Topic: তাজা ফল কেন খাবেন

জুড়ে থাকে শুধু ফল আর ফল। এ সময়কার ফলগুলো হলো তরমুজ, লিচু, আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, বেল, আখ, পানি ফল, নাশপাতি ইত্যাদি। কলা, পেঁপে সারা বছরই পাওয়া যায়। গরমে প্রচুর ফল খান এবং দেহে সঞ্চয় করুন ভিটামিন ও খাদ্যশক্তি।


http://my.jetscreenshot.com/2862/m_20110322-kjai-18kb.jpg

তরমুজ
প্রথমেই আসি তরমুজের কথা নিয়ে। গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বাজারে এবং রাস্তার পাশে অনেক জায়গায় স্তূপ আকারে সাজানো থাকে তরমুজ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তরমুজকে বলে ফলের রাজা। তরমুজে রয়েছে ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর অসীম ক্ষমতা। তরমুজ ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ ফল। এতে রয়েছে ৯৭ ভাগ জলীয় অংশ, সেজন্য গরমে তরমুজ খাওয়া ভালো। কারণ ক্রমাগত ঘাম হওয়ার জন্য যে জলীয় অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে যায় তা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়া তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমে সাহায্য করে ও কিডনির কাজকর্ম ঠিক রাখে।

কাঁঠাল
কাঁঠাল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। বাজারে কাঁচা ও পাকা কাঁঠাল পাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে উত্তম সবজি। পাকা কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। গ্রীষ্মকালীন সময়ে গ্রামবাংলার মানুষ ভাতের পরিপূরক হিসেবে পাকা কাঁঠাল খেয়ে থাকে, কাঁঠালের বিচিও খুব পুষ্টিকর। ফাইবার বা আঁশ কাঁঠালে বেশি থাকার জন্য কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

লিচু
গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে লিচু আগে বাজারে ওঠে এবং জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। খাদ্যমানের দিক থেকে লিচু একটি উত্কৃষ্ট ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। রূপে-গুণে লিচু সবার প্রিয় ফল।

আম
গ্রীষ্মকালের ফল বলতে সবার আগে মনে পড়ে আম। পাকা আম হলো ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ফল। ১০০ গ্রাম আমে ১০০০-১৫০০ আইইউ ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যার অভাবে অন্ধত্বসহ চোখের নানা রোগ, চুলপড়া, খসখসে চামড়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি দেখা যায়। এছাড়াও আমে ভিটামিন বি ও সি, খনিজ লবণ, ক্যালসিয়াম ও প্রচুর খাদ্যশক্তি পাওয়া যায়।

জাম
জাম শুধু পাওয়া যায় গরম কালেই। নানা রকম খনিজ পদার্থের মধ্যে জামে আয়রন থাকে সবচেয়ে বেশি। সেজন্য বলা হয় জাম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। এছাড়া সর্দি-কাশি, হজমের গণ্ডগোল ও বাতের অসুখে জাম উপকারী। এ সময়কার আরেকটি সুস্বাদু ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল আনারস। সর্দি-কাশিতে আনারস খেলে শ্লেষ্মা ও মিউকাসকে তরল করে।

পেঁপে
পাকা পেঁপে আরেকটি ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ফল। ১০০ গ্রাম ফলে ভিটামিন ‘এ’ থাকে ১১১০ ইউনিট। এছাড়া থাকে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন বি ও সি. খনিজ লবণ এবং খাদ্যশক্তি। কাঁচা পেঁপেও অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। পেঁপের সাদা আঠায় প্যাপেইন নামক এনজাইম থাকে, যা প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে। পেঁপে সহজপাচ্য। গরমে পেঁপে অথবা সেদ্ধ করা কাঁচা পেঁপে অবশ্যই রাখবেন।

বেল
বেল একটি পুষ্টিকর ফল। এতে থাকে প্রচুর শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ লবণ। গ্রীষ্মের কাঠফাটা দুপুরে এক গ্লাস বেলের শরবত খেলে কার না প্রাণ জুড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেলের জুড়ি নেই।

পানিফল
গরমকালে পানি ফল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। এতে শতকরা ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় যা আপেল, আঙ্গুর, কলা ও পেয়ারা থেকে বেশি। এছাড়া রয়েছে শ্বেতসার, খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি। খাদ্যশক্তি পাওয়া যায় ১১৫ কিলোক্যালরি।

কলা
ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খেতে পারে, অত্যন্ত পুষ্টিকর, দামে তুলনামূলকভাবে সস্তা, হাতের কাছেই পাওয়া যায়, সারা বছরই ফলে—এমন একটি ফল কলা। ১০০ গ্রাম কলায় থাকে ১৫৩ কিলোক্যালরি শক্তি, শর্করা ৩৫ ভাগ, খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন বি ও সি পেকটিন। প্রতিদিনের তালিকায় একটি করে কলা আমাদের অবশ্যই থাকা উচিত।

লেখক: আতাউর রহমান কাবুল
সুত্র: এখানে

Shout Me Crunch আমার ব্যক্তিগত টেক ওয়েবসাইট।


Re: তাজা ফল কেন খাবেন

পেঁপে,বেল ও কলা এখন পাওয়া যাচ্ছে , আমি এগুল খাচ্ছি। কিন্তু দিন দিন তো নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি।

মেডিকেল বই এর সমস্ত সংগ্রহ - এখানে দেখুন
Medical Guideline Books


Re: তাজা ফল কেন খাবেন

আমি পরশু দিন আমাদের হলের সামনে থেকে কলা কিনছিলাম তখন দুইটা সিনিয়র ভাইয়া রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল,হটাৎ শুনি একটা ভাইয়া বলেছেন "এ মনে হয় আগের জন্ম্ বানর ছিল" sad
তারপর ও আমি কলা খাওয়া বন্ধ করি নাই big grin  big grin
ধন্যবাদ ভাইয়া পোষ্ট এর জন্য



Re: তাজা ফল কেন খাবেন

dr.shamim wrote:

কিন্তু দিন দিন তো নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছি।

শামীম ভাই,অতিসত্বর আপনার কবি বি.জামান স্যারকে দেখানো উচিত।   winking  winking

tazkianur wrote:

একটা ভাইয়া বলেছেন "এ মনে হয় আগের জন্ম্ বানর ছিল" sad
তারপর ও আমি কলা খাওয়া বন্ধ করি নাই big grin  big grin

সাবাশ,তারমানে "তারপরেও তুমি বানর হওয়া বন্ধ করোনি।"  winking
পানি ফল ছাড়া আমি সবই খাই,খাওয়া-দাওয়াই আমার আবার কোন অরুচি নেই।  big grin

মোঃ সাঈদুজ্জামান উপল
http://img684.imageshack.us/img684/3410/fb1d.jpg