Topic: মুসলমানদের করণীয়
মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ কর যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক।” (সূরা আনফাল : ১)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন, “(হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন! তোমরা একমাত্র আমাকে অনুসরণ কর।” (সূরা আলে ইমরান : ৩১)
অর্থাৎ প্রত্যেক মু’মিন-মুসলমানকে প্রতি ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতে হবে। আর সেজন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র বলে দিয়েছেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে।” (সূরা আহযাব : ২১)
অর্থাৎ তিনিই অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং উনারই তর্জ-তরীক্বা, নিয়ম-পদ্ধতি, অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে। সর্বক্ষেত্রে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই একমাত্র আদর্শ এবং এ আদর্শের খিলাফ কোন কাজই করা যাবেনা।
তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে অন্যত্র ইরশাদ করেন, “তোমাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা আঁকড়ে ধর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর। মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (সূরা হাশর : ৭)
অথচ বর্তমান মুসলমানরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে যেমন কঠিন শাস্তিদাতা বলে মানে না ঠিক তেমনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বোত্তম আদর্শ হিসেবে মানে না। (নাউযুবিল্লাহ) যদি মানতো তাহলে তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণের প্রতিফলন ঘটতো। কিন্তু দেখা যায়, একজন মুসলমান যখন চুল রাখে তখন সে কোন অভিনেতা/অভিনেত্রী কিংবা কোন খেলোয়াড়কে অনুসরণ করে। আবার পুরুষরা দাড়ি না রেখে সেভ করে নারীর ছুরত ধারন করছে। নারী বিধর্মীদের অনুসরণে প্রায় নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পায়ের জুতা পর্যন্ত বিধর্মীদের অনুসরণে পরিধান করছে। বর্তমানে দেখা যায় বেশির ভাগ মুসলমানই কালো রংয়ের জুতা-স্যাণ্ডেল পরিধান করছে।
অথচ মুসলমানদের উচিত ছিল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেভাবে চুল রেখেছেন সেভাবে চুল রাখা, পুরুষের দাড়ি রাখা, নারীদের পর্দা করা। আর মুসলমাদেরকে দিয়ে কালো রংয়ের জুতা-স্যাণ্ডেল পরিধান করানো কাফিরদের একটি ষড়যন্ত্র। তারা জানে যে কা’বা শরীফ-এর গিলাফের রং কালো তাই মুসলমানদেরকে কালো রংয়ের জুতা-স্যাণ্ডেল পরিধান করিয়ে কা’বা শরীফ-এর অসম্মান করাচ্ছে, যেমনিভাবে কা’বা শরীফ, মদীনা শরীফ, রওযা শরীফ ও বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এর ছবি সম্বলিত জায়নামাজ মুসলমাদের দিয়ে পদদলিত করিয়ে কা’বা শরীফ, মদীনা শরীফ, রওযা শরীফ ও বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ-এর প্রতি মুসলমানদের মন থেকে সম্মান বোধ উঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত রয়েছে।
আর এভাবে মুসলমানদের দিয়ে ইসলামের অবমাননা করাতে করাতে মুসলমানরা এখন অনুভুতিহীন হয়ে পড়েছে। ফলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানের খিলাফ নানা চলচিত্র, ব্যঙ্গচিত্র ইত্যাদি নির্মানে কাফিররা আজ সাহস পাচ্ছে। আর নিজস্ব স্বকীয়তা হারা, কাপুরুষ মুসলমান আজ প্রতিবাদ করতেও জানে না। আর প্রতিটি মুসলিম সরকার হচ্ছে কাফিরদের কেনা খাছ গোলাম, ফলে তারাও টু শব্দ করছে না। নামকা ওয়াস্তে একটি বিবৃতি দিয়ে খালাস।
সারাবিশ্বের প্রতিটি সরকারের উচিত সাম্প্রতিক কালে নির্মিত চলচিত্রটি বাজেয়াপ্ত করার ও এর কুলাঙ্গার পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা, অভিনেত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করা।
আর যে বিষয়টি আজ স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে তা হলো সারাবিশ্ব এখন নেতৃত্বশূণ্য, কেননা যারা তথাকথিত সুপার পাওয়ার ছিল তারা আজ সুপার ফকির-এ পরিণত হয়েছে, তারা নিজেদের মৌলিক চাহিদাটুকু পুরণেই অক্ষম। সেখানে বিশ্ব পরিচালনা করবে কিভাবে- এ বিষয়টি মুসলমান নেতৃবৃন্দের বোঝা উচিত। এমনিতেই কাফিররা হচ্ছে মুর্দা তার উপর এখন তাদের চরম আর্থিক অসংঙ্গতি। এমতবস্থায় প্রতিটি মুসলিম সরকারের উচিত নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে একটি যৌথ মুসলিম প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিভিন্ন কাফির রাষ্ট্রে আক্রমণ রচনা করা, তাদের মাটির সাথে মিটিয়ে দেয়া, ধুলিসাৎ করে দেয়া। আর এ জন্যে যিনি বর্তমান হিজরী শতকের যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক নির্দেশনা মেনে চলা সকল সরকার প্রধানসহ সমস্ত মুসলিম সরকারের সদস্যদের উপর ফরযে আইন।