Topic: Internship ০২ বছর!!!
ইন্টার্নি ডাক্তারদের গ্রামে থাকতে হবে এক বছর
জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ।
সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যনীতির অনুমোদিত খসড়ায় চিকিৎসকদের শিক্ষানবিশকালের (ইন্টার্নিশিপ) মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা হয়েছে। এর মধ্যে এক বছর বাধ্যতামূলক গ্রামে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ অনুযায়ী এই শর্তটি খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শর্তটি পূরণ করতে কেউ ব্যর্থ হলে চিকিৎসকের সনদপত্র পাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব সাংবাদিকদের বলেন, 'আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ধারাবাহিকতায় একটি যুগোপযোগী স্বাস্থ্যনীতির খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। সবার জন্য সুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসা উপকরণ জনগণের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেওয়াই এ নীতির লক্ষ্য। স্বাস্থ্যসেবা দিতে এনজিওগুলোকে উৎসাহিত করার কথাও স্বাস্থ্যনীতিতে রয়েছে।'
আবুল কালাম আজাদ জানান, স্বাস্থ্যনীতির খসড়া করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট ও কর্মশালার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়া হয়। এ নীতিতে মাতৃমৃত্যুর হার কমানো, জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সমন্বিত স্বাস্থ্য পরিকল্পনা, বেসরকারি সংস্থাগুলোকে (এনজিও) স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখতে উৎসাহিত করা, হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির এ খসড়া গত ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন করে এ নীতি প্রণয়নের জন্য গঠিত জাতীয় কমিটি। স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে গত বছরের ১১ জুলাই ৪৩ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক ছাড়াও আছেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য এম কে আনোয়ার, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য বেগম রওশন এরশাদ, সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আমানুল্লাহ, মো. মুরাদ হাসান, জাতীয় অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান, জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব) এম এ মালিক প্রমুখ। পরে কমিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়াকে কো-অপ্ট করা হয়।
*Source : Daily Kalerkantho,31 May,2011