Topic: মাউন্ট এভারেস্টের কিছু তথ্য !
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। হিমালয় পর্বতমালার এই পর্বতশৃঙ্গে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন পড়েছিল আজ থেকে প্রায় ৫৭ বছর আগে। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে নিউজিল্যান্ডের স্যার এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে সর্বপ্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করার পর অনেক দেশের অভিযাত্রীর পা পড়েছে সেখানে। ওই সব অভিযাত্রী সর্বোচ্চ এই চূড়ায় উঠে নিজেদের স্বপ্ন যেমন পূরণ করেছেন, তেমনি নিজের দেশকেও করেছেন গৌরবান্বিত।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার অভিযাত্রী মুসা ইব্রাহীম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখে ইতিহাসের পাতায় নিজের ও বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছেন।
পাঠকদের জন্য মাউন্ট এভারেস্ট-সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো—
গঠন: এভারেস্ট পর্বত গঠিত হয় প্রায় ছয় কোটি বছর আগে।
উচ্চতা: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২৯ হাজার ৩৫ ফুট। ১৯৯৯ সালের আগের হিসাবে যা ছিল ২৯ হাজার ২৯ ফুট।
নামকরণ: ভারতের ব্রিটিশ সার্ভেয়ার জেনারেল স্যার জর্জ এভারেস্টের নামে পর্বতটির নামকরণ করা হয়েছে। এর কারণ, স্যার জর্জ সর্বপ্রথম এভারেস্টের অবস্থান নির্ণয় করেন এবং এর উচ্চতা মাপেন। একসময় একে ১৫ নম্বর চূড়া হিসেবে চিহ্নিত করা হতো।
নেপালি ভাষায় এর নাম সাগরমাথা (আকাশের দেবী)।
তিব্বতি ভাষায় এর নাম চোমোলুংমা (মহাবিশ্বের দেবী মা)।
অবস্থান: ২৭ ডিগি ৫৯ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৬ ডিগ্রি ৫৬ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এর অবস্থান। এই পর্বতের চূড়া নেপাল ও তিব্বতকে আলাদা করেছে।
শৃঙ্গ জয়: ১৯৫৩ সালের ২৯ মে নিউজিল্যান্ডের স্যার এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের তেনজিং শেরপা সর্বপ্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন।
সর্বপ্রথম একা এভারেস্ট জয় করেন ইতালির পর্বতারোহী রেইনহোল্ড মেসনার, ২০ আগস্ট ১৯৮০ সালে।
শীতকালে সর্বপ্রথম এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন পোলিশ পর্বতারোহী লেসজেক চিচি ও ক্রিস্টোফ উইলিস্কি, ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ সালে।
১৯৭৫ সালের ১৬ মে জাপানের জুনকো তাবেই প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন।
৮ মে ১৯৭৮ সালে পর্বতারোহী রেইনহোল্ড মেসনার ও পিটার হ্যাবেলার অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন! যা একসময় অসম্ভব ভাবা হতো।
২০০৮ সালের ২৫ মে সবচেয়ে বেশি বয়সে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন নেপালের বাহাদুর শেরচান (৭৬)। সবচেয়ে কম বয়সে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েন যুক্তরাষ্ট্রের জর্ডান রোমেরো (১৩) গত শনিবার।
সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের রেকর্ড নেপালের আপা শেরপার। গত শনিবার তিনি ২০ বারের মতো ওই চূড়ায় পা রাখেন।
প্রথম এভারেস্টের চূড়ায় দুবার ওঠার কৃতিত্ব নেপালের নওয়াং গোম্বুর।
প্রথম বাঙালি হিসেবে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন দেবাশীষ বিশ্বাস ও বসন্ত সিংহ রায়। দেবাশীষের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আর বসন্ত সিংহের বাড়ি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে।
সবচেয়ে দ্রুত এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠার রেকর্ডটি অস্ট্রিয়ার পর্বতারোহী ক্রিস্টিয়ান স্ট্যানগলের। তিনি ২০০৭ সালে বেস ক্যাম্প থেকে মাত্র ১৬ ঘণ্টা ৪২ মিনিটে পর্বত চূড়ায় পৌঁছান। তিনি অক্সিজেন ছাড়াই চূড়ায় পৌঁছান।
সবচেয়ে দ্রুত চূড়া থেকে নেমে আসার রেকর্ডটি ফ্রান্সের জ্যঁ-মার্ক বোয়াভিনের। তিনি প্যারাগ্লাইডিং করে মাত্র ১১ মিনিটে নেমে আসেন বেস ক্যাম্পে।
চূড়ায় অবস্থান: সবচেয়ে বেশি সময় চূড়ায় অবস্থানের রেকর্ড নেপালের বাবু চিরি শেরপার। তিনি সাড়ে ২১ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন।
অভিযাত্রীর মৃত্যু: এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখতে গিয়ে ২০০৯ সালের শেষভাগ পর্যন্ত ২১৬ জন অভিযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
বিপজ্জনক এলাকা: খুম্বু আইস ফল। সেখানে ১৯ জন অভিযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
অভিযাত্রী দল: এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অভিযাত্রী দল এভারেস্ট জয়ে গেছে চীন থেকে। ১৯৭৫ সালে ৪১০ জনের একটি অভিযাত্রী দল ওই অভিযানে অংশ নেয়। এএফপি ও উইকিপিডিয়া।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
![http://www.rongmohol.com/uploads/1805_adda_logo_4.gif](http://www.rongmohol.com/uploads/1805_adda_logo_4.gif)
গনযোগাযোগ সচিবঃ ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ, নীতি নির্ধারকঃ মুক্ত প্রযুক্তি।