Topic: শ্বাসরুদ্ধকর জয়

http://my.jetscreenshot.com/2862/m_20110226-9pqm-12kb.jpg

যেন প্রাণ ফিরে পেল টাইগার। স্নায়ুছেঁড়া জয় আনন্দে ভাসালো কোটি ক্রিকেটপ্রেমীকে। দেশজুড়ে রাতের নীরবতা ভেঙে রাস্তায় নেমে পড়েন হাজারও ক্রিকেটপ্রেমী। ঢাকার অলিতে-গলিতে বের হয় বিজয় মিছিল। সবার মুখে একই স্লোগান শাবাশ বাংলাদেশ, যাও এগিয়ে। সহজ জয়কে কঠিন করে অর্জনে আনন্দের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয় আরও। একপর্যায়ে যখন জয়ের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে যাচ্ছিল, তখনই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সন্ধ্যায় আয়ারল্যান্ড যখন ব্যাটিংয়ে নামে, তখন দেশজুড়ে টান টান উত্তেজনা। রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা। আশা-নিরাশার দোলাচলে কোটি কোটি দর্শক। সবার নজর মিরপুর স্টেডিয়ামের দিকে। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল। হারলেই ছিটকে যাবে বিশ্বকাপ থেকে। চূর্ণ হয়ে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন। দুর্বল আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের লজ্জা তো আছেই। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা দলকে লজ্জার দিকে ঠেলে দিলেও শেষ পর্যন্ত বোলারদের লড়াইয়ে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ২০৫ রানের একটি না কঠিন-না সহজ টার্গেট আইরিশদের পক্ষে ভেদ করা সম্ভব হয়নি। শুরুর দিকে আশা জাগিয়ে মাঝপথ পাড়ি দিলেও তীরে অনেকখানি আগেই তরী ডুবে যায় সফরকারীদের। হাতে ৫ ওভার বাকি থাকলেও তারা অলআউট হয়ে যায় ১৭৮ রানে। বাংলাদেশ দশম বিশ্বকাপের প্রথম জয় পায় ২৭ রানে। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার স্বপ্ন অম্লান থাকার পাশাপাশি গত বিশ্বকাপে হারের বদলাও নেয়া হয়ে গেল সাকিবদের। বাংলাদেশের পরবর্তী খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামী শুক্রবার। তার আগে বুধবার ব্যাঙ্গালোরে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ড। নকআউট পর্বে খেলতে হলে বাংলাদেশকে আরও অন্তত ২টি ম্যাচ জিততেই হবে। ২০৫ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করাটা বোলারদের জন্য বেশ কঠিন। তবুও বাংলাদেশের তারুণ্যে ভরপুর বোলাররা হাল ছাড়েননি। শুরুটা করেন স্পিনাররাই। যে স্পিন আক্রমণে আইরিশদের বধ করতে দলে নেয়া হয়েছিল চারজন স্পিনার। সাকিব, রাজ্জাক, নাঈমের সঙ্গে কাল যোগ হয়েছিলেন আশরাফুল। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া আশরাফুল ব্যাটিংয়ে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেও দু’টি উইকেট নিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন বাঁহাতি রাজ্জাক। এরপর সাকিব, আশরাফুল, নাঈম চেপে ধরেন আইরিশদের। তবে ষষ্ঠ উইকেটে বোথা ও কে ও’ব্রায়েন ধীরে খেলে বাংলাদেশ *****ে যখন দুশ্চিন্তার জন্ম দিচ্ছিলেন তখনই ত্রাণকর্তার ভূমিকায় আসেন পেসার শফিউল ইসলাম। শেষদিকে হতাশাগ্রস্ত গোটা বাংলাদেশকে জাগিয়ে তোলেন বগুড়ার এই পেস বোলার। একে একে তুলে নেন ৪টি উইকেট। ফলে ৫ উইকেটে ১৫১ থেকে ১৭৮ রানে শেষ হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। শফিউল ৮ ওভার বল করে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন। গতকাল বাংলাদেশের বোলিং শুরু করেন একপ্রান্তে শফিউল, অপরপ্রান্তে স্পিনার রাজ্জাক। শুরু থেকেই স্পিন জাল ছড়িয়ে দেয়ায় নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। তাদের নেইল ও’ব্রায়েন সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ৫২ বলে। তারই সহোদর কে ও’ব্রায়েন করেন ৪০ বলে ৩৭ রান। আইরিশদের ইনিংসে একমাত্র ছক্কাটিও হাঁকান তিনি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৮ ওভারে দেন ২৮ রান। আর রাজ্জাক দেন ৩০। নাঈম ও আশরাফুল প্রত্যেকে ৯ ওভার বল করে রান দেন যথাক্রমে ৩০ ও ৪২। দুপুরে টস জিতে গতকাল সাকিব আল হাসান আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। আগের ম্যাচে ফিল্ডিং নেয়ার সমালোচনার চাপেই হয়তো তার এ সিদ্ধান্ত। তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করে দুর্দান্ত সূচনা করেন। মাত্র ৫ ওভারে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৪৯ রান। কিন্তু এরপরই যে নেমে আসবে বিপর্যয় তা কেউ ভাবতে পারেননি। ৫৩ থেকে ৬৮ এই ১৫ রানের ব্যবধানে আউট হয়ে যান টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান তামিম, ইমরুল ও জুনায়েদ। ব্যাটিং অর্ডার বদলে নিচ থেকে চার নম্বরে নামানো হয় মুশফিকুর রহিমকে। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক ও অধিনায়ক সাকিব কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও তা মাত্র ১৮ রান স্থায়ী হয়। হেয়ালি ব্যাটিংয়ে ১৬ রানে বিদায় নেন সাকিব। পঞ্চম উইকেটে রকিবুল ও মুশফিক ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বড় বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন। মুশফিক ৬৬ বলে ৩৬ রানে বিদায় নিলে ফের বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মুশফিক, আশরাফুল ও রকিবুল ১২ রানের ব্যবধানে বিদায় নিলে বাংলাদেশের ২শ’ রান হওয়া নিয়ে শঙ্কা জাগে। শেষদিকে নাঈম ও রাজ্জাক খানিকটা দৃঢ়তা দেখালে বাংলাদেশের ইনিংস ২শ’ পার হয়।

সুত্র : মানবজমিনএখানে

Shout Me Crunch আমার ব্যক্তিগত টেক ওয়েবসাইট।


Re: শ্বাসরুদ্ধকর জয়

আশা করি পরবর্তী রাউন্ডেও যেনো টাইগারদের জয় হয়।



Re: শ্বাসরুদ্ধকর জয়

আগামী ম্যাচেও বাংলাদেশ জিতবে এই প্রত্যাশা রইল।



Re: শ্বাসরুদ্ধকর জয়

প্রথম দিকে মন টা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে টাইগাররা ভাল খেলে নাই ।

মেডিকেল বই এর সমস্ত সংগ্রহ - এখানে দেখুন
Medical Guideline Books