Topic: রোগ প্রতিরোধে ১০ খাদ্য - ডা. রফিক আহম্মেদ

ডা. রফিক আহম্মেদ
মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

http://i.imgur.com/nbm8v.jpg

আমরা যা-ই খাই তা যদি শোষিত হয়ে শরীরের ক্ষয় পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ও বৃদ্ধি সাধন করে তবেই তাকে খাদ্য বলে। ১০ ধরনের খাদ্য রোগ প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধ করে। সে বিষয়ে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।

১. রুটি, ময়দা, আটা, চা-পাতির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ বা পাইরিডক্সিন আছে যা কিনা প্লিহা ও থাইমাস গ্রন্থির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং অর্গান দুটি রোগ প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য বি-ভিটামিনের গুরুত্বও আছে। ফলিক এসিড টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়। ভিটামিন বি-১২, লিভার, মাছ, ডিম এবং ছত্রাক বিশেষ শস্যজাতীয় খাদ্যের মধ্যে পাওয়া যায়।

২. ক্যারোট-গাজর, ভিটামিন-এ, সমৃদ্ধ খাবার যা কিনা লালশাক, পুঁইশাক, টাটকা শাকসবজিতে পাওয়া যায়। আম, কলা, পেঁপে, রঙিন ফলেও ভিটামিন এ বেশি আছে। মলা, ঢেলা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম তো আছেই। ভিটামিন এ-তে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা ত্বক এবং মিউকাস মেমব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ তন্ত্রের তীব্রতা বৃদ্ধি করে। এন্টিবডি রেসপন্ডে সাহায্য করে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে ইত্যাদি।

৩. ঘি, দুগ্ধ, দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। এ ছাড়া শাকসবজি, মাছ, চীনাবাদাম, ডালের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা ম্যাগনেশিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমুউন কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটা চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

৪. চকোলেট, আইসক্রিম, কোকো, গুঁড়া করে তৈরি মণ্ড, মাংস, ডিমের কুসুম, শীল মাছ, সুগন্ধি মশলা ইত্যাদি চমৎকারভাবে আয়রনের সঙ্গে যুক্ত হয়। শ্বেত রক্ত কণিকার সমতা রক্ষা করে, যা ইমুনিটি সৃষ্টিতে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে।

৫. সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক খাদ্য, মুরগি, লিভার, ডিমের কুসুম, শস্যজাতীয় খাবার ইলিশ মাছ, মাছের তেল ইত্যাদির মধ্যে সেলিনিয়াম নামক খনিজ লবণ থাকে, যা শ্বেত কণিকার ও ইমুউন এনজাইমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এ তেলের মধ্যে ফ্যাটি এসিড থাকে। এরা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৬. ম্যাগনেশিয়াম টাটকা শাকসবজি, চীনাবাদাম, সামুদ্রিক খাদ্য, শস্যজাতীয় খাবারে ম্যাগনেশিয়াম থাকে, এগুলো ইমুনিটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

৭. ভিটামিন-ই : উদ্ভিদ জাতীয় খাবার শাকসবজি, ফলমূল, ভেষজ তেলে পাওয়া যায়। শিম, শিমের বিচি, চীনাবাদাম ইত্যাদি। প্রাণিজ খাদ্য ডিমের কুসুম, মাছ, মাংস, দুধে থাকে। এরা শ্বেত রক্ত কণিকার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৮. আমলকী, হরীতকী, পেঁপে, তরমুজ, বাঁধাকপি, টকজাতীয় লেবু, কমলা লেবু, পেয়ারা ইত্যাদি। এরা কেমিক্যাল ম্যাসেনজার নাম্বার বৃদ্ধি করে বিশেষ করে ইন্টারফেরন, যা ইনফেকশনের প্রসেস প্রতিরোধে মহা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।

৯. জিংক : সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, মাংস, সিরিয়াল, চিংড়ি, সামুদ্রিক খাদ্যে জিংক প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা ফ্রি রেডিকেলের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জঞ্জাল কোষকে (জীবাণু ধ্বংস করার পর যেগুলোর মৃত্যু ঘটে) মুক্ত করতে সাহায্য করে। জিংক আমাদের শরীরের পুষ্টির জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। জিংক শরীরের বিভিন্ন এনজাইমের একটি অংশ এবং সব টিসুতেই এটি আছে।

১০. চা, শস্যজাতীয় খাদ্য টাটকা শাকসবজি-জাতীয় খাদ্যে ম্যাংগানিজ থাকে, যা কিলার ইমুনু সেলের কার্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

Shout Me Crunch আমার ব্যক্তিগত টেক ওয়েবসাইট।


Re: রোগ প্রতিরোধে ১০ খাদ্য - ডা. রফিক আহম্মেদ

বাপরে বাপ! যেই ছবি লাগাইছ মাথাই খারাপ। এত পুস্টি রাখব কই?

মেডিকেল বই এর সমস্ত সংগ্রহ - এখানে দেখুন
Medical Guideline Books