Topic: বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে মাইক্রো বা ম্যাক্রো রম্য গল্প।
ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত আজাইরা কৌতুক বা রম্য গল্পের আমদানি ঘটছে আর আমরা ম্যাংগো পাবলিক অত্যন্ত মজার সাথে তা গিলছি। কিন্তু আমাদের সবার জীবনেই এমন অনেক ঘটনা আছে যা এই সকল গল্পের চেয়েও হাজারগুণ মজার।তাই আসুন এই টপিকে নিজেদের জীবনের বা আসে-পাশে দেখা বা বন্ধুদের জীবনের সেই কাহিনীগুলোই সবার সাথে শেয়ার করি আর মানুষকে আনন্দ দেওয়ার মহত্ দায়িত্ব পালন করি(ডায়লগবাজি করলাম ।
গল্প-১: খাড়া,আইতাছি।
আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নাম হনুমান হক থুক্কু তন্ময় হক। তো আমাদের বন্ধু তন্ময় একদিন তার গার্লফ্রেণ্ডকে(মিমো) নিয়ে পদ্মার ধারে ঘুরতে গেছে। সেখানে সারি সারি ফুচকা আর চটপটির দোকান(খাইবেন তো টয়লেটে যাইবেন ),যেখানে আবার কিছু না খাইলে বসা সম্পুর্ন বেআইনি ও ঘোরতর অন্যায়। তো মিমোর সাথে ঐদিন আবার তন্ময়ের দুর্দান্ত ঝগড়া চলছিলো(রোজই গড়ে ২০-২২ বার এরকম চলে ),তো মাথা ঠান্ডা করতে(খাওয়ার উদ্দেশ্যে নয় ) ভুলে তারা ঐ ফুচকাওয়ালার পাতানো চেয়ারে বসে পড়েছে।এই সময় নতুন কাস্টমার ভেবে ফুচকাওয়ালা ওদের খাবারের অর্ডার দেওয়ার অর্ডার করে। :lol:
তন্ময়: ঐ মিয়া যান ভাগেন তো,মাথা পুরা হট হয়ে আছে আর আপনি কিনা খাওয়ার কথা বলেন।
ফুচকাওয়ালা: ভাই না খাইলে উঠেন।
তন্ময়: উঠবো মানে,আমার ইচ্ছা হইছে আমি বসছি তোর কিরে?
ফুচকাওয়ালা: চেয়ার কিন্তু আপনার না।
একে তো মিমোর প্যাদানি তারউপর ফুচকাওয়ালার এই ব্যবহারে সে আর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলো না,তার রক্ত হার্ট থেকে সোজা মাথায় উঠে গেলো।
টাস করে হটাত্ এক থাপ্পড় দিয়ে ফুচকাওয়ালারে সবক শিখিয়ে দিলো।
এইবার শুরু হলো কাহিনী।
ফুচকাওয়ালা:ভাই,কাজটা ভালো করলেন না,এখনিই আমি আমার বন্ধুদের ডাকছি,আপনারে ছিল্লা কাইট্যা চটপটি লগায়ে দিমু।
তন্ময়: মিমো তুমি বাসায় যাও,আমি এখন আমার বডি ফিল্ডার বন্ধুদের ডেকে এদের এমন ধুলা তুলবো যে তুমি স্ট্রোক করতে পারো।
মিমো চলে গেলে তন্ময় তার আরও ৩ বন্ধুকে ডাকে।
এদিকে ফুচকাওয়ালা ডাকে তার ৭ বন্ধুকে।
সুতরাং অনুপাত হলো- তন্ময়: ফুচকাওয়ালা= ৪:৮
অবস্থা বেগতিক দেখে তন্ময় ফোন দেয় এলাকার শীর্ষ ক্যাডার,কলেজের ত্রাস,মেয়েদের যম ন্যাংটা সোহেলকে। :cool:
তন্ময়: দোস্ত,চিপায় পড়ছি,সাথে কিছু পোলাপান নিয়ে পদ্মার পাড়ে আয়।
সোহেল: কোন চিন্তা করিস না,খাড়া, আইতাছি। তোরা মারামারি শুরু করে দে,আমি মোটরসাইকেল স্টার্ট দিচ্ছি।
এইদিকে সোহেলের সাহস পেয়ে তন্ময় তার আরও তিন বন্ধুদের নিয়ে ৬ ফুট লম্বা ৮জন পালোয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো।ফলাফল বুঝতেই পারছেন।
এইদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে তন্ময় আবার সোহেলকে ফোন দেয়।
তন্ময়: দোস্ত তুই কই,মাইর খাইয়া পোলাপানের তো ওজন বাইড়া গেলো।
সোহেল: তুই খাড়া,আইতাছি। মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়া ফেলছি।তোরা বীরদর্পে মারামারি চালা,হাল ছাড়িস না।
ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ মিনিট অতিবাহিত হলো। এবার সোহেল তন্ময়কে ফোন দিলো-
সোহেল: দোস্ত,তোরা কই?
তন্ময়: হাসপাতালে।
সোহেল: খাড়া,আইতাছি।