Topic: সংবিধানের ২৫(ক), ২৫(খ) ও ২৫(গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,

وَتَعَاوَنُواْ عَلَى الْبرِّ وَالتَّقْوَى وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُواْ اللّهَ إِنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

অর্থ: তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ ও পরহেযগারীতে সাহায্য করো, আর পাপ কাজ ও শত্রুতার মধ্যে সাহায্য করোনা। নিশ্চয় মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। (সূরা মায়িদাঃ ২)
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৯৭% জনগণ মুসলমান আর রাষ্ট্রীয় দ্বীন হচ্ছে ইসলাম।
কাজেই এদেশের জনগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে ইসলাম পরিপূর্ণভাবে পালন করা।
সে শর্তে ইসলামে ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেয়া, পিপাসার্তকে পান করানো, আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দেয়া ইত্যাদি নেক কাজের অন্তর্ভুক্ত। অতএব, রোহিঙ্গা মুসলমান যারা জীবন ভিক্ষাপ্রার্থী ও আশ্রয়প্রার্থী তাদেরকে পুশব্যাক করা কখনো ইসলামী কাজ নয়।
স্মরণীয় যে, বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫ (ক), ২৫ (খ) ও ২৫ (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ীও বাংলাদেশ সরকার সহিংসতা থেকে নিরাপত্তা লাভের উদ্দেশ্যে আগমনকারীদের তথা জীবন ভিক্ষাপ্রার্থীদের আশ্রয় দিতে পারে।

বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫ (ক), (খ), (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-

‘আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তিপ্রয়োগ পরিহার এবং সাধারণ ও সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের চেষ্টা করিবেন।’

‘প্রত্যেক জাতির স্বাধীন অভিপ্রায় অনুযায়ী পথ ও পন্থার মাধ্যমে অবাধে নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনের অধিকার সমর্থন করিবেন।” এবং

‘সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করিবেন।’
উপরোক্ত অনুচ্ছেদের আলোকে বাংলাদেশ সরকার পারে মিয়ানমারের নিরস্ত্র মুসলমানদের সাহায্য করতে, মিয়ানমারের মুসলমানদের ন্যায়সঙ্গত দাবি সমর্থন করতে।
দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উচিত আরাকানে মুসলিম গণগত্যার জন্য মিয়ানমারের উপর শক্ত চাপ প্রয়োগ করা ওআইসি ও জাতিসংঘে জোরদারভাবে বিষয়টি তোলা। এবং বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে বিশেষ জনমত তৈরি করে রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সামগ্রিকভাবে কোশেশ করা।
প্রতিবেশী দেশে মুসলমানদের অকাতরে শহীদ করা হচ্ছে, রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশ সেটা কী করে চোখে দেখে নির্লিপ্ত থাকতে পারে?
বাংলাদেশের উচিত মিয়ানমারের উপর মুসলিম নির্যাতন বন্ধে শক্ত চাপ প্রয়োগ করা এবং ওআইসিসহ জাতিসংঘে বিষয়টি জোরদারভাবে উল্লেখ করা।