Topic: জার্মানির লক্ষ্য ফাইনাল স্পেনের ইতিহাস !

http://i47.tinypic.com/tpba.jpg

দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে আজ অনুষ্ঠিত হবে উনিশতম আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। দুর্দান্ত জার্মানির সামনে সতর্ক স্পেন। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে একদলের অবস্থান দুই আরেক দলের ছয়। র‌্যাঙ্কিংয়ে স্প্যানিশদের অবস্থান জার্মানির আগে হলেও অতীত রেকর্ডে এগিয়ে আছে জার্মানরাই।

জার্মানির ১৬টি বিশ্বকাপ

জার্মানদের মধ্য যুগে সম্বোধন করা হতো বর্বর বলে। সেই বর্বররাই যে এক সময় বিশ্ব শাসন করবে তা কে জানতো। জার্মানরা রোমান সাম্রাজ্য দখলে রেখেছিল অনেকদিন। দখল করেছিল আরো অনেক দেশই। হিটলারের সময় তো বিশ্বকেই দখল করতে চেয়েছিল তারা। সেই জার্মানরা ফুটবলে যখন এল বিজয়ীর বেশেই এল। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি হিটলারের দেশ। ১৯৩৪ সালে এসেই হয়ে গেল তৃতীয়। এরপর ১৯৫০ সাল ছাড়া কখনোই পিছনে তাকাতে হয়নি জার্মানদের। সেবার ফিফার নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি তারা। ১৯৩৮ সালে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় জার্মানরা। ১৯৭৮ সালে বিদায় নেয় দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। আর কখনোই কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বিদায় নিতে হয়নি জার্মানিকে। সাতবারের ফাইনালিস্টরা সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে চারবার। বিশ্বকাপে ষোলবারের অংশগ্রহণে এগারবারই সেমিফাইনাল খেলেছে জার্মানরা! দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও তারা উঠে এসেছে। এই সাফল্য শুধু জার্মানদেরই মানায়। এমনকি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলও জার্মানদের সমান সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি। ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে দশবার।

স্পেনের ১২টি বিশ্বকাপ

স্প্যানিশদের অগ্রগতি শুরু হয়েছিল অষ্টম শতকেই। এরপর পনের শতকে আধুনিক ইউরোপে এক অনন্য শক্তি হিসেবে আত্দপ্রকাশ করে স্পেন। রাজা পঞ্চম ফিলিপ তো স্পেনকে নিয়ে যান বিশ্ব পরাশক্তির সারিতে। সেই স্প্যানিশদের বিশ্বকাপটা কখনোই তেমন ভালো হয়নি। জার্মানদের মতো স্প্যানিশরাও বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে আসে ১৯৩৪ সালে। কোয়ার্টার ফাইনাল ছিল তাদের প্রথম বিশ্বকাপের গন্তব্য। এরপর ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের একমাত্র সেমিফাইনাল খেলে স্পেন। পরের ষাট বছরে আর কখনোই যেখানে পেঁৗছতে পারেনি তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের আগে মোট বারটি বিশ্বকাপ খেলেছে স্পেন। এর মধ্যে একবার সেমিফাইনাল খেলা ছাড়াও চারবার কোয়ার্টার ফাইনাল, তিনবার দ্বিতীয় রাউন্ড এবং চারবার প্রথম রাউন্ড শেষে বিদায় নিয়েছে স্প্যানিশরা।

পরিসংখ্যান

স্পেন-জার্মানির অতীত ফুটবল কারোর একক পক্ষে নয়। দুই দল অতীতে মুখোমুখি হয়েছে ২০ বার। জার্মানির জয় ৮টি এবং স্পেনের জয় ৬টি। ড্র হয়েছে আরো ৬টি ম্যাচ। এর মধ্যে বিশ্বকাপ আসরে দুই দলের সাক্ষাৎ হয়েছে তিনবার। ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল স্পেন-পশ্চিম জার্মানি। সেই ম্যাচে স্পেন হেরে গিয়েছিল ২-১ গোলে। ১৯৮২ সালে বিশ্বকাপের আসর বসেছিল স্পেনে। নিজেদের দেশের সেই বিশ্বকাপেও পশ্চিম জার্মানির কাছে আবারো ২-১ গোলে হেরে যায় লা রোজারা। ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে স্প্যানিশরা জার্মানিকে হারাতে না পারলেও ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। বিশ্বকাপের বাইরে স্পেন ২০০৮ সালে ইউরো কাপের ফাইনালে সব চেয়ে বড় জয় পায় জার্মানির বিপক্ষে। ২-০ গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ১৯৬৪ সালের পর প্রথম ইউরো কাপ জয় করে স্পেন।

কৌশল

স্পেন বিশ্বকাপের এখনো নির্দিষ্ট কোন ফরমেটে খেলছে না। জার্মানির অবস্থাও তথৈবচ। কখনো রক্ষণাত্দক কখনো বা আক্রমণাত্দক। ক্লোসাকে সামনে রেখে পোডলস্কি-বাস্তিয়ানরা চলে যায় কাউন্টার আক্রমণে। তাদেরকে সাপোর্ট দিয়ে যান শোয়েইস্টাইগাররা। আর স্প্যানিশ ফুটবলের বর্তমান কৌশলে ভিয়াকে সামনে রেখে জাভি-ইনিয়েস্তারা আক্রমণে যান। তরেসও থাকেন তাদের সঙ্গে। তবে একথা ঠিক যে জার্মান ফুটবলের গতির তুলনায় স্প্যানিশরা অনেকটাই মন্থর। জার্মানি মাঠে নামতে পারে ৪-২-৩-১ ফরমেট নিয়ে। স্পেনের ফরমেটও একই রকম হতে পারে।

তারকা কথন

স্পেন-জার্মানি ম্যাচে তারকার এত ছড়াছড়ি যে দুই একজনের কথা বললে দল দুটিকে অবহেলাই করা হবে। স্প্যানিশ ভিয়া তো পাঁচ গোল করে গোল্ডেন বুটের দাবিদার হয়ে আছেনই। আরো আছেন জাভি-তরেস-ইনিয়েস্তা-পুয়ল-পিকোরা। ইকার ক্যাসিয়াস তো গোলবারের সামনে আছেনই। জার্মানদেরও তারকার অভাব নেই। আছেন চার গোলদাতা ক্লোসা। মুলার খেলতে না পারলেও আছেন পোডলস্কি-অজিল-শোয়েইনস্টাইগাররা। গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নিউয়ার তো আছেনই। আজ যে কেউ জ্বলে উঠতে পারেন দলে পক্ষে।

সম্ভাব্য ফলাফল

জার্মানি ও স্পেনের খেলাতে সত্যি কথা বলতে কাউকে এককভাবে এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। তারপরও বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে এগিয়ে আছে স্পেন। তারা ১-০ গোলে জয় দেখছেন স্পেনের। ভবিষ্যদ্বাণীর কোনো গুরুত্ব আসলেই নেই। যে কোনো ফলাফলই আজ হতে পারে। তবে অক্টোপাসের ভবিষ্যদ্বাণীও কিন্তু স্পেনের পক্ষেই।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন।

একজন মানুষের জীবন হচ্ছে~ক্ষুদ্র আনন্দের সঞ্চয়,একেকজন মানুষের আনন্দ একেক রকম...http://www.rongmohol.com/uploads/1805_adda_logo_4.gif

গনযোগাযোগ সচিবঃ ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ, নীতি নির্ধারকঃ মুক্ত প্রযুক্তি।