অন্য
তুমি জঘন্য
তোমার কারণে
চড়া মূল্যের মকমলের বিছানায় হই
বিবস্ত্র চরিত্রহীনা
কামুক পুরুষের পণ্য।

অন্য
তুমি জঘন্য
তোমার কারনে
আমার বুকে যন্ত্রনার অসুখ!
কাল টাকার আচল দিয়ে ঢাকি
মম লজ্জার এ মুখ।

অন্য
তুমি জঘন্য
তোমার কারনে
মেঘ মল্লার কাল মাশকারাতে ঢাকি
শরীরি শত লজ্জা
প্রতিদিন সাজায় নতুন অথিতির
নতুন রাতের সজ্জা।

                         গুলশান থানা
                         ০৮।০৯।০৬ ইং,

google doc দ্বারা লিখুন আর পোষ্ট করুন আপনার সাইডে।

বরতা মানে খবর আর কি

বৃষ্টির বরতা
শেষ বিকেল

বাহিরে বহিছে বৃষ্টি
বাদল বর্ষনে,
বিদ্ধস্থ বলাকা বলয়
বায়ূর বর্ণে।

বৃষ্টির বাজনা বাজে
বিধবার বুকে,
বাশরির বাশি বন্ধ
বৃষ্টির বিপাকে।

বৃষ্টিতে বিজলির বিদ্রুপ
বিধুর বিড়ম্বনা,
বলগাহীন বারিবাহ বুঝি
বিষক্ত বিছানা।

বিদিশা বৃষ্টির বশে
বিহবল বসুধা,
বৃষ্টির বর্ষণে বহমান
বানের বরতা।

১৪/০৪/০৪ইং
বারান্দিপাড়া

ধন্যবাদ ভাই

দেখেছি মোর আঙ্গিনা কোনে
   শেষ বিকেল

দেখেছি মোর আঙ্গিনা কোনে
ঝোপঝাড় আর বাশের বনে,
আধ ভাঙ্গা ঐ চাদের কোনে
তারার মত কারা গো জ্বলে।
ওরা তবে শিশির কনা?
নাকি কোন মুক্তদানা,
চাদের আলোই অমন জ্বলে
থেকে থেকে পলে পরে।
কেন তবে অমন জ্বলে?
ছন্দ পায়ে আলতো চলে,
তবে কি তাদের দেই পাহারা
বাশের বনে ঘুমাই যারা।
একটা দুটো এদিক সেদিক
চোখ দুটো মোর যাচ্ছে যেদিক,
পুকুর পাড়েও যাচ্ছে দেখা
জ্বলছে সেথাই থোকা থোকা।
ওরা কি তবে আলোর দিশা
ভেঙ্গে চলে অমানিশা,
নাকি ওরা স্বপ্ন আনে
আধার ঘেরা চোখের কোনে।
নাকি তারা পরির রাণী
আলোর রেখা যাচ্ছে টানি,
ঝাকে ঝাকে জোড়াই,জোড়াই
পাতার ফাকে গাছের গোড়াই।
                                         ০৮/০১/০৫ইং
                                       বারান্দী,যশোর

হা সুজন ভাইয়া বিদ্যাসাগর হোক বা না হোক ভাল ছাত্র হবে নিশ্চয়।

মনের ভাব প্রকাশই হল কবিতা। আর এটা প্রকাশ করে সুন্দর করে গুছিয়ে লিখলে হয়ে গেল।আর সেটা আপনিও পারেন তার প্রমান করলেন।আশা করি আরো এমন কবিতা আমাদের উপহার দেবেন।

হা ভাইয়া সব গুলো আমার নিজের লেখা কবিতা।ভাল লাগল আপনাদের এমন সহযোগিতাপূর্ণ লেখা পড়ে।

হলুদিয়া ফুল
      শেষ বিকেল

জানালার ধারে,   পথের তরে
      চাহিয়া ছিলাম মম
যে পথও দিয়া,    আসিবে ফিরিয়া
      সে প্রান প্রিয়তম।
ধ্যানেতে তাহার,   ছাড়িয়া আহার
      কাটিছে কতনা রাত
দিবাকর ভাসিছে,   আধার কাটিছে
      আসিছে আবার প্রভাত।
এ কোন আবেশে,   মিষ্টি সুবাসে
      কাদিয়া উঠিল প্রান
নিরব নির্জনে,   এমনি ক্ষনে
      ভাঙ্গিল মম ধ্যান।
পশ্চাৎ চাহিলাম,   দেখিতে পাহিলাম
      কচি মুখের এক কিশোরী
হস্তে তাহার,   পুস্প বাহার
      যেন কোন আলো দিশারী।
নিকট আসিলো,   মলিন হাসিল
      উদাশি খোলা চুল
হস্ত দুখানি,   বাড়াল যখনি
      দেখিলাম হলুদিয়া ফুল।
শরির কাপিল,   অশ্রু ঝরিল
      ভাবনায় গগন সম
বুঝিলাম তবে,   মিছে হল সবে
      বসনে বসিয়াছে প্রিয়তম।

                     
                                              ১৩/০৭/০৪ইং
                                              বারান্দি,যশোর

"কেন কর তব হেলা"
শেষ বিকেল

দেখেছ কি তাদের
অনাহেরে যাদের
কেটে যায় তিনটি বেলা,
দাওনা আহার
কর প্রহার
কেন কর তব হেলা।
মালামাল বোঝা
তুলে দাও সোজা
ভাবিয়া দেখনা কভু,
ক্ষুধা খালি পেটে
যায় তারা খেটে
দেখও দেখনা তবু।
টাকার বেলা
ওরে মোর শালা
আরো কত কি গাল
দু'চার ঘুষি
মেরে হও খুশি
চড়াতে চড়াতে লাল।
এমন বিচার
করে অনাচার
পাওকি তুমি সুখ?
কেড়ে নিয়ে বাতি
বুকে মার লাথি
বাড়াও শুধু দুখ।
অহমিকাই আজ
ভূলে দ্বিধা লাজ
কেন ক্ষেপা হয়ে উঠো?
ভেবছ কি কখন
নিজে হও হিন
করতে তাদের ছোট।


                                        ০৮/১২/০৪ইং
                                        বারান্দি,যশোর

"ঘুরি স্বার্থের পিছে"
শেষ বিকেল

ঘুরি স্বার্থের পিছে
ভালবাসা করি মিছে।
খুজি সুখ কিসে
মুধু নাকি বিষে।
চলি বাকা পথে
সকলের দ্বিধা মতে।
কিসে যায় তাতে
একটু সুখ পেতে।
বলি তিতা কথা
অন্যের বুকে বাথ্যা।
যদি পায় সুখ সেথা
নেই তাতে মাথা ব্যাথা।
মিথ্যাকে করি ঢাল
সুখের বুনিতে জাল।
রক্তে করি লাল
উড়াতে সুখের পাল।
অন্যের সুখ চুরি
অর্থের পিছে ঘুরি।
পাপেতে খাতা ভরি
যদি চলে সুখ তরি।
আপন করি পর
সুখে বাধিতে ঘর।
কি হবে আপন পর
যদি পাই সুখের দ্বার।
শুধু দুখে ভরি বুক
কিছুতে নাই সুখ ।
দুখকে ভেবে সুখ
তবু খুজে চলি সুখ।

ভাইয়া
   আপনার মোবাইল নাম্বারটা যদি একটু দিতেন আপনার সাথে আমার কিছু কথা বলার ছিল।প্লিজ ভাইয়া যদি সমস্যা থাকে তবে আপনার নাম্বার থেকে আমাকে একটি কল কিংবা মিস দিয়েন।

কোন ভাই কি নেই এই সর্ম্পকে একটা টপিক করবে?

"বিদায়"
শেষ বিকাল

বিদায় বেলা, এ অবেলাই
দেব তোমাই বলো্?
হৃদয়ে আজ, মরুভুমি সাজ
ফুরিয়েছে অশ্রু জলো।
পুস্প রাগে, হৃদয় বাগে
ফোটেনি কোন গোলাপ
সেখানেও আজ, কাটারি রাজ
বিদায়েরী করুন বিলাপ।
টগর শেফালী, জুই চ্যামেলী
গেছে দূর পর-বাস
শিমুল-বকুল, ব্যাথায় ব্যাকুল
দুঃক্ষ সেখানে একরাশ।
ভেঙ্গে যায় বুক, কেদে উঠে সুখ
যাতনাই পাহাড় সম
শরির নিথর, হৃদয় পাথর
কাদিতে পারিনা মম।
বিদায় বিদায়, তাকাই যেথাই
ধ্বনিত কলরব
থমকিত পবন, চমকিত গগন
করিতে একি জপ।
তবুও বিদায়, বড় নির্দয়
নিতে হবে তাকে মেনে
আজ এ ভবে, তোমারী তরে
গেছি মোরা সবে জেনে।


                                       ১২/০২/০৪ইং
                                  উপশহর ৭ সেক্টর,যশোর

দিদি  সারাদিনের সমস্ত কর্মচঞ্চল ব্যাস্থতা শেষে ক্লান্তি ভরা লাল ময়দার মত সূর্যটা যখন পশ্চিম গগনে হেলান দেয় তখন শেষ বিকেলের গোধুলি লগনটা কেমন লাগে বলুন তো? নিশ্চয় অনেক মজার!

স..........সরি আমি বুঝতে পারিনি আপনি........
আপু আর ভুল করবোনা।

"প্রিয় স্বাধীনতা"
শেষ বিকেল

তুমি সুদূর আকাশে ঝিকিমিকি তরার
নীল আলোর পুন্জ্ঞ
আবার কোন খড়ের ছাউনী ঝিরিঝিরি হাওয়ায়
সু-শিতল ছায়ার কুন্জ্ঞ।
তুমি পাপড়ি মেলা গোলাবি গাল
গোলাবি গোলাবি বাসর
তুমি রঙ্গিন পাখায়
চপল চঞ্চল প্রজাপতিদের দোসর।
তুমি বাসন্তী দিনে হলুদ বিকেলে
হলুদিয়া হলুদ ফুল
কখনও আবার সাদা মেঘের আকাশে
কাশের বাকা নদীর কূল।
তুমি গোধুলি লগনে বর্ষায় ভেজা
ভ্রমরার ঝিঙ্গে ফুল
কখনও তুমি শিতের ক্ষনে
মৌ মৌ মাখা মকুল।
তুমি জোসনা রাতে হাসনা হেনা
আর রাখালীয়া রাখালী সুর
তুমি ফসলের বুকে সোনা মাখা ধান
সোনা মাখা রৌদ্দুর।
তুমি বটের শাখে ঝুলে থাকা কোন
সরসী কন্যার চুল
তুমি বর্ষার দিনে মাধবীলতা
নব বধুর কানের দুল।
তুমি ফাগুন দিনে চিলের কোঠায়
বিকেলের চিলে ঘুড়ি
তুমি রুন ঝুনঝুন বোনের হাতে
লাল-গোলাবি চূড়ি।
তুমি বিলের জলে কলমিলতা
শাপলা ফুলের হাসি
তুমি লাঙ্গল কাধে জমির চাষে
কদামাখা কোন চাষী।
তুমি বাদলার দিনে ঘরের কোনে
চড়ুই পাখির আশা
তুমি তালের বনে তালের পাতায়
বাবুই পাখির বাসা।
তুমি সবুজের বুকে ফ্যাকাশে সবুজ
উউড়ে চলা সরস পাখি
তুমি শরৎ এর আকাশে আবির রাঙ্গা
মেঘেদের আকি বুকি।
তুমি বাংলার বুকে বাঙ্গালীর মুখে
শিশুদের অবুজ কথায়
তুমি আমার মায়ের দুঃক্ষ সুখে
প্রিয় স্বাধীনতায়।
                                  ১৮/০৭/০৬ইং
                      পুলিশ কন্ট্রোলরুম শাহাবাগ,ঢাকা

"আপনা হারি"
শেষ বিকেল
ছাড়িয়া গিয়াছে সাঝের বেলা
রাত্রি নামিয়ছে বুকে,
বিহনে তাহার অশ্রু ঝরিয়াছে
সুখ নামের অসুখে।
কূল ভাঙ্গিয়াছে অহুল্লা ঝড়ে
ভাঙ্গিয়াছে হৃদয়ের সুর,
নদীর জলে ভাসিয়াছে প্রেম
ভালবাসা হয়েছে দুর্।
নাহি তহার চিহ্ন কোথাও
খুজিয়া ফিরি তারে,
হারিয়ে গিয়াছে গহিন আধারে
চাঁদ ভাবিয়াছি যারে।
রহিয়াছে তবু আবেশ তাহার
ব্যাথাতুর এ অন্তরে,
টুকরো কাচের মুখ খানি তাহার
প্রেম ভরা বন্দরে।
মনে তাহার কিসের বাসনা
বুঝিতে নাহি পারি,
পাই যেন সে সুখের আবাস
তাইতো আপনা হারি।
                               

 
                                 ০৭/০৫/০৪ইং
                                 বারান্দী/যশোর
ছাবিকুন নাহার টুম্পা তোমার জন্য আমার এ কবিতাটা।শুধু তোমার জন্য এ কবিতাটি আমি লিখে ছিলাম।যাহা তুমি এ কবিতার প্রতিটি প্রথম অক্ষর পড়লে বুঝতে পারবে।

শামিম ভাই উপদেশ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য  আর্শিবাদ করবেন।আর আমাকে ভুল গুলো শুধরে দিয়ে আমাকে আরও সাহস দিবেন। এটাই আমার কাম্য।
 
আর গোধুলি ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ আমার কবিতা পড়ার জন্য।

'আমি ছন্দ হারা কবি'
শেষ বিকেল

আমি আকাশ তলে বাতাশ মাখা
ছন্দ হারা কবি,
দুচোখে মোর রঙ্গিন আলোর
স্বপন মাখা ছবি।

আমি শিতের দিনে কুহু কুহ
ডাহুক ডাকা পাখি,
রাত জাগা সেই ষোড়শী মেয়ের
আগুন ঝরা আখি।

আমি অবুজ মেয়ের মায়া ভরা
মায়া মাখা হাসিঁ,
আমি ঝাকড়া চুলে রাখাল আবার
মুহু মুহু বাসিঁ।

আমি বিলের জলে শাপলা ফুলে
হুলুদ মাখা রেনু,
আমি কাজলা দিদির কাজল মাখা
এলোকেশের বেনু।

আমি মিষ্টি হাওয়া দুষ্টু আবেশ
বকুল ফুলের গন্ধ,
আমি টাপুর টুপুর সকাল দুপুর
বাদলা দিনের ছন্দ।

আমি পূবের আকাশ আবির রাঙ্গা
সাত রাঙ্গা এক ঢেউ,
আবার কোন পেজা মেঘে
ধুলি ঝড়ের দেউ।

আমি আভা আভা মরিচিকা
দারুন রৌদের দুপুর,
আমি সন্ধ্যাবেলা দুষ্টু পায়ে
ছলাত ছলাত নুপুর।

আমি টুই টুই টুনটুনিদের
রাঙ্গা ফুলের পলাশ,
আমি ফাগুন দিনে আগুন হয়ে
কৃন্ঞ্চচূড়ার বিলাশ।

আমি পরগাছা এক স্বর্ণলতা
মাছরাঙ্গা সেই পাখি,
আমি ভুত ভুত হুতুম পেঁচা
বউ কথা কও ডাকি।

আমি সাঝের বেলা মুক্ত দানা
সবুজ ঘাসের শিশির,
আমি লাঙ্গল কাধে গরু আবার
ধানের শিষে চাষির।।

মাফুজ ভাই
আপনি নওপাড়া এসেছেন।আর একটু আসলেইতো
আমার কাছে এসে যেতেন।আর এবার কেন বারে বারে  ফোন দেবেন।

আপনাদের স্বাগত ভাষা আমার খুব ভাল লাগলো ।আপনারা পাশে থাকলে হয়ত আরও এগিয়ে যেতে পারব।আর আপনি আমার পাশের থানার মানুষ আশা করি কাছে থাকবেন।

"তবুও ওদের স্বাগতম"
শেষ বিকেল

ওরা বলে তুমি নাকি কষ্টের !
আমি বলি তুমি অনন্ত সুখের
আসলে কি তাই?
তুমিতো কষ্টে জমানো কথা
এ শুকনো বুকের।
কেমনে বুঝিবে ওরা
তুমি কষ্টের আদলে সুখ,
তোমার স্পর্শে সাজায়
আমার এ অশান্ত বুক।
তারপরও সত্য
তোমার বিরহে লিখতে হয় আমাই
তাই তো তোমার মাঝে খুজি
সেই আমার তোমাই ।
কি অবাক হলে ?
সত্যি তো খুজি
ধূসর রঙ্গে সাজানো অঙ্গ,
চেতনা আর কল্পনাই
আমার দু' চোখে যার রঙ্গ।
প্রশ্ন করবে ?
আমি ও জানি না
এ কোন অসিম শক্তি।
আমার হৃদয়ের রঙ্গে সাজানো
প্রেমে কিংবা অপভক্তি।
আসলেই তুমি প্রেম
আমার কলমের মূছনা,
তাইতো কাল কালিতে
আকি আল্পনা।
আকি তোমার পায়ে
পূজার অর্চনা।
কেমনে বুঝিবে ওরা
এ গোপন অভিশার
আর অভিশারের কথা।
তোমার মাঝে কত সুখ-বেদনা
আমার আপন ব্যাথা।
তবুও ওদের স্বাগতম
বিরহের ব্যাথা বোজে যারা
আমার মত তোমাকে খোজে
তোমার মাঝেই তারা।

                                     ২৬/১২/০৫ইং
                                     চাচড়া,যশোর।

ভাই এমন মনে হচছে নাকি ।আমি কিন্তু যোস মজার মানুষ।এর পরের কবিতাই বুঝবেন।