Topic: সেক্সট্যান্ট কি !
সূর্য এবং মহাদেশের অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রের উচ্চতা এবং কৌণিক ব্যবধান মাপার জন্য বৃত্তের সোয়া ছয় অংশ পরিমাণ চাপযুক্ত যন্ত্র বিশেষের নাম সেঙ্ট্যান্ট (Sextant)। এটি সামুদ্রিক জাহাজে এবং বিমানে অক্ষাংশ নিরূপণের কাজেও ব্যবহার করা হয়। ইংরেজি 'সেঙ্ট্যান্ট' শব্দটি এসেছে ল্যাটিন 'সেঙ্টাস' (Sextus) থেকে যার অর্থ সোয়া ছয় (one sixth) অংশ। ১৭৩১ সালে জন হেডলি (John Hadlley) নামে একজন ইংরেজ সেঙ্ট্যান্ট যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেন। এটি মূলত জাহাজের অক্ষাংশ বা নিরক্ষরেখা থেকে তার দূরত্ব নির্ধারণের কাজে ব্যবহার করা হয়। বস্তুত সেঙ্ট্যান্টের আবিষ্কার আধুনিক নৌ চলাচল ব্যবস্থার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যন্ত্রটি ডিগ্রিতে চিহ্নিত একটি বৃত্তের অংশবিশেষ। বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রোথিত
একটি চলনক্ষম ব্যাসার্ধ বাহু আছে। বাহুটির শেষ প্রান্তে একটি আয়না লাগানো আছে। অপর প্রান্তটি স্কেল পর্যন্ত প্রসারিত। সেঙ্ট্যান্টের উপর একটি টেলিস্কোপ ও টেলিস্কোপের সম্মুখে আয়না যুক্ত থাকে। সেঙ্ট্যান্ট ব্যবহারের সময় পর্যবেক্ষক টেলিস্কোপের ভিতর দিয়ে সোজা দিগন্তের দিকে দেখেন। তারপর আয়নাটি সূর্যের
অথবা কোনো বিশেষ নক্ষত্রের দিকে ঘোরানো হয় যাতে লক্ষ্যবস্তুটির ঠিক দিগন্তের উপর দৃশ্যমান হয়। যে বাহুদণ্ডটি আয়নাটিকে চালনা করে সেটি থেকেই প্রয়োজনীয় কৌণিক দূরত্বের পরিমাণটি পাওয়া যায়। এই কৌণিক মাপ থেকে এবং দিনের সঠিক সময়ের
হিসাব টেনে অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়। অক্ষাংশ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা নাবিকদের
জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ এর থেকে তারা পৃথিবীর ঠিক কোন অঞ্চলে জাহাজটি অবস্থান করছে জানতে পারে।
সূত্রঃ কপি-পেষ্ট।
গনযোগাযোগ সচিবঃ ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ, নীতি নির্ধারকঃ মুক্ত প্রযুক্তি।