(edited by উপল BD 2010-08-12 00:50:31)

Topic: রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাস।

রমজান মাস হচ্ছে সিয়াম সাধনার মাস।এই মাসে মুসলমানেরা সকল ধরনের খারাপ কাজ পরিত্যাগ করে,অর্ধবেলা উপোস থেকে এবং আল্লাহর উপাসনা করে আল্লাহর কাছ থেকে রহমত,নাজাত ও মাগফেরাত কামনা করে,আল্লাহও তাঁর বান্দাদের প্রার্থনা কবুল করেন।
বর্তমান মাসে দিন বড় হওয়ায় রোজাও রাখতে হবে অনেকক্ষণ,প্রায় ১৪.৫ ঘণ্টা অভুক্ত অবস্থায় থাকতে হবে,আর এই মাসে পানাহার থেকে বিরত থাকলেও আমরা সেহরির সময় কম আর ইফতারের সময় অনেকবেশী খাবার খায়,যার ফলে বেশ কিছু রোজা পার হলেই অনেকেই শারিরীকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে(সাথে সাথে রোজা রাখা অবস্থায় কাজকর্মও করতে হয়)।কিন্তু আমরা যদি আমাদের খাদ্য গ্রহনের ক্ষেত্রে যত্নশীল হই তাহলে হয়তো অনেক সুন্দরভাবে আমরা সিয়াম পালন করতে পারবো।
সেহেরীর সময়:-
১। এক প্লেট ভাত
২। শাক-সবজি
৩। গোশতের মধ্যে মুরগির গোশত,গরু বা খাসি না খাওয়াই ভালো।
৪। গোশত না খেলে মাছ খাবেন(বড় মাছ হলে-১পিস,ছোট মাছ পরিমাণ মত)
৫। যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা ইচ্ছা করলে রুটিও খেতে পারেন(যারা ইনসুলিন নেন তারা সেহেরীর আগে এবং ইফতারের পরে ইনসুলিন নিতে পারেন।)
৭। খেয়াল রাখবেন প্রতিটি রান্নাতেই যেনো অন্যান্য দিনের তুলনায় তেল কিছুটা কম দেওয়া হয়।
৮। Slow-digesting foods(পাকস্থলীতে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে ) বেশি খাবেন,এগুলো হচ্ছে-আঁশ জাতীয় খাবার(শাক-সবজি,),ভাত,গমের রুটি ইত্যাদি।
৯। অনেকেই আমরা সেহেরীর সময় গরম ভাতের সাথে আলু বা ডাল ভর্তা এবং ডিম খায়,আলু বা ডাল অনেকেরই ঠিকমত হজম হয় না,তাই খেতে ভারি মজা এই চিন্তা না করে অল্প করে খাওয়াই উচিত। 
ইফতারের সময়:-
ডাক্তাররা যতই বলুক ভাজাপোড়া না খেলে কি আর ইফতারি জমে,তাই খেয়াল রাখবো তেলের মান ও পরিমাণটা যেনো ঠিক থাকে।
১। খেজুর
২। শসা
৩। আপেল,পেয়ারা,পেপে বা অন্যান্য ফলমূল
৪। বেগুনি,আলুর চপ,পেয়াজী খেলে কোনটাই ১ টির বেশি খাওয়া ঠিক হবে না।
৫। ছোলা-মুড়ি:- ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় ও অত্যন্ত বিপদজনক খাবার(আমি নিজে অবশ্য খাই না,তবে এটা না খাওয়ার জন্য যেখানেই যাই সেখানেই ব্যাপকহারে গালিগালাজ খাই)।সারাদিন অভুক্ত থেকে ছোলা-মুড়ি খেলে তা হজম করার জন্য পাকস্থলী থেকে যে অতিরিক্ত HCL গ্যাস নি:সরন হয় তাই আমাদের প্রচলিত গ্যাসের কারণ যা অত্যন্ত সাধারণ কিন্তু মারাত্মক ক্ষতিকর।তাই ছোলা-মুড়ির পরিমাণ যেনো খুবই কম থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
৭। পাপড়-২ টির বেশি নয়।
৮। যেহেতু শরীরের শক্তির প্রধান যোগানদাতা গ্লুকোজ,তাই ইফতারের মেন্যুতে অবশ্যই শরবত রাখা উচিত,বাজার থেকে Tang জাতীয় শরবতের চেয়ে বাড়িতে লেবু দিয়ে শরবত বানিয়ে নেওয়ায় স্বাস্থ্যকর বলে আমি মনে করি।
৯। জিলাপী-বড়-১টি,ছোট-২টি
১০। পেট পুরো না ভরে বেশি করে পানি খাওয়া উচিত।
আমাদের ইফতারি যেহেতু সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে শেষ হয়ে যাবে তাই এই খাবারগুলো হজমের সুবিধার জন্য রাতের খাবার ১০.১৫-১০.৩০ এর দিকেই খাওয়া ভালো।
আর যেহেতু রমজান মাসে আমরা তাড়াতাড়ি ঘুমায়,তাই রাতে একেবারে পেট ভরে না খাওয়ায় ভালো,ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করা স্বাস্থ্যসম্মত । সেহেরীর সময় ক্ষুধা নিবারনের জন্য যতটুকু খাওয়া প্রয়োজন ততটুকুই খাওয়া উচিত,সারাদিন খেতে পারবো না বলে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়।এখন যেহেতু গরম অবহাওয়া বিরাজ করছে তাই আমাদের সেহেরীর সময় পানি বেশি করে খাওয়া উচিত।
রমজান মাসে আমরা সবাই যেনো সুন্দরভাবে,সুস্থ থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি,আল্লাহর কাছে এই দোয়ায় করি,আর আপনারও আমার জন্য দোয়া করবেন,আমিও যেনো ঠিকমত রোজা রাখতে পারি(রমজান মাসে আমার আবার অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা একটু বেশি-জ্বর,টাইফয়েড,জন্ডিস,সর্দি-কাশি)।
পরিশেষে আমার বিশ্বাস আপনারা সবাই আপনাদের খাদ্যাভ্যাসটা শৃংখলার মধ্যে রাখতে পারবেন এবং সুস্থ্য থাকবেন।

মোঃ সাঈদুজ্জামান উপল
http://img684.imageshack.us/img684/3410/fb1d.jpg


Re: রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাস।

হোস্টেল এর ডাইনিং এ সেহরি হচ্ছে তেলে চুবান মাছ অথবা মুরগি, যা খেলে তিন দিন অসুস্থ থাকতে হয়। করুন অবস্থা!  ;(

Shout Me Crunch আমার ব্যক্তিগত টেক ওয়েবসাইট।


Re: রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাস।

প্রথমদিন রোজা রেখে দুর্বল হয়ে গেছি।  sad

OH DEAR NEVER FEAR SAIF IS HERE
BOSS অর্থাৎ সাইফ
http://www.rongmohol.com/uploads/1805_amar_thikana.gif


Re: রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাস।

আর আমি DOTA খেলে সবল হয়ে গেছি।

Shout Me Crunch আমার ব্যক্তিগত টেক ওয়েবসাইট।


Re: রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাস।

sawontheboss4 wrote:

হোস্টেল এর ডাইনিং এ সেহরি হচ্ছে তেলে চুবান মাছ অথবা মুরগি, যা খেলে তিন দিন অসুস্থ থাকতে হয়। করুন অবস্থা!


শুনে খারাপ লাগলো।  sad

মোঃ সাঈদুজ্জামান উপল
http://img684.imageshack.us/img684/3410/fb1d.jpg