Topic: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ।
ঢাকা, মে ১২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ২০১১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার ২ শতাংশ বেড়েছে। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও দাখিলে কমেছে।
বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
উত্তীর্ণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাবী। সুষ্ঠু পরিবেশ পেলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটে।"
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার উত্তীর্ণের হার ৮২ দশমিক ৩১ শতাংশ। যা গতবারের চেয়ে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি।
গত বছর দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার ছিলো ৭৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এবার সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসিতে উত্তীর্ণের হার ৮২ দশমিক ১৬ শতাংশ। গতবার এ হার ছিলো ৭৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার ৮৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। কারিগরী বোর্ডে উত্তীর্ণের হার ৮১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬ হাজার ৭৪৯ জন শিক্ষার্থী। যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২ হাজার ৭৮৮ জন, দাখিলে পেয়েছে ১২ হাজার ৭৫৬ জন।
গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৮২ হাজার ৯৬১ জন। এর মধ্যে এসএসসিতে পেয়েছিলো ৬২ হাজার ১৩৪ জন।২ হাজার ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। ২৮টি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
আট শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরী বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষায় ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে উত্তীর্ণের হার ঢাকা বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৬৩, রাজশাহী বোর্ডে ৮০ দশমিক ৩২, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৮৫, যশোর বোর্ডে ৮৪ দশমিক ০৪, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৮ দশমিক ২৭, বরিশাল বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৩০, সিলেট বোর্ডে ৮১ দশমিক ২৩ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৭৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গত ১ ফেব্র"য়ারি সারাদেশে একযোগে শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
২ হাজার ১৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩৭ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩১ হাজার ৭১৮ জন ছাত্রী অংশ নেয়। ছাত্রদের মধ্যে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ জন এবং ছাত্রীদের মধ্যে ৫ লাখ ১০ হাজার ১৫২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি পাঠে আরো মনোযোগী হতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী গণিত ও ইংরেজি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেরও ওপরও গুরুত্ব দেন।
অধিবেশন যখন চলবে না, তখন সংসদ টেলিভিশনে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।
গতবছরের চেয়ে পাশের হার বেড়েছে কিন্তু জিপিএ ৫ এর সংখ্যা কমেছে।
কৃতকার্যদের আমার ও আরএমসি ফোরামের পক্ষ থেকে স্বাগতম।