টাঙ্গুয়ার হাওর এর অসাধারণ কিছু আলোকচিত্র দেখুন>> http://www.droho.net/photographs/photog … guar-haor/


টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জ জেলার ধরমপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরা (ঝরণা) এসে মিশেছে এই হাওরে।[১] দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ৯,৭২৭ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি। একসময় গাছ-মাছ-পাখি আর প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যের আধার ছিলো এই হাওর। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে টাঙ্গুয়ার হাওরকে 'প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা' হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তখনই অবসান হয় দীর্ঘ ৬০ বছরের ইজারাদারির। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে ২০ জানুয়ারি এই হাওরকে 'রামসার স্থান' (Ramsar site) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। হাওর এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের মধ্যে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে ১২ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর থেকে হাওরের নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন।

জীববৈচিত্র্য
টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্যের মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। স্থানীয় বাংলাদেশী জাতের পাখি ছাড়াও শীতকালে, সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত পরিযায়ী পাখিরও আবাস এই হাওর। এ হাওরে প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। এছাড়াও ৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৪ প্রজাতির সাপ, বিরল প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটিসহ নানাবিধ প্রাণীর বাস, এই হাওরের জীববৈচিত্র্যকে করেছে ভরপুর।

মৎস্যসম্পদ
টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। এ হাওরের বিখ্যাত মাছের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায় মহাশোলের কথা। মাছটির দুটো প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে Tortor এবং Torputitora, টাঙ্গুয়ার হাওরে দুই প্রজাতিই পাওয়া যেতো।

উদ্ভিদবৈচিত্র্য
টাঙ্গুয়ার হাওরের উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম হলো জলজ উদ্ভিদ। এছাড়া আছে হিজল, করচ, বরুণ, পানিফল, হেলেঞ্চা, বনতুলশী, নলখাগরা, বল্লুয়া, চাল্লিয়া ইত্যাদি জাতের উদ্ভিদও।

সংরক্ষণ
২০০৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরটি জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও আনসার সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকে। সেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। তবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে একশ্রেণীর অসাধু লোক চুরি করে মাছ শিকার করে এবং তারা মাঝে মাঝে ধরাও পড়ে।

কৈপলং পাড়ায় বম এবং খিয়াংদের মিলিত বসবাস ।পাড়াতে মোট ৮৫ জন জনসংখ্যার ১৮ টি পরিবার । শিক্ষা ও ধর্মী প্রার্থনার জন্য ১টা প্রাইমারি ইসকুল এবং ১টা গির্জাই পাহাড়ের বুকে বেশ উচু করেই দাঁড়িয়ে আছে । মাতৃপ্রধান বম এবং খিয়াং উভয় আদিবাসীদের প্রধান জীবিকা হিসাবে মেয়েরা জুম চাষ করে এবং ছেলেরা বাঁশ ও শন সংগ্রহ করে, মাছ ধরে , শিকারে যায় ।
হাটবারে কৈপলং থেকে ৮ কিমি দূ্রে রোয়াংছরি বাজারে আদিবাসীরা যায় এবং উংপাদিত পন্য যেমন কলা, আদা, আনারস ইত্যাদি বিক্রি করে প্রয়োজনিয় পন্য কিনে । শূকর হচে।চ খিয়াংদের গৃহপালিত পশু ।
খিয়াংরা খুব গহনা প্রিয় আর নাচ হছে এদের বিনোদনের একমাএ মাধ্যম । সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় অতিথির আপ্যায়নের ব্যাপার কৈপলং পাড়া বেশ পরিচিত বাঙ্গালিদের কাছে ।

আদিবাসী পল্লী কৈপলংপাড়ার অসাধারন কিছু ছবি দেখুন

"যুগে যুগে বিনাশী যে স্রোত বয়েছে এই মানচিত্রে
আমরা জেগেছি, আমরা জেগে আছি-এখনও দ্রোহে"

এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত "দ্রোহ" চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিন শ্রদ্ধেয় ড. হুমায়ুর আজাদ'কে উৎসর্গ করে১১ আগষ্ট বুধবার ২০১০ খ্রি:, ২৭ শ্রাবণ ১৪১৭ সাল, ২৯শাবান ১৪৩১ হিজরি দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশ করেছে ।

দ্বিতীয় সংখ্যার লিংক>> http://www.droho.net/

::দ্বিতীয় সংখ্যার বিষয় বিন্যাস::

১.ব্ল্যাকবোর্ড
• পাখি হতে হতে মানুষ হয়ে বাঁচি>ফয়সল অভি

২.স্মৃতি সারণী
• ইতিহাসের কালো অধ্যায়>সানাউল্লাহ
• একাত্তরে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ>একরামুল হক শামীম
• কালীপদ সাহা: বিহারিদের পৈশাচিক নির্যাতনের জীবন্ত সাক্ষী>এম. রহমান
• বদলে যাওয়া মানুষ ও একটি গুলমোহর >রামানুজ পুরোহিত

৩.স্মরণ:
• বিনয় মজুমদার-পুরোপুরি বিনয় অবতার কেনো>হেনরী স্বপন
• কথাশিল্পী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়>দীপক ভৌমিক
• জহির রায়হান : জীবন,শিল্প ও মুক্তির যুদ্ধে>ইমতিয়ার শামীম
• শহীদুল জহির-এর কবিসত্তা : অপ্রকাশিত কবিতা-প্রসঙ্গ>অনুপম হাসান
• পতনের জন্য, প্রার্থনার জন্যে>সৈকত দে

৪.গদ্য:
• হাংরি জেনারেশনের কবিতা চর্চা : মানবতাপাঠ ও ব্যক্তির পুনরভ্যুত্থান>মোস্তাফিজ কারিগর
• কবি নয়-শেষাবধি কবিতাই মুখ্য>তুহিন দাস
• রাখাইন কবি ও কবিতা>কালাম আজাদ
• অন্ধকার ও সাম্প্রদায়িকতার পঙ্কে বেড়ে ওঠা জীবন>দুরন্ত স্বপ্নচারী

৫.সমকাল:
• জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশ নিয়ে আমাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা>মনিরুল মনির
• হিজড়া,প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালের এক দুর্ভাগা শিকার!>রণদীপম বসু

৬.রাজ-দরবার:
• লেখকের নিরাপত্তার প্রশ্ন>আবদুল হক
• জিয়া জানতেন, কতখানি জানতেন>অমি রহমান পিয়াল
• আমাদের কম্যুনিস্ট পার্টিগুলো,বিপ্লবের পথে প্রধান অন্তরায়>তৎসম বাঙালি অরণ্য
• ভুমির মালিকানা, স্বাধীন গারো রাজ্য এবং আধিপত্যবাদের কাছে গারোদের আদিম সাম্যবাদী সমাজের পতন>কুঙ্গ থাঙ
• ভারতের মাওবাদী বিদ্রোহ-গণতন্ত্রের গৌরবে গ্লানি>উত্তম কুমার দেব
• ব্রুনো 'র সমকালীন আরো যাদের ইনকুইজিশনের বিচারে হত্যা করা হয়েছিল>নরুজ্জামান মানিক
• ডিরোজিও: প্রথাবিরোধী এক অনন্য দ্রোহী>ইমন জুবায়ের

৭.বই:
• বাংলাদেশে কমিউনিজম ব্যর্থ হবার কারণ, মোকাবিলা বইয়ের সরলপাঠ ও বাংলাদেশের মূর্খ মার্কসবাদীরা>রেজাউল করিম
• আরজ আলী মাতুব্বর এর 'অনুমান'>পারভেজ আলম

৮.গল্প:
• পতঙ্গ, ফুল ও মালীর গল্প>কথক পলাশ
• শূন্যতা আর এক শালিকের গল্প>কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি
• আত্মোপলব্ধি>বাবুনি সুপ্তি

৯.কবিতা:
• পাতা থৈ থৈ কবিতা

১০.চোখের জানালা
• বাংলাদেশ ১৯৭৫,দুঃস্বপ্নের প্রতিচ্ছবি>নিঃসঙ্গ বাজপাখি

১১.অনুবাদ
• সন্ত্রাসের জলবায়ু : ভয়ের বদলে যাওয়া মুখোশ-ওলে সোয়িঙ্কা অনুবাদ: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়
• ভূ-খণ্ড এর কবিতা সিরিজ

সবাইকে পড়ার আমন্ত্রন রইল ।

সাকির আহমেদ রনি wrote:

বিষয়টা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না   chatterbox  chatterbox

অথাৎ আপনার তোলা আলোকচিত্রগুলো পাঠিয়ে দিন দ্রোহে ।

দ্রোহ এর কিছু আলোকচিত্র>>

আলোকচিত্রশিল্পী তারার হাসি>> http://www.droho.net/photographs/photographer-ferduse/


আলোকচিত্রশিল্পী: বাবু শহীদ>> http://www.droho.net/photographs/photographer-
babu-shahid/


আলোকচিত্রশিল্প আসাদ ইকবাল সুমন>> http://www.droho.net/photographs
/photographer-asad-iqbal-sumon/


আলোকচিত্রশিল্পী খন্দকার নাসিফ আক্তার>> http://www.droho.net/photographs/photog … if-akhter/


আলোকচিত্রশিল্পী শৈশব>> http://www.droho.net/photographs/photographer-shoishob/


আলোকচিত্রশিল্পী অভ্র>> http://www.droho.net/photographs/photographer-abhra/

ছবি নিরবে অনেক কথা বলে-অনেক কিছুই বুঝিয়ে দেয় অকপটে ও নিঃসকোচে । ঠিক সেই ছবিগুলোই দ্রোহ এর জন্য পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় সাথে পরিচয় ও বিস্তারিত দিয়ে । আলোকচিত্রও হোক বিপ্লবের আরেক শক্তিশালী হাতিয়ার ।

দ্রোহ এর অনলাইন ঠিকানা>> http://www.droho.net

আলোকচিত্রের অপেক্ষায় রইল ।