Topic: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মুসলিম বিশ্বে মানবাধিকারের ত্রাণকর্তা সেজেছে
পশ্চিমা দেশগুলো ও জাতিসংঘ সবসময় মানবাধিকার কথা বলে বেড়ায়। মুসলিম দেশগুলোকে কথিত মানবাধিকারের নামে চাপে রাখে। কিন্তু নিজেরা যেভাবে অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে সেটা তারা দেখেনা আর দেখলেও না দেখার ভান করে। এমনকি যে জাতিসংঘ কথিত মানবাধিকার রক্ষার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাস্তবে সে জাতিসংঘ একটা বহুরূপী ইহুদীবাদী সংস্থায় পরিণত হয়েছে। পশ্চিমা ইহুদী-খ্রিস্টান দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা আর ইসলাম বিরোধী আইন-কানুন তৈরী ও মুসলিম দমনই যেন এর প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকারের নামে বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী আইন কানুন তৈরী করে মুসলিম দেশগুলোর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। মানতে বাধ্য করছে।
ইহুদীবাদী এ সংস্থাটি মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে এবং সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে গণভোটের মাধ্যমে দুটি স্বাধীন খ্রিস্টান দেশ তৈরী করে দিয়েছে। এর আগে মুসলিম দেশ ইথিওপিয়া থেকে ইরিত্রিয়াকে আলাদা করে আরেকটি স্বাধীন খ্রিস্টান দেশ তৈরী করে। এ ইহুদীবাদী সংস্থাটির তত্বাবধানে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের খ্রিস্টান বানিয়ে বাংলাদেশে আলাদা খ্রিস্টান রাজ্য গড়ার পথ অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। অথচ আরবে ফিলিস্তিন, ভারতে কাশ্মীর, চীনে উইঘুর, রাশিয়ায় চেচনিয়া, মিয়ানমারে আরাকান, ফিলিপাইনে মিন্দানাও, থাইল্যান্ডে ইয়ালা, পাত্তানি ও নারাথিওয়া ইত্যদি প্রদেশের স্বাধীনতা দিতে গণভোট আয়োজনে ইহুদীবাদী জাতিসংঘের অনীহা প্রচ-। অথচ এসব প্রদেশে দশকের পর দশক ধরে মুসলমানদের রক্ত ঝরছে।
তাছাড়া সারা বিশ্বে মুসলমানদের উপর বৈষম্য বাড়ছে ক্রমাগত হারে। বিভিন্ন যালিম দেশ মুসলমানদের উপর অব্যাহতভাবে নির্যাতন করে যাচ্ছে, একের পর এক মুসলিম দেশ দখল করে নিচ্ছে। মুসলমাদের ধর্মীয় অধিকার দলিত-মথিত করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাচ্ছে।
সুইজারল্যান্ড আইন করে সেদেশে মিনার নির্মাণ নিষিদ্ধ করেছে।
বোরকা তথা পর্দা নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডসে।
ডেনমার্কে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কার্টুন প্রকাশ করেছে।
নেদারল্যান্ডে কুরআন শরীফ পুড়িয়েছে আবার ছিঁড়ে ফেলার দৃশ্য প্রকাশও করেছে। কুরআন শরীফ-এর নামে ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে সিনেমাও করেছে নেদারল্যান্ডে।
জার্মানিতে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি অপবাদ লেপন করে ‘জুয়েল অব মদিনা’ নামক অপন্যাস বের করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
অথচ এসব বিষয়ে তথা মুসলমানদের রাষ্ট্রীয় অধিকার, ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্ন করার বিষয়ে তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কোন প্রতিবাদ নেই, কোন শব্দ নেই, কোন উদ্যোগ নেই। কিন্তু কেন?