Topic: পৃথিবীর সবচেয়ে কদাকার চেহারার মহিলা, Salute her!

লিজ্জি ভেলাস্কুয়েজ (Lizzie Velasquez)
পৃথিবীর সবচেয়ে কদাকার চেহারার মহিলা।তিনি হাই স্কুলে থাকা কালীন সময়ে তার ৮ সেকেন্ডের ভিডিও যখন ইউটিউবে আপলোড করা হয়। তারপর থেকে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে কদাকার মহিলার খেতাবটি পেয়ে যান।

https://fbcdn-sphotos-c-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/548579_473730495993175_1796026514_n.jpg

ইউটিউবে তার সেই ভিডিওটি দেখে অনেকে তাকে দানবী বলে, অনেকে তাকে মরে যাবার জন্য উৎসাহ দেন। তার দেহে কোন এডিপোজ টিস্যু না নেই,এমনকি কোন নতুন মাংসপেশিও সৃষ্টি হয় না। তিনি শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে পারেন না, ওজনও বাড়াতে পারেন না। ২৩ বছর বয়সেও তার ওজন মাত্র ৬০ পাউন্ড বা ২৭.২২ কেজি। তিনি শারীরিকভাবে এত হ্যাংলা হওয়া স্বত্বেও তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে তিনি নিজেকে প্রেরনাদায়ী বক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন, বই লিখবেন, কলেজে থেকে পাশ করবেন, পরিবার গঠন করবেন সর্বোপরি একটি ক্যারিয়ার । তিনি সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়েও গেছেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই “Lizzie Beautiful”। এই মাসের প্রথম দিকে প্রকাশিত তার দ্বিতীয় বই “Be Beautiful, Be You”।
সি.এন.এন. এ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি এখন যা করছি তাই এখন মানুষের দেখার বিষয়। তারা যখন আমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকত তখন আমি বসে থাকি নি আমি ভেবেছি কিভাবে তাদের শিক্ষা দেয়া যায় যাতে তারা আমার দিকে হা করে তাকিয়ে না থেকে আমার কাছ থেকে কিছু শিখে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি হয়ত দেখতে কোন মডেলের মত না এইজন্য আমি সন্তুষ্ট যে আমার দৈহিক সৌন্দর্য দিয়ে হয়ত কেউ আমাকে বিচার করবে না। তারা আমাকে বিচার করতে আমার ব্যক্তিত্বের দিকে নজর দিবে।

লিজ্জি ভেলাস্কুয়েজ যখন জন্মগ্রহণ করেন তার ওজন ছিল মাত্র ২ পাউন্ড, ১০ আউন্স। তার মা রিতা বলেন বলেন ও এতই ছোট ছিল যে আমি ভাবি নি সে বেশী দিন বাচতে পারবে। আমরা তার পড়ার জন্য পুতুলের জামাকাপড় গুলো কিনে আনতাম কারন অন্য বাচ্চাদের জামাকাপড় তার দেহের তুলনায় বেশ বড় হয়ে যায়। ডাক্তাররা রিতা লুপি(লিজ্জি ভেলাস্কুয়েজের বাবা) বলেন, তাদের সন্তান হয়ত কখনও হাঁটতে পারবে না তার দ্বারা স্বাভাবিক জীবন যাপন ও সম্ভবপর হবে না।

তার হাড়, ব্রেন এবং অন্যান্য অন্তর্বর্তী অঙ্গগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই গঠিত হয়, যদিও তার দেহ অনেক শীর্ণ। তার কোন ফ্যাট টিস্যু না থাকায় তিনি কোন পুষ্টিদায়ক উপাদান সঞ্চয় করে রাখতে পারেন না। এই জন্য তাকে প্রতি ১৫-২০ মিনিট পর পর খেতে হয়। তার বয়স যখন চার বছর তখন তার বাদামি বর্ণের চোখটি ঘোলাটে হয়ে যায় তিনি এখন সেই চোখটি দিয়ে কিছু দেখতে পারেন না। তার বর্তমানে দেখার জন্য রয়েছে কেবল মাত্র একটি চোখ।
যারা তার নামে পিছনে কথা বলত তাদের কথার বিপরীতে কথা না বলে নিজের মাঝে যে ক্ষোভ, বেদনা সঞ্চয় করেছিলেন তা তিনি পরিণত করেছেন কাজে। এমনকি তার সেই ভিডিওটিও ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তিনি তার সেই ভিডিওটির নিচে লেখা প্রতিটি মন্তব্য ভালভাবে পড়েছেন , যা তাকে খুব আহত করেছিল। নিজের দৃঢ চেষ্টায় তিনি জিতে গেলেন সেই যুদ্ধে, যেই যুদ্ধটা হয়েছিল “পৃথিবীর সবচেয়ে কদাকার মহিলা” এবং তার নিজের মাঝে।

Shout Me Crunch আমার ব্যক্তিগত টেক ওয়েবসাইট।