Topic: টেস্ট আম্পায়ারিংয়ে প্রথম বাংলাদেশি

http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/01/16/2012-01-16-08-58-00-4f13e6987c3d6-enamul-haque-moni.jpg

খবরটি খুশির। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্রমোন্নতির পথে একেও অন্যতম সাফল্য হিসেবে ধরে নিতে পারেন আপনি। এই প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেট আম্পায়ারের গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলতে যাচ্ছেন একজন বাংলাদেশি। তিনি আর কেউ নন, জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার ও বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ার এনামুল হক। আগামী ২৬ জানুয়ারি নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার অনুষ্ঠেয় টেস্ট ম্যাচটিতে ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে এসেছে সাবেক এই বাঁ-হাতি স্পিনারের নাম।
২০০৩ সাল থেকে আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। ধাপে ধাপে আম্পায়ারিং সংশ্লিষ্ট সব ধরনের পেশাদারি প্রশিক্ষণই তিনি নিজের ঝুলিতে পুড়েছেন। মাঠে দাঁড়িয়ে পরিচালনা করেছেন ৩৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। পাশাপাশি তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আম্পায়ারিং তো করছেন অনেক দিন থেকেই। বাকি ছিল কেবল টেস্ট ম্যাচটি। সেই স্বপ্নও পূরণ করে ফেলতে চলেছেন তিনি।
২৬ জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচটিতে এনামুল হকের সহযোগী হিসেবে মাঠে নামবেন অসি আম্পায়ার রড টাকার। টিভি আম্পায়ার হবেন নাইজেল লং। টেস্টটিতে ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকবেন সাবেক অসি ব্যাটসম্যান ডেভিড বুন।
এনামুল হক গোটা নব্বইয়ের দশকে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একসময় দলের বোলিং বিভাগের নেতৃত্বই ছিল এনামুল হকের হাতে। এ দেশের ক্রিকেটে আজ যে বাঁ-হাতি স্পিনারদের রমরমা, সেটির পথ প্রদর্শকও বলা যেতে পারে তাঁকে।
এনামুল যখন ক্রিকেট ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময়টা কাটিয়েছেন, তখন টেস্ট জগতে বাংলাদেশের অভিষেক হয়নি। তবে যে প্রতিযোগিতা জিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে সুযোগ করে নিয়েছিল সেই ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। এনামুল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম স্কোয়াডেরও সদস্য ছিলেন। ক্যারিয়ারের একেবারে শেষদিকে এসে দেশের হয়ে কয়েকটি টেস্ট খেলারও সুযোগ হয়েছে তাঁর।

সূত্র