Topic: মাদের প্রতি উপদেশ: মায়েরা যেন নবজাতককে উনাদের বাম পার্শ্বে ঘুম পাড়ান
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে যে ১২ জন ইমাম আলাইহিমুস সালাম যমীনে আগমনে সুসংবাদ রয়েছে, উনাদের মধ্য হতে ১১ ইমাম যমীনে তাশরীফ নিয়েছে। শুধু ১২তম ইমাম হিসেবে ক্বিয়ামতের পূর্বে হযরত মাহদী আলাইহিস সালাম উনার যমীনে আগমণ বাকি আছে। উক্ত ১২ জন ইমাম আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে ৬ষ্ঠ ইমাম হচ্ছেন ইমাম হযরত জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম।
ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনি ‘মা’দের প্রতি উপদেশ মুবারক প্রদান করেন মায়েরা যেন নবজাতককে উনাদের বাম পার্শ্বে ঘুম পাড়ান।
উনার ইলমে লাদুন্নীর মাধ্যমে প্রাপ্ত এই উপদেশ মুবারক-এর অন্তর্নিহিত কারণ যথাযথভাবে কেউ সে সময় উপলব্ধি করতে পারেনি। এমনকি ইউরোপের তথাকথিত রেনেসার সময়কালীন সময়েও উনার এই উপদেশ মুবারক-এর মর্মার্থ উপলব্ধির অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু উনার এই বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব মুবারক-এর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করতে তারা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে আবার নিউইয়র্কের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবজাতকের উপর গবেষণা পরিচালিত হয়। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায় যে, ‘মা’রা তাদের শিশু সন্তানকে বাম হাতে কোলে নেয়। তারা দেখতে পায় যে, যে সমস্ত শিশু সন্তান তার মায়ের বাম পার্শ্বে ঘুমায় সে সব শিশু সন্তানরা শান্তিপূর্ণভাবে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে। কিন্তু যে সব শিশু সন্তানরা তাদের মায়ের ডান পার্শ্বে ঘুমায় সে সব শিশু সন্তানরা যখন তখন ঘুম থেকে জেগে যায় এবং কান্নাকাটি করে। তাদের গবেষণায় বের হয়ে আসে যে, জন্মগ্রহনের পর যে সমস্ত শিশু সন্তান বাম পার্শ্বে ঘুমায় না তাদের কোন বিশ্রামই থাকে না।
হোলোগ্রাফী আবিষ্কারের পর জানা যায় যে, মাতৃগর্ভস্থ শিশুরা তাদের মায়ের হৃদস্পন্দন শুনতে পায়। এই বিষয়ে গর্ভস্থ ভ্রুণের প্রতিক্রিয়া বুঝার জন্য বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীর উপর গবেষণা করে দেখতে পায় যে, মায়ের হৃদস্পন্দন শুনতে না পেলে গর্ভস্থ ভ্রুণ বিশ্রামহীন ও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। যেহেতু মায়ের হৃদস্পন্দনের সাথে শিশুর খাদ্য পরিবহনের বিষয়টি জড়িত তাই এমনটি ঘটে থাকে। মূলত: মায়ের হৃদস্পন্দন শিশুর অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। মাতৃগর্ভস্থ শিশুদের কাছে মায়ের হৃদস্পন্দন মানে হলো তার জন্য অবিরত খাদ্যের যোগান আর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো মৃত্যু। মাতৃগর্ভস্থ শিশুরা মায়ের হৃদস্পন্দনের উপর এত বেশী নির্ভরশীল যে তারা জন্মের পরও মায়ের হৃদস্পন্দন শুনতে না পেলে বিশ্রামহীন হয়ে পড়ে। একজন নবজাতক যখন তার মায়ের বাম পার্শ্বে ঘুমায় যেখান থেকে সে তার মায়ের হৃদস্পন্দন স্পষ্টভাবে শুনতে পায় ফলে সে শান্তিপূর্ণভাবে আরামদায়ক ঘুমে আচ্ছন্ন থাকে।
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনি অবলীলায় বলে দিলেন অথচ মুসলমানদের তথ্য-উপাত্ত চোর, জালিয়াত, যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য, মিথ্যা বিজ্ঞানী দাবীদার উনার বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব মুবারক-এর মর্মার্থ উপলব্ধি করতে সময় লেগেছে প্রায় ১১০০ বছর। তাহলে এটি সুস্পষ্ট যে মুসলমানদের তথ্য-উপাত্ত চোর, জালিয়াত, যবন, ম্লেচ্ছ, অস্পৃশ্য, মিথ্যা বিজ্ঞানী দাবীদারদের আসলে বিজ্ঞানের কোন বিষয়েই দখল নেই। বরং এই জালিয়াতগুলো মুসলমানদের তথ্য-উপাত্ত চুরি করে কিছু সরাসরি নিজেদের নামে চালিয়ে দিয়েছে নতুবা মুসলমান বিজ্ঞানীদের আসল নাম বিকৃত করে প্রচার করেছে।
বি:দ্র: আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের ৬ষ্ঠ ইমাম হযরত ইমাম জাফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার আজ (১৪ রজবুল হারাম) বিছাল শরীফ-এর তারিখ।