(edited by Julhaz 2012-08-16 04:15:15)

Topic: সউদী আরবে যথাযথভাবে শাওওয়াল মাস শুরু করতে হলে রমাদ্বান মাস হবে ৩১ দিনে

সউদী সরকার রমাদ্বান শরীফ মাস চাঁদ না দেখে মনগড়াভাবে শুরু করাতে ত্রিশতম দিনেও সউদী আরবে পবিত্র শাওওয়াল মাসের চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। অথচ এটা শরীয়ত এবং মহাকাশ বিজ্ঞানের আলোকে অসম্ভব একটি বিষয়। সউদী আরব ২২ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ২০শে জুলাই ২০১২ ঈসায়ী, ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা শুক্রবার থেকে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ শুরু করাতে পবিত্র শাওওয়াল মাসের চাঁদ তালাশ করবে ১৯ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৭ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা শুক্রবার। সউদী আরবের পবিত্র মক্কা শরীফ-এর সময় অনুযায়ী অমাবস্যা সংঘটিত হবে ১৯ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৭ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, ইয়াওমুল জুমুয়াতি বা শুক্রবার ৬টা ৫৪ মিনিটে। অথচ সেদিন মক্কা শরীফ-এ সূর্যাস্ত ৬টা ৫২ মিনিটে এবং চন্দ্রাস্ত ৬টা ৩২ মিনিটে। অর্থাৎ সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই চাঁদ অস্ত যাবে আবার সূর্যাস্তের পরে অমাবস্যা শুরু হবে। সুতরাং ২০ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৮ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, ইয়াওমুস সাবতি বা শনিবার থেকে সউদী আরবে পবিত্র শাওওয়াল মাস শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

আবার যদি সউদী আরব পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস ৩০ দিনে পূর্ণ করে, তবে ২০ ছালিছ ১৩৮০ শামসী, ১৮ই আগস্ট ২০১২ ঈসায়ী, ইয়াওমুস সাবতি বা শনিবার সূর্য অস্ত যাবে ৬টা ৫১ মিনিটে আর চাঁদ অস্ত যাবে ৭টা ১৩ মিনিটে। অর্থাৎ মাত্র ২২ মিনিট চাঁদ আকাশে অবস্থান করবে। সূর্যাস্তের সময় চাঁদের উচ্চতা হবে মাত্র ৪ ডিগ্রি ২৯ মিনিট। সুতরাং ত্রিশতম দিনেও চাঁদ দৃশ্যমান হবে না। এ বিষয়টি প্রমাণ করে যে, সউদী আরবে পবিত্র শাওওয়াল মাস সঠিক তারিখে শুরু হতে যাচ্ছে না। অর্থাৎ তাদের রমাদ্বান শরীফ মাস ঘোষনা ছিল সম্পূর্ণ ভুল ও শরীয়ত বিরোধী। তাই সেদেশে অবস্থানরত সকল মানুষ ফরয রোযা তরক হওয়ার পাশাপাশি লাইলাতুল ক্বদরের নিয়ামত এবং পহেলা শাওয়ালের দোয়া কবুলের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হবে।

অথচ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই পাঁচ রাতে দুয়া কবুল হয়ে থাকে, ১. রজব মাসের পহেলা রাত, ২. শবে বরাত, ৩. শবে ক্বদর, ৪. ৫. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহার রাত। (মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ, গুনইয়াতুত ত্বালিবীন, মুকাশাফাতুল কুলুব)

উল্লেখ্য, ইসলামী শরীয়তে আরবী মাস শুরুর ক্ষেত্রে প্রতি মাসে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া এবং চাঁদ দেখে অথবা দেখা না গেলে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ করে সঠিক তারিখে মাস শুরু করা ফরয। বিপরীতে অমাবস্যা অনুযায়ী মাস শুরু করা ইহুদীদের রীতি। তাহলে আজকের সউদী আরবের নামধারী মুসলিম ওহাবী শাসকগোষ্ঠী আসলে কোন ধর্মের অনুসরণ করছে তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। (মূলত আজকের সউদী ওহাবী শাসকগোষ্ঠী হচ্ছে ইহুদী)

আবার হাদীছ শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কোনো অন্যায় কাজ দেখলে হাতে বাধা দাও; সম্ভব না হলে মুখে বাধা দাও; তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে অন্তরে ঘৃণা করে দূরে সরে থাকো। তবে এটা হচ্ছে দূর্বল ঈমানের পরিচয়।’

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘এরপর ঈমানের কোন স্তর নেই।’ অর্থাৎ যারা এই তিন স্তরের বাহিরে থাকবে তারা মুসলমান হিসেবে গণ্য হবেনা।

আশ্চর্য্যরে বিষয়! সউদী ওহাবী সরকারের এহেন শরীয়ত বিরোধী আমলের বিষয়ে মুসলমানগণের মধ্যে কোন প্রকার চিন্তা ফিকির নেই।

আর তাই শবে ক্বদরের রাতে মহান আল্লাহ পাক উনার শাহী দরবারে ফরিয়াদ- আয় বারে ইলাহী! আপনি সউদী ওহাবী সরকারকে হিদায়েত দান করুন। আর যদি তাদের নছীবে হিদায়েত না থাকে, তাহলে তাদের রাজ পরিবারকে রাজতন্ত্রসহ আবরাহার মতো ধূলিস্বাত করে দিয়ে হযরত খুলাফায়ে রশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের দ্বারা পরিচালিত “খিলাফত আলা মিনহাজুন নুবুওওয়াত” সারা যমীনে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করে দিন।



Re: সউদী আরবে যথাযথভাবে শাওওয়াল মাস শুরু করতে হলে রমাদ্বান মাস হবে ৩১ দিনে

সউদী ওহাবী সরকার ১৪২৮ হিজরী সনের যিলহজ্জ মাস ঘোষণা করে ১০ই ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে আবার ১৪২৯ হিজরী সনের মুহররম মাস ঘোষণা করে ১০ই জানুয়ারী ২০০৯ তারিখে। অর্থাৎ তাদের আরবী মাস ৩১ দিন গণনা করার ইতিহাসও রয়েছে।