Topic: কিডনি ভালো রাখার ৯ উপায়
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে কিডনির ওপর। ফলে কিডনি আস্তে আস্তে বিকল হতে থাকে। তাই ওষুধ গ্রহণ বা স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলার মাধ্যমে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে সহজেই কিডনি রোগ থেকে বাঁচা যায়।
> বিনা কারণে ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়া। বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন_ অ্যাস্পিরিন, ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম, আইবুপ্রফেন ইত্যাদি (বাজারে বিভিন্ন নামে এ জাতীয় ওষুধ পাওয়া যায়) চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত গ্রহণ করলে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
> পরিমিত পরিমাণে পানি পান করুন। কিছুতেই শরীরে পানি কম পড়তে দেওয়া যাবে না। আবার বেশি বেশি পানি খেলে কিডনি ভালো থাকবে_এমন কথাও ঠিক নয়। স্বাভাবিক পরিবেশে একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক দেড়-দুই লিটার পানি প্রয়োজন। গ্লাসের হিসাবে প্রতিদিন সাত-আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। পরিমিত পরিমাণ পানি পান করে যে কেউ কিডনি সুস্থ রাখতে পারে। শীতকালে পানির প্রয়োজন কমে গেলেও গ্রীষ্মে অধিক পরিমাণ পানি পান করা উচিত।
> শিশুদের গলাব্যথা, খোস-পাঁচড়া বা স্ক্যাবিস হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। এসব রোগের জটিলতা হিসেবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
> ডায়রিয়া হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন। কেননা সঠিকভাবে ডায়রিয়ার চিকিৎসা না হলে হঠাৎ কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।
> পরিবারের কোনো সদস্যের কিডনি রোগের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিডনি টেস্ট করানো উচিত।
> ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশন থাকলে নিয়মিত টেস্ট করে দেখা প্রয়োজন কিডনি কোনো জটিলতায় আক্রান্ত হয়েছে কি না।
> হাত-পা ফুলে গেলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কেননা এসব সমস্যা কিডনি রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে।
> ধূমপান পরিহার করুন। ধূমপানের কারণে দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো কিডনিও আক্রান্ত হতে পারে।
সংগৃহীত