Topic: রাজাকার
কে তুমি ?
ওহে আঁধার পথের সারথী ?
চেয়ে দেখ ; অযূত প্রাণের মিলন-মেলা
তরুন প্রাণের বিজয় খেলা
ডঙ্কা বাজিছে ময়দানে আজ
সাঙ্গ করিব তিমির বেলা ।
ওকি ! তুমি লুকাও কেন ?
আলোর পরে আসিছে আলো
সবাই তারে বাসিছে ভালো
মনের কথা বলিব আজ
তাড়িয়ে যত আঁধার কালো।
ওহে ! তুমি কি সেই ঘৃণিত হিটলার, তাতে কি ?
লাখো মানুষের রক্ত ঝরে
ছিলে; ক্ষমতাটা আঁকড়ে ধরে
কত পাপ আর অভিশাপ কুড়িয়েছ
সে তো সেই স্বজাতির তরে!
এসো হে ! আজ এই পূণ্যতটে।
ওহে ! মুখটি ঢেকে সঙ্গোপনে, লুকাও কেন দূর দেশে ?
একি! তুমি কি সেই চেঙ্গিস কিংবা হালাকু খাঁন
যুদ্ধ বাধিয়ে ঝরিয়েছ তব লাখো লাখো তাজা প্রাণ ?
তবুও তো পেয়েছ আপন জাতির সন্মান
এসো হে এই পূণ্যতটে, রাখো মোর আওভান।
ওহে ! যাও কেন দূরে সরে
তাকাও ফিরে মুখটি ঘুরে।
একি ! তুমি কি সেই বেঈমানরাজ মীরজাফর
বঙ্গমাতার বুকে বসিয়েছিলে যে বিষের কামড় ?
ওহে তুমি তো শত্রু ছিলে নবাবজাদার
স্বেচ্ছায় করনি’ক ক্ষতি আপামর জনতার
তবে কেন পলায়ন কর
এসো এই জনতার ভিড়ে, কর মোর হস্ত শৃঙ্গার ।
কে তুমি, আছ রাক্ষস বেশে ?
এসো এসো এই নূতন দেশে।
হায় পাপের বোঝাতে তুমি যে চলৎহীন
চলিতেছে আজ যে তোমার ঘোর দূর্দিন ।
ডাকিছি তোমায় এই বক্ষ মাঝে
এসো হে সব শোক তাপ ভুলে।
ওরে চেঙ্গিস,হালাকু, আবু জেহেল, মীরজাফর
কে কোথা আছিস, কর নব অতিথিকে কূর্ণিশ কর।
আজিকার দিনে-
ঈমান-বেঈমান, পাপ পূণ্যের ধার ধারি না’ক
পাপী-তাপী সব মিলে একসাথে রব, ডাক সবাইকে ডাক ।
হঠাৎই মীরজাফর মিনমিনিয়ে বললে-
গুরু! এতো দানব নহে, নহে রাক্ষস –খোক্ষস
এতো বাংলার রাজাকার, আলবদর আর আলশামস।
পলাশীর প্রান্তরে শুধু আপন সৈন্য অচল রেখে করেছি যে পাপ
মানুষের মুখে মুখে আজও ঝরিছে যার ঘৃণা আর ভীষণ উত্তাপ
হায়! একদিনের ভুলে পেয়েছি আমি যত অভিশাপ-ধিক্কার
শত শত দিনের ভুলেও পায়নি’ক ততো, এই বাংলার রাজাকার।
লাখো বোনের ইজ্জত করিল যারা হরণ
তাদেরই আগমনে বাঙ্গালীরা রচিলে নয়নভিরাম তোরণ
কেমন করিয়া বলি-লাখো শহীদের রক্ত চাটিল যে জানোয়ার
তাদেরই চরণে নিজেরি সঁপিলে বারবার।
লজ্জায় যায় মোর মাথা কাটা
দেশবিরোধী ছিল যারা, তাদেরই হাতে দিলে বাংলা শাসন করিবার ক্ষমতাটা।
ওহে আওভানকারী ব্লগার, শুনে রাখ পাতিয়া দুই কান
রাজাকারের সাহচর্যে খোয়াইতে পারিব না অবশিষ্ট মোর মান।
আমি কাঁদিয়া উঠিয়া বলি-
ওহে মীরজাফর! যেও নাক পাপীদের এই দল ছাড়ি
চিনিতে পারিনি গো এ যে মস্ত শয়তানের ধাড়ি।
চেয়ে দেখ- আমিই যে ধর্ষকামিতার শিকার হওয়াদের অনূজ
প্রাণের দায়ে চারিটি দশক গুটায়ে রেখেছি তব ভূজ।
আমি আজ উদ্দাম তরুণ, আমি দুর্দমনীয় শক্তি করেছি সঞ্চিত
খুনির রক্তে করিব যে দুই হাত রঞ্জিত।
আমি শুনেছি ইজ্জত হারানো মায়ের করুন কাহিনী
ওরে হিটলার চেঙ্গিস আবার সাজা তোদের নৃশংস বাহিনী।
আমি আসিতেছি, নিস্তার নাই
রাজাকার মুন্ডুতে বাজিবে যে ঘরে ঘরে সানাই
আপন মাতা ভগিনীর যোনীপথ ছেদিল যে পশু
বিনাশ তাদের না করি থামিবে না মোর হস্ত কভু।
আমি বিক্রমে কাটিয়া শামস-রাজাকার-বদরের মুন্ডুটা
উড্ডীন করিব ফের বাংলার লাল সবুজ পতাকাটা।
এফ এইচ রিগ্যান
২২.০৫.১০