Topic: এট্রোপিক রাইনাইটিস বা নাকের ক্ষয়রোগ !
এট্রোপিক রাইনাইটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়রোগ যাতে নাকের ঝিলি্ল, ঝিলি্লর নিচের অংশ বা তার আশপাশের হাড় ক্ষয় হয়ে যায়।
এই ক্ষয়রোগের কারণ হলো, নাকের রক্তনালী এবং তার আশপাশের নালীর প্রদাহ যা রক্ত সরবরাহে বাধা দেয়। এটি একটি বিশেষ ধরনের রোগ যা বিলম্বে নির্ণয় হয়; কারণ এটা একটা ব্যতিক্রমী রোগ এবং রোগী প্রথমে এই সমস্যা নিয়ে জেনারেল ফিজিসিয়ানের কাছে যায়।
কাদের বেশি হয়ঃ
এই রোগটি সাধারণত মহিলাদের বেশি হয়।
কারণসমূহঃ
-বংশগত
-অপুষ্টি এবং পুষ্টিহীনতা
-নাক এবং সাইনাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ
-রক্তনালী প্রদাহ
-হরমোনজনিত
-নাকের হাড়ের অসামঞ্জস্য
-ইমিউনোলজিক্যাল
উপসর্গ এবং চিহ্নসমূহঃ
-নাক দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয় যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না কিন্তু তার আশেপাশের লোকজন দুর্গন্ধ পায়।
-নাক বন্ধ থাকে যা নাকের একদিকে বা দু'দিকেই হতে পারে এবং যা সবুজ, দুর্গন্ধযুক্ত রস নিঃসরণ করে।
-মাঝে মাঝে নাক দিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
-মাথা ব্যথা, নাক ও গলা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
-নাকের পরীক্ষায় দেখা যায়, নাকের গহ্বর বেশ বড় এবং তাতে সবুজ আস্তরণ বা ক্রাস্ট ভর্তি।
-এছাড়া নাকের আশপাশের মাংসগুলো শুকিয়ে ছোট হয়ে যায়।
-নাক দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয় বলে রোগীর বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ
-নাক ও সাইনাসের এঙ্-রে
-রক্ত পরীক্ষাসমূহ - রক্তের রুটিন পরীক্ষা
-ভি ডি আর এল
-টি পি এইচ এ
-রক্তের গ্লুকোজ এবং অন্যান্য
-এইচআইভি
নাক ও সাইনাসের সিটি স্ক্যান, নাকের নিঃসৃত রসের কালচার ও সেনসিভিটি পরীক্ষাগুলো উন্নত দেশে নিয়মিত করা হয় কিন্তু আমাদের দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পরীক্ষাগুলো নিয়মিত করা হয় না।
চিকিৎসাঃ
প্রধানত ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা করা হয়। মাঝে মাঝে এ রোগের জন্য অপারেশনেরও প্রয়োজন হতে পারে যদি তা ওষুধের মাধ্যমে না সারে।
ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসাঃ
-গি্লসারিনের সঙ্গে শতকরা ২৫ ভাগ গ্লুকোজের মিশ্রণ প্রতিদিন ৪-৫ ফোঁটা করে দুই নাকের ছিদ্রে দিনে ৩-৪ বার করে দীর্ঘমেয়াদে দেওয়া হয়।
-অ্যালকালাইন দ্রবণ দিয়ে নাকের গহ্বর নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়।
-অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে যখন তা জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়।
-এছাড়া পরিপূরক হিসেবে ভিটামিন দেওয়া যেতে পারে।
-উপরোক্ত চিকিৎসা ছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসা রয়েছে।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসাঃ
-ইয়াংগস অপারেশন
-আরো অন্যান্য সার্জারি আছে।
রোগের পরিণতিঃ
এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ যা পুরোপুরি সারে না; কিন্তু চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন বজায় রাখা যায়। সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হলো গি্লসারিনে শতকরা ২৫ ভাগ গ্লুকোজের ব্যবহার সারা বছর এবং নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞের অধীনে নিয়মিত চেকআপে থাকা।
লেখকঃ অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী
নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি
মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন এন্ড হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা। মোবাইল : ০১৮১৯ ২২২১৮২
সূত্রঃ কপি পেষ্ট।
বিঃদ্রঃ খবরটা পড়ে শেয়ার করতে মন চাইলো তাই ! বিস্তারিত এই লাইনে যারা আছেন ~ ভাল বলতে পারবেন।
গনযোগাযোগ সচিবঃ ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ, নীতি নির্ধারকঃ মুক্ত প্রযুক্তি।