Topic: ই-ভোটিং মেশিনে দূর থেকেই কারচুপি করা সম্ভব

http://imageshack.us/photo/mকম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ই-ভোটিং মেশিনকে হ্যাক করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, এটি দিয়ে দূরে বসেই ভোট কারচুপি করা সম্ভব এবং এটা করা যাবে সাধারণ কম্পিউটার দিয়েই। বিশেষ কোনো কমিপউটার ছাড়াই কেউ ভোট কারচুপি করতে পারবে। এই ভোটিং মেশিন দিয়েই ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন হতে যাচ্ছে।
এই আক্রমণটি চালানো হয়েছে ডায়াবোল্ড অ্যাকুভোট টি.এস (Diebold AccuVote TS) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ওপর। এই পণ্যটি বাজারজাত করছে ইলেকশন সিস্টেমস অ্যান্ড সফটওয়্যার নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

ডায়াবোল্ড অ্যাকুভোট টিএসএক্স
টাচস্ক্রিন মনিটর (যার মাধ্যমে ভোটটি দেয়া হয়) আর মূল বাক্সটি (যার ভেতর ভোট গণনা হয়) মধ্যে সংযোগকারী তারটিতে একটি ছোট সার্কিট বোর্ড লাগিয়ে দিলেই পুরো মেশিনটিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা সম্ভব। একটি ১০.৫০ ডলারের ছোট ডিভাইস ওই তারের মাথায় লাগিয়ে দিতে পারলেই ওই ভোটিং মেশিনটির ভোট কারচুপি করা সম্ভব এবং বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, ওই ভোটিং মেশিনটিকে টেম্পার করা হয়েছে।
আমেরিকার ইলিনয় রাজ্যের আরগনি ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একটি দল দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে এটা করা যেতে পারে। এমনকি তারা দেখিয়েছেন, মাত্র ১৫ ডলারের একটি ডিভাইস (যা খোলা বাজারেই পাওয়া যায়) দিয়ে কীভাবে আধা মাইল দূরে বসেও কেউ নিকটবর্তী ভোট কেন্দ্রের ভোটিং মেশিনকে টেম্পার করতে পারে। এর জন্য তাকে ভোট কেন্দ্রের মেশিনটির কাছেও যেতে হবে না এবং এ কাজটি করার জন্য কাউকে খুব বেশি এক্সপার্টও হতে হবে না; ক্লাস এইট পাস করা ছাত্রছাত্রীরাও এই হ্যাকিংটি করতে পারবে বলে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বলেছেন।
বাংলাদেশেও আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বসানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। যদিও ওই মেশিনটি কোনো রকম নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না (তাহলে আর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের দরকারটা কী?), কিন্তু এটা এখনও পুরোপুরি নিরাপদ কি-না, সেটা কেউ পরীক্ষা করে বলেনি। শুধু নির্বাচন কমিশন এটাকে নিরাপদ ভাবছে। কিন্তু এটা আসলেই নিরাপদ কি-না, সেটা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এ ধরনের বিষয়গুলোর দিকে নুজর রাখতে পারে।