোন খালি নেই যে তাতে একটু বাড়ানো বা সংযোগ করা যাবে অথবা আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এমন কোন আয়ত গোপন করে গেছেন, যা প্রচার করা হয়নি । এ রকম যদি কেউ ধারনা করে অথবা কেউ যদি বলে দ্বীন অপূর্ন তা হলে সে মুসলমান থাকবে না ।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
” আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ন করে দিলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামত সমূহ পূর্ন করে দিলাম আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসাবে মনোনীত করে দিলাম (আল মায়েদাত) ।
এ আয়াত হতে বুঝা যায় আল্লাহ তায়ালা রাসুল (সাঃ) এর মাধ্যমে দ্বীন পুরা করেছেন । সুতরাং যদি কেউ মনে করে রাসুল (সাঃ) দ্বীনের মধ্যে কিছু কিছু গোপন করে গেছেন পরবর্তী কোন আলেম, কোন পীর বা বুজুর্গ তা প্রকাশ করে দ্বীনের পরিপূর্নতা আনলেন এ রকম ভাবলে সে মুসলমান থাকবে না । নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেনঃ
“যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু সংযুক্ত করবে যা তার অংশ নয় তা পরিতাজ্য (বোখারী মুসলিম) । অন্য বর্ণনায় আছেঃ যে এমন আমল করবে যা আমাদের দ্বীনের মধ্যে নেই তা পরিতাজ্য (মুসলিম) ।
রাসুল (সাঃ) এর হাদীস থেকে আমরা বুঝলাম শরীয়তের যে বিষয়ে রাসুল (সাঃ) এর কোন নির্দেশ নেই, সাহাবাদের কোন আমল নেই বা সাহাবাদের যুগে ছিল না, তাবেঈনদের যুগেও ছিল না, তা যদি নতুন করে আমাদের মাঝে আসে শরীয়তে বা দ্বীনে তা হলে তা পরিতাজ্য এবং যদি কেউ তা গ্রহন করে তাহলে তা হবে বিদআত ।
বিদআত দুই প্রকারঃ
প্রথমতঃ দুনিয়ার বিষয় নব আবিস্কার । যেমন মাইক, ঘড়ি, ফ্যানের হাওয়া, ট্রাক্টারের চাষ, জামা স্ত্রি করা, খাটে ঘুমানো নিত্য নতুন বৈজ্ঞানিক আবিস্কার ও উদ্ভাবন ইত্যাদি এ সমস্ত জায়েয এগুলো গ্রহন করা বৈধ । কারণ দুনিয়ার বিষয় নব আবিস্কারের মূলনীতি হল জায়েয । এগুলো বিদআত নয় , কারণ এগুলি দ্বীন বা শরীয়ত নয় । মনে রাখতে হবে দুনিয়ার বিষয় অদি কেউ কোন কিছু আবিস্কার করে তা বিদআত নয় । সুতরাং আল্লাহর রাসুলের যুগে ফ্যানের হাওয়া,রেডিও,টেপরেকর্ড ছিল না এসব প্রশ‘ন চলবে না।
দ্বিতীয়তঃ দ্বীন ইসলামের মধ্যে নব আবিস্কার আর এ প্রকার নব আবিস্কার হারাম বা অবৈধ । কারণ দ্বীন ইসলামের মূলনীতি হল দলিল ভিত্তিক । যা কুরআন ও সুন্নার প্রমানের প্রতি নির্ভরশীল । যেমন নবী করিম (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু সংযুক্ত করবে যা তার অংশ নয় তা পরিতাজ্য (বোখারী এবং মুসলিম) ।
বিদআত বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
(১) বিদআতে মুকরাফ্ফেরাঃ কাফির পরিনতকারী বিদআত, যে বিদআত করলে মানুষ কাফের হয়ে যায় । যেমন মৃত অথবা অনুপস্থিতদের আহবান করা এবং তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা অর্থাৎ এরূপ বলা যে ’হে আমার অমুক নেতা/পীর আমাকে সাহায্য কর’ অথবা দরগাহ্ বা মাজারে গিয়ে সন্তান চাওয়া, সাহায্য চাওয়া, কবর বা দরগাহে মানত করা ইত্যাদি ।
(২) বিদআতে গায়রে মুকাফ্ফেরাঃ অবৈধ বা হারামকৃত বিদআত অর্থাৎ যে বিদআত করলে মানুষ কাফর হয় না, গুনাহ্ হয় তাকে বিদআতে গায়রে মুকাফফেরা বলে । যেমনঃ মৃতদের মাধ্যমে বানিয়ে উছিলা গ্রহন করা, কবরের উপর সৌধ নির্মান করা, ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থাৎ নবী দিবস পালন করা (এ রকম স্মরন সাহাবী ও তাবেয়ী তাবেতাবেযীদের যুগে ছিল না) অথবা এমন পদ্ধতিতে আল্লাহর ইবাদত করা যা শরীয়তের বিধান বর্হিভূত নিয়ম । যেমনঃ বিনাদলিলে নতুন নামায উদ্ভাবন করা যার আদৌ কোন শরীয়তে দলিল প্রমান নেই ।
(৩) মাকরূহ বা অপছন্দনীয় বিদয়াতঃ যেমন জুমআর নামাযের পর যোহরের নামায আদায় করা, আযানের পর উচ্চস্বরে দরুদ ও সালাম পাঠ করা ।
(৪) নিয়তের উপর বিদআতঃ যেমন এক ব্যক্তি যায়েদ মিয়া সকালে বড় একটা বট গেছের নিচে এ পাশ ও পাশ দৌড়াচ্ছে, ২য় ব্যক্তি করিম মিয়া ঠিক একই কাজ করছে, তৃতীয় ব্যক্তি রফিক মিয়া ও চতূর্থ ব্যক্তি খালেদ মিয়া ঠিক একই কাজ করছে । এখন আপনি ১ম ব্যক্তি যায়েদ মিয়াকে জিজ্ঞেস করেন যে, ভাই আপনি সকাল বেলায় বট গাছের নিচে এপাশ ওপাশ দৌড়াচ্ছেন কেন ? সে জবাব দিল রাতে আমার একটা জিনিস পড়ে গিয়েছিল তা খোঁজ করছি, তাতে আপনি বললেন বেশ ভাল । ২য় ব্যক্তি জবাব দিল যে আমি একটু ব্যায়াম করছি, আপনি বললেন বেশ ভাল । ৩য় ব্যক্তি জবাব দিল এটা করলে ছওয়াব হয়, তখন আপনি বললেন তুমি তা বিদআত করছ । ৪র্থ ব্যক্তি জবাব দিল এমনটি করলে একটি ভাল সন্তান হবে, আপনি বললেন, তুমি তা শিরক করছ । রাসুল (সাঃ) বলেনঃ
’দয়াময় (আল্লাহ) আরশে সমাসীন’ (সুরাঃ ত্বাহা-৫)
আল্লাহ তায়ালা আরশে কিভাবে সমাসীন তার কোন সীমাবদ্ধতা ও ধরন বর্ণনা করা ছাড়া বিশ্বাস রাখতে হবে । এ সম্পর্কে আমাদের কোন জ্ঞান নেই । অর্থাৎ তাঁর জন্যে যে ভাবে উপযুক্ত সে ভাবে সমাসীন । কিভাবে আছেন এর কোন দৃষ্টান্ত বা ধারনা করা হারাম । এখানে আরোহন অর্থ কোন কিছু উর্ধে অবস্থান করা । তা কিভাবে কেমন করে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না । আমরা শুধু সেই অর্থই গ্রহন করিব যেমন তাবেয়ীনদের (রহ) কর্তৃক তাঁর সমারুঢ় হওয়ার ব্যাখ্যা সহীহ বুখারীতে বর্ণিত এবং তা এই যে, তিনি সারা সৃষ্টির উর্ধে আরশের উপর সমারুঢ় । যেমন তাঁর মহিমা ও মহত্বের উপযুক্ত এবং তা কারো সদৃশ নয় । যেমন আল্লাহ বলেনঃ
’’তাঁর সদৃশ্য কোন কিছুই নেই এবং তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা (সুরা শুরা১১) ।আল্লাহ সবখানে আছেনঃ তার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর দৃষ্টি, আল্লাহর শক্তি, সাহায্য সব জায়গায় আছে, যারা বলে আল্লাহ ক্বলবে বা সবখানে আছেন, তারা কথায় এবং বিশ্বাষে বিদআত করছেন । আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন, অর্থাৎ আল্লাহ তাঁর শ্রবণ শক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও জ্ঞান অনুসারে আমাদের সাথে আছেন । আল্লাহ বলেনঃ ’’তোমরা ভয় করো না, নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি । আমি তোমাদের কথা শুনতেছি ও দেখতেছি (সুরা ত্বাহা ৪৬ ।
(৫)বিদআতের হুকুমঃ দ্বীন ইসলামের মধ্যে প্রতিটি দিআতই হচ্ছে হারাম নিষিদ্ধ এবং গোমরাহী । কারণ রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই নিজেদেরকে দ্বীন ইসলামে নব আবিস্কৃত বিদআতী কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখবে । কারণ প্রতিটি নব আবি¯কৃত বস্তুই হচ্ছে বিদআত, আর প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী ও পথ ভ্রষ্টতা (মুসলিম) ।
এই হাদিস থেকে জানা গেল যে, দ্বীন ইসলামের মধ্যে প্রতিটি নম আবিস্কৃত বস্তুই হচ্ছে বিদআত, আর প্রতিটি বিদআতই হচ্ছে পথ ভ্রষ্টতা ও পরিতাজ্য । তবে বিদআতের ধরন ও ধারণ অনুযায়ী বৎবধান ও পার্থক্য আছে । কারণ কোন কোন বিদআত স্পষ্ট কুফুরী । যেমন কবরস্থ ব্যক্তির নিকট নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে কবরের চার পার্শে তাওয়াফ করা এবং কবরের উদ্দেশ্যে নযর নিয়াম পেশ করা । কবরস্থ ব্যক্তির নিকটে প্রার্থনা আশ্রয় ও সাহায্য চাওয়া । এ সমস্ত সবই কুফুরী । কোন কোন বিদআত শিরকের মাধ্যমে যেমন কবরের উপর সৌধ নির্মাণ করা । মৃতদের মাধ্যমে বানিয়ে উছিলা গ্রহণ করা ।
বর্তমান সময়ে কিছু বিদআতের নমুনা উল্লেখ করছি । যেমনঃ
(ক) রাসুল (সাঃ) এর জন্ম তারিখে ঈদে মিলাদুন্নবী নামে জন্মবার্ষিকী পালন করা ।
(খ) আল্লাহর সুন্তষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদতে বিভিন্ন প্রকার নব নিয়ম ও পদ্ধতি আবিস্কার করা, যেমন শবে বরাতে নির্দিষ্ট করে বার রাকাত নামাজ পড়া এবং সেটাকে শবে বরাতের নামাজ বলা ।
(গ) প্রচলিত মিলাদের নামে রাসুল (সাঃ) এর প্রশংসায় সীমা লংঘন, অতিবঞ্জন ও বাড়াবাড়ি থাকে । যেমনঃ আল্লাহ তায়ালাকে বাদ দিয়ে রাসুল (সাঃ) এর কাছে দোয়া করা এবং তাঁর মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া হয় । অথচ রাসুল (সাঃ) তাঁর প্রশংসায় বাড়াবাড়ি ও সীমালংঘন করতে নিষেধ করেছেন । রাসুল (সাঃ) বলেনঃ
’’তোমরা আমাকে প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না খৃষ্টানরা যেভাবে মরিয়ম পুত্র ঈসা কে প্রশংসার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছিল । নিশ্চয় আমি একজন বান্দা সুতরাং তোমরা আমাকে আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল বলেই আখ্যায়িত করবে (বোখারী ও মুসলিম) ।
মূল কথা হলো, রাসুলের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা ও সন্মান দেখানোর উত্তম পন্থা হলো তাঁর আনুগত্য ও নির্দেশের অনুসরন করা এবং তাঁর সুন্নাতের প্রতিষ্ঠার চেষ্ঠা করা । প্রচলিত মিলাদ যা দাড়িয়ে বা বসে পড়ার ব্যাপারে গ্রামে গঞ্জে দলাদলি হচ্ছে । অথচ প্রচলিত মিলাদের কোন ভিত্তি শরীয়তে নেই । এটি রাসুল (সাঃ) মৃত্যুর ৬০০ বছর পর মিশরের বাদশা মুজাফফার আবিস্কার করেন ।
(ঘ) দরগা ও মাজারে ওরশ করা টাকা পয়সা দেয়া, পশু জবাই করা বিদআত ।
(ঙ) নামাযেজ পর সম্মিলিতভাবে যিকির বা দোয়া করা । কারণ নামাজের পর শরীয়ত সম্মত বিধান হলো প্রতিটি নামাযী ব্যক্তি একা একা যে সমস্ত মাসনুন যিকির আযকার আছে তা পাঠ করা এবং দোয়া করা ।
(চ) মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা, পরিশ্রমের বিনিময়ে কুরআন তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করা এ বিশ্বাসে যে, মৃত ব্যক্তির জন্য উপকার হবে । এ সমস্ত কর্মকান্ডই বিদআত । বিদআত থেকে বাচার একমাত্র পথ হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের (সাঃ) সুন্নাত কে মজবুত ভাবে আকড়ে ধরা । আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
’’নিশ্চয় এটি আমার সরল পথ । অতএব এ পথে চল এবং অন্যান্য পথে চলো না । তা হলো সে সব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে (সুরা আনআম ১৫৩) ।
এ বিষয়ে রাসুল (সাঃ) স্পষ্ঠ করে বলেছেন, যা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি এভাবে বলেনঃ আমাদের উদ্দেশ্যে রাসুল (সাঃ) একটি রেখা টানলেন । তারপর বললেন এটা আল্লাহ পাকের সোজা ও সঠিক পথ । তারপর তার ডানে ও বামে আরো কিছু রেখা টানলেন, তারপর বললেন এগুলো অন্য পথ যাদের প্রত্যেকটার শুরুতে শয়তান বসে মানুষদেরকে তার দিকে ডাকছে । তারপর কোরআন থেকে পড়লেন, অবশ্যই এটা আমার সরল সঠিক পথ, তোমরা অবশাই এর অনুসরন করবে এবং অন্যান্য রাস্তা সমূহকে অনুসরন করবে না । তা হলে এ রাস্তা সমূহ তোমাদেরকে তার রাস্তা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে । আল্লাহ তায়ালা এই ভাবে তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন । যাতে তোমরা মুত্তকী হতে পার (আহমদ) । রাসুল (সাঃ) বলেনঃ
যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব মেনে চলে, সে দুনিয়ায় পথ ভ্রষ্ট হবে না, এবং পরকালেও সে হতভাগ হবে না (মিশকাত)। রাসুল (সাঃ) আরো বলেনঃ আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষন তোমরা তা দৃঢ়ভাবে ধারন করে থাকবে, ততক্ষন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না, তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসুলের সুন্নাহ (মিশকাত) ।
আসুন যাবতীয় বিদআতী কর্মকান্ড পরিহার করে আল্লাহ কিতাব ও রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ আলোকে সঠিক আমল করে দুনিয়ায় ও আখেরাতের সাফল্য অর্জন করি । আমিন