(edited by shemul49rmc 2012-08-04 01:22:15)

Topic: মেডিক্যালে ভর্তিতে পরীক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা--ভালো হবে নাকি ?

সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) মহাপরিচালক খন্দকার মো. শেফায়েতউল্লাহ।

শেফায়েতউল্লাহ বলেন, “বহু শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। প্রতি আসনের বিপরীতে আমরা তিনজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে চাই।”

তিনি বলেন, “কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ জিপিএ পায়। কিন্তু গড়ে প্রতি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ পাওয়া শিক্ষার্থীকে আমরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে দিই। এটা তদারকি করা খুব কঠিন ব্যাপার।”

দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ ধরনের নিয়ম অনুসরণ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতি বছর গড়ে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সারা দেশে মোট ২০টিরও বেশি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে মোট জিপিএ-৮ এবং এই দুই পরীক্ষার একটিতে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫।

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়াটা ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মহাপরিচালক বলেন, মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলে তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার মানদণ্ড ঠিক করবেন।

প্রতি বছরই বিভিন্ন কোচিং সেন্টার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর ভর্তি পরীক্ষার আগের প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ওই বার প্রশ্নপত্র উরুতে পেচিয়ে প্রেস থেকে বেরোনোর সময় প্রেসের এক কর্মীকে আটক করা হয়।

২০০৭ সালে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে ওই পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে কিছু শিক্ষার্থী।

তখন তারা অভিযোগ করেন, কিছু শিক্ষার্থী মাত্র ৩ দশমিক ৫ জিপিএ নিয়ে দেশের সেরা মেডিক্যাল কলেজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দাবি করেন, কখনওই প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

“কিন্তু যেসব শিক্ষার্থীর জিপিএ কম থাকে তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা চালায়। আর কোচিং সেন্টারগুলো এর সুযোগ নেয়।”

বাংলাদেশে বর্তমানে ২২টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুই হাজার ৮১১টি এবং ৫৩টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে চার হাজার ২৪৫টি আসন রয়েছে।

এছাড়া নয়টি সরকারি ডেন্টাল কলেজ এবং বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ৫৬৭টি আসন থাকার পাশাপাশি ১৪টি বেসরকারি ডেন্টাল ইনস্টিটিউটে ৮৭০টি আসন রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসা শিক্ষার পরিচালক শাহ আব্দুল লতিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই তাদের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

গত বছরই প্রথমবারের মতো সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিতভাবে হয়। ভর্তির আবেদনপত্র অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।

এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নের আলোকে এ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।

আপনাদের মতামত কী ? আমার তো মনে হয় জিনিস টা ভালই হবে ।
সুত্র: BDNews24

http://signatures.mylivesignature.com/54490/195/2C1D5ECC2B5514D8ABEEFA8F0D34B59B.png
http://feeds.feedburner.com/medinfo24/FcZw.4.gif


Re: মেডিক্যালে ভর্তিতে পরীক্ষার্থী কমানোর পরিকল্পনা--ভালো হবে নাকি ?

হুম, ভালোই হবে এটা।