Topic: জিয়নের এনার্জি সেভার।
বিদ্যুত্ সঙ্কট নিয়ে যখন সরকার ও জনগণ দিশেহারা, ঠিক তখন হাতিবান্ধার ১৮ বছর বয়সী তরুণ বিজ্ঞানী জিয়ন তার উদ্ভাবিত এনার্জি সেভার দিয়ে বিদ্যুত্ সঙ্কট মোকাবিলার স্বপ্ন দেখছে। তার উদ্ভাবিত এনার্জি সেভার টি এরই মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চীনের কোয়ালিটি রয়েল নামের একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জিয়নের এনার্জি সেভার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাজারজাত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুত্, তেল ও খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটি হাতিবান্ধা উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক আলী আখতার গোলাম কিবরিয়া জানান, হাতিবান্ধার কৃতীসন্তান, ১৮ বছর বয়সী তরুণ বিজ্ঞানী জিয়নের উদ্ভাবিত ক’টি প্রকল্প এরই মধ্যে বেশ সারা জাগিয়েছে। এনার্জি সেভারের পাশাপাশি তার উদ্ভাবিত ঘর শীতলকরণ ও জ্বালানিবিহীন পানি উত্তোলন যন্ত্র দুটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তরুণ বিজ্ঞানী মুমতাহিনুল ইসলাম জিয়ন জানান, এনার্জি সেভারটি যে কোনো সকেটে লাগানোর মাধ্যমে একটি পরিবার মাসে ২৫ থেকে ৩৫ ভাগ পর্যন্ত বিদ্যুত্ সাশ্রয় করতে পারে। এটি অতিরিক্ত ভোল্টকে স্থিতিশীল রাখে ও ব্যবহৃত বিদ্যুেক সিস্টেম লস থেকে আংশিক রক্ষা করতে সক্ষম। ফলে পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান যন্ত্রাদি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বহনযোগ্য ও ভারবিহীন এই যন্ত্রটি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। জিয়ন আরও জানান, ভারতের বিশিষ্ট শিল্পপতি মুথাইয়া ভেনকাসটিসও সমপ্রতি ঢাকা সফরে এসে এনার্জি সেভারটি দেখে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি বাজারজাত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এনার্জি সেভার ব্যবহারকারী হাতিবান্ধা এসএস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক স্বপন কুমার দে জানান, তিনি এনার্জি সেভার ব্যবহার করায় এরই মধ্যে তার বিদ্যুত্ বিল অনেকটা কমে এসেছে। কম্পিউটার ব্যবসায়ী সাবেক নৌ-কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম দোদুল মনে করেন, জিয়নের এনার্জি সেভার ব্যবহারের মাধ্যমে একটি পরিবার অতিরিক্ত বিদ্যুত্ বিল থেকে যেমন রক্ষা পেতে পারে, তেমনি দেশের বিদ্যুত্ সঙ্কট কিছুটা হলেও পূরণ হবে।
এ প্রসঙ্গে হাতিবান্ধা সদর ইউনিয়ন (সিঙ্গিমারী) চেয়ারম্যান এমজি মোস্তাফা জানান, জিয়নের এনার্জি সেভার প্রদর্শনী কিংবা বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার জন্য নয়, এটি জনগণের কল্যাণের জন্য। তিনি মনে করেন, প্রযুক্তি যদি জনগণের কাজে না আসে তাহলে সেটি সম্পূর্ণই মূল্যহীন। জিয়নের পরিকল্পনায় সরকার এগিয়ে এলে হয়তোবা দেশের বিদ্যুত্ সঙ্কট মোকাবিলা কিছুটা হলেও সম্ভব হতে পারে।
সূত্র:-এখানে
ভাই আমার দেশের মানুষ এত পরিশ্রম করে একটা জিনিস বানায় আর তা বাজারজাত করার জন্য ছুটে আসে অন্য দেশের মানুষ। লাভটা কি হল?
প্লিজ সরকারের সাথে কারও যদি যোগাযোগ থাকে বা কোনও এনার্জি কোম্পানির সাথে তা হলে অনুরোধ করবো আমারই যেনো আমাদের প্রোডাক্ট বাজারজাত করি। তাইলে খরচও কমবে আবার দেশের টাকা দেশেও থাকবে। এমন যেনো না হয় যাতে পরে বলতে হয় "চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। "