Topic: অ্যানিমিয়া কী?

মাথায় কত প্রশ্ন আসেঅ্যানিমিয়া কী? বাংলায় রোগটির নাম রক্তশূন্যতা। যদিও এ রোগে শরীর থেকে রক্ত নিঃশেষ হয়ে যায় না। অ্যানিমিয়ায় রক্তের লোহিত কণিকার সংখ্যা বা গুণগত মান কমে যায়। লোহিত কণিকায় থাকে হিমোগ্লোবিন, যা ফুসফুস থেকে অক্সিজেন পুরো শরীরের কোষে কোষে পেঁৗছে দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে। তাই সহজ করে বললে, রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা কমে গেলে, হিমোগ্লোবিনের লেভেল স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে তাকে অ্যানিমিয়া বলে।
অ্যানিমিয়া হলে কী হয়? আক্রান্ত ব্যক্তির হার্টকে বেশি করে কাজ করতে হয়। কারণ বেঁচে থাকতে হলে শরীরকে অক্সিজেন পেতে হবে। যেহেতু হিমোগ্লোবিন কমে যায়, তাই হার্ট বারবার রক্ত পাম্প করে অক্সিজেনের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু সব সময় তা সম্ভব হয় না। যেমন_পরিশ্রমের সময়। তখন এত বেশি অক্সিজেন প্রয়োজন হয় যে অ্যানিমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির হার্টের পক্ষে তত বেশি রক্ত পাম্প করা সম্ভব হয় না। সে কারণে অল্প পরিশ্রমেই অ্যানিমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁপিয়ে ওঠে।
কয়েকটি কারণে অ্যানিমিয়া হতে পারে। হিমোগ্লোবিনের বেশির ভাগ অংশই আয়রন। তাই আয়রনযুক্ত খাবার কম খেলে, আয়রন শরীরে কম শোষিত হলে, বংশগত কিছু রোগ (থ্যালাসেমিয়া বা সিকল সেল ) থাকলে, আর্থ্রাইটিস-যক্ষ্মা থাকলে, হরমোনজনিত সমস্যা (হাইপোথাইরয়ডিজম) থাকলে, আঘাত বা অসুখজনিত রক্তক্ষরণ হলে, বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জার অসুখ থাকলে, রক্তে ইনফেকশন হলে এবং প্রেগন্যান্ট হলে সাধারণত অ্যানিমিয়া হয়।
ডাক্তার ছাড়াও লক্ষণ দেখে রোগটি অনেক ক্ষেত্রেই নির্ণয় করা যায়। যেমন : ত্বক ফ্যাকাসে হওয়া, দুর্বল লাগা, সহজেই হাঁপিয়ে ওঠা, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে আসা, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, হার্টে পালপিটিশন বা বুক ধড়ফড় করা, খেতে অরুচি হওয়া ইত্যাদি।

ডা. কাজী আব্দুল্লাহ আরমান
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ

সূত্র : এখানে

Shout Me Crunch আমার ব্যক্তিগত টেক ওয়েবসাইট।


Re: অ্যানিমিয়া কী?

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

http://img143.imageshack.us/img143/9373/rongmoholsignature04.gif


Re: অ্যানিমিয়া কী?

বাংলাদেশে বাচ্চাদের কৃমি জনিত কারণে এবং মহিলাদের আয়রনের অভাবজনিত কারণে অ্যানিমিয়া বেশি হয়। ইদানিং ডাক্তার ও গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগে ভূগছেন এমন অনেকেরেই অ্যানিমিয়া ধরা পড়ছে। ডায়াবেটিস রোগীরা যখন ক্লান্তিতে ভুগছে মনে করে তাদের ধারণা, এটা হচ্ছে রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যাওয়ার জন্যই। কিন্তু দেখা গেছে ক্লান্ত ডায়াবেটিসের রোগীদের বেশির ভাগই অ্যানিমিয়ায় ভুগছে। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীদের প্রায়শই কিডনি সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে কিডনি থেকে নিসৃত ইরাইথ্রোপ্রোটিন হরমনের উত্পাদন খুব কমে যায় কিংবা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, যেটি লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলসরূপ, লাল কণিকার সামগ্রিক পরিমাণ কমে যায় এবং রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়  chatterbox  chatterbox  chatterbox

সালাম সালাম হাজার সালাম, সকল শহীদ স্বরণে
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই, তাদের সৃতির চরণে