Topic: নামাযে শৈথিল্য প্রদানকারীর শাস্তি !
নামাজের খবর কি রাখ ব্যালেন্সের মতো ?
আযান শুনে কি সাড়া দাও রিংটোনের মতো ?
কুরআন কি মনযোগ দিয়ে পড়ো এসএমএস এর মতো ?
দুনিয়াতে ব্যাস্ত হয়োনা নেটওয়ার্কের মতো.........
অনেক দিন আগে, আমার সেলফোনে আমি sms হিসেবে বার্তাটি পাই, কিন্তু পরবর্তীতে সেই নাম্বারে (যে নাম্বার থেকে smsটা এসেছিল) একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করতে পারিনি।
এবং আমি তখন এটা রংমহলে শেয়ার করেছিলাম, আজকে রামেক এর বাংলা ফোরামে করছি; তারপরও যদি আমরা যারা নামাজে শৈথিল্য করি তাদের কিছুটা হলেও বধোদয় ঘটে !
দুনিয়ায় পাঁচ প্রকার শাস্তিঃ
(১) তার জীবনে কোন বরকত থাকে না। অর্থাৎ তার রুজী রোজগার থেকে বরকত উঠে যাবে।
(২) তার চেহারা থেকে জ্যোতি উঠে যায়।
(৩) তার কোন নেক আমলের প্রতিদান দেয়া হয় না।
(৪) তার দোয়া কবুল হয় না।
(৫) কোন নেক বান্দার দোয়ায় তার কোন অধিকার থাকে না।
মৃত্যুকালিন তিন প্রকার শাস্তিঃ
(১) অপদস্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করবে।
(২) ক্ষুধার্ত অবস্থায় মারা যাবে অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্বে খাদ্যের কষ্ট পাবে।
(৩) পিপাসার যন্ত্রণায় মারা যাবে অর্থাৎ সমুদ্র সম পানিতেও তার পিপাসা মিটবে না।
কবরে তিন প্রকার শাস্তিঃ
(১) কবর এত সংকীর্ণ হবে যে, তার একদিকে পাঁজরের হাড় অন্যদিকে ঢুকে যাবে।
(২) তার কবরে আগুন জ্বেলে দেয়া হবে।
(৩) কবরে তার উপর ভয়ংকর আকৃ্তির একটি সাপ নিযুক্ত করা হবে যে ফজরের নামায বরবাদের জন্য জোহর পর্যন্ত, জোহরেরর নামাযের জন্য আসর, এভাবে আসর থেকে মাগরিব, মাগরিব থেকে এশা, এশা থেকে ফজর পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে। বলা হয় যখন সাপটি দংশন করবে তখন মৃত ব্যাক্তি ৭০ হাত মাটির নীচে চলে যাবে। এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত তাকে শাস্তি দেয়া হবে।
কবর থেকে উঠার পর তিন প্রকার শাস্তিঃ
(১) তার হিসাব কঠিন ভাবে নেয়া হবে।
(২) তার উপর আল্লাহর ক্রোধ থাকবে
(৩) তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, তার ললাটে তিনটি লাইন লেখা থাকবে।
প্রথম লাইনে, হে আল্লাহর হক বিনষ্টকারী।
দ্বিতীয় লাইনে, হে আল্লাহর অভিশপ্ত।
তৃ্তীয় লাইনে, তুমি দুনিয়ায় যেরুপ আল্লাহর হক নষ্ট করেছিলে তদ্রুপ আজও তাঁর রহমত থেকে বঞ্চিত।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে তার নির্দেশ অনুযায়ী নামায আদায় করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
সুত্রঃ অধ্যাপক মাওলানা আতিকুর রহমান ভূঁইয়া লিখিত "কুরআন হাদীসের আলোকে পূর্ণাঙ্গ নামায শিক্ষা ও নর-নারীর মাসয়ালা মাসায়েল" এর ৯০ পৃষ্ঠায়।
গনযোগাযোগ সচিবঃ ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ, নীতি নির্ধারকঃ মুক্ত প্রযুক্তি।