Topic: অল্প বয়সে চুল যদি পাকে।
একটা গানে আছে, চুল পাকিলে লোকে হয় না বুড়ো, কথাটা কিন্তু সত্য। তবে এও সত্য যে চুল পাকা বৃদ্ধ হওয়ার লক্ষণ। চুল পাকলে বন্ধু-বান্ধব চাচা বলে খেপায়। পাত্রী দেখতে গিয়ে বোকা বনতে হয়। তাই অল্প বয়সে যাদের চুল পাকে তারা হতাশায় ভোগেন। অনেক কারণে অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে।
শ্বেতী রোগে একগুচ্ছ চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। আবার সীমিত এলাকাজুড়ে যখন মাথায় চুল থাকে না এবং পরবর্তী সময়ে যখন সেখানে চুল গজাতে শুরু করে তখন প্রথম দিকে চুল পাকা দেখা যেতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না। রোগ ভালো হলে চুল তার হারানো রং ফিরে পাবে। জন্মগত ধবল রোগে আক্রান্ত বা আংশিক ধবল রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাদা চামড়ায় পাকা চুল দেখা যায় এবং এই চুলগুলো কিন্তু সাদা সাদা অবস্থায়ই থেকে যায়।চিকিৎসা
চিকিৎসকের সঙ্গে বসে আগে চুল পাকার কারণ খুঁজতে হবে, তারপর চিকিৎসা। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ক্যালসিয়াম প্যানথেনেট ট্যাবলেট কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যবহারের ফলে সাদা চুল কালো চুলে পরিবর্তিত হয়েছে। চিকিৎসার ফলে সাদা চুলে পরিবর্তন এসেছে, অর্থাৎ চুলের গোড়া কালো হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে, চুলের সে ফলিকলগুলো আগে সাদা চুল তৈরি করে, এখন এগুলো কালো চুল তৈরি করছে। যেহেতু সব সাদা ও পাকা চুল একসঙ্গে পরিবর্তিত হয় না এবং চুল ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়_তাই ওষুধ ব্যবহারের পর প্রতি মাসেই চুল পর্যবেক্ষণ করা উচিত। অবশ্য চুলের সাদা অংশ কেটেও ফেলা যায়, তাহলে শুধু গোড়ার অংশ কালো দেখাবে। যদি ওষুধ ব্যবহারের ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন না দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসা ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। যদি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক চুল পরিবর্তিত হওয়া শুরু করে, তাহলে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত। উল্লেখ করার মতো চুলে পরিবর্তন দেখতে হলে অনেক ক্ষেত্রে কয়েক বছর পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। অন্য কোনো আলাদা সাবধানতার প্রয়োজন নেই। চুল নিয়মিত ধোয়া বা শ্যাম্পু করা উচিত। স্থানীয়ভাবে লাগানোর জন্য কোনো ওষুধ বা তেল ব্যবহার দরকার পড়ে না এবং খাদ্যের ব্যাপারে কোনো বাছ-বিচার নেই। এই ওষুধের ব্যবহার এ পর্যন্ত নিরাপদ হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে। তবে গর্ভাবস্থায় বর্জন করা ভালো। কারণ এ অবস্থায় এর ব্যবহার নিরাপদ কি না এর সঠিক প্রমাণ নেই।
প্রধানত ২৫ বছরের নিচের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রযোজ্য। অন্যদের বেলায় কতটুকু কার্যকর বলা মুশকিল। তবে কাজ না করার আশঙ্কাই বেশি। যদি চিকিৎসার পরও চুলের স্বাভাবিক রং ফেরানো না যায়, তাহলে কৃত্রিম রং ব্যবহার করে চুল কালো করা ছাড়া আর উপায় থাকে না।
কৃত্রিম রং ব্যবহারের অসুবিধা হচ্ছে_একবার ডাই করা শুরু করলে তা নিয়মিত ব্যবহার করতে হয়।
ডা. এম ফেরদৌস
সহকারী অধ্যাপক
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ
সুত্র- কালের কণ্ঠ